নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশে নিরাপদ বিনিয়োগের পরিবেশ বিদ্যমান। সরকার এমন কোনো অপ্রত্যাশিত নীতি কার্যকর করবে না, যাতে করে বিদেশিদের বিনিয়োগে কোনো ধরনের প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়। বিনিয়োগ এই দেশের আইন দ্বারা সুরক্ষিত থাকবে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ‘আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২১’-এ এসব কথা বলেন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এ সময় তাঁরা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিশ্চিন্তে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান।
দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার নিরাপদ বিনিয়োগের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। নিরাপদ বিনিয়োগের পরিবেশ বিদ্যমান। আমরা এখন নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে যাচ্ছি। যাতে করে কার্বন নিঃসরণ না হয়। পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থাপনা করছি।’
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার এমন কোনো অপ্রত্যাশিত নীতি কার্যক্রম গ্রহণ করবে না, যা আপনাদের বিনিয়োগের বিপক্ষে যেতে পারে। আপনাদের বিনিয়োগ এই দেশের আইন দ্বারা সুরক্ষিত থাকবে।’
অধিবেশনের সভাপতির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘২০৪১ সালে উন্নত দেশ হওয়ার যে পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশ সেই লক্ষ্যমাত্রা অবশ্যই অর্জিত হবে। বাংলাদেশ বিশাল আকারে বিনিয়োগ গন্তব্যে যাত্রা করেছে। এর গতি অনেক। এই যাত্রা অনেক দূর এগিয়ে যাবে।’ খেলাপি ঋণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই খেলাপিকে আর বাড়তে দেওয়া যাবে না। এটাকে অবশ্যই কমিয়ে আনতে হবে।’
এ সময় জাপানের পররাষ্ট্রবিষয়ক পার্লামেন্টারি ভাইস মিনিস্টার হোন্ডা তারো বলেন, ‘জাপান সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে এবং ভবিষ্যতে আরো উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। গত দুই বছরে করোনার বিস্তার বাংলাদেশের পাশাপাশি জাপানকেও বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশে এখনো এর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, করোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার করেছে।’