৮ ব্যাংকের বন্ডে সুদ বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহার করলো বিএসইসি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

তফসিলি ব্যাংকের পারপেচুয়াল বা বেমেয়াদি বন্ড ইস্যুর ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের সুদ প্রদানের বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছিল শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এ বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহার করেছে বিএসইসি।

সম্প্রতি বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশেষ কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ব্যাংকের পারপেচুয়াল বন্ডের সুদ প্রদানের বাধ্যবাধকতার শর্ত প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের পক্ষ থেকে বিএসইসির চেয়ারম্যানের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল। এ চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ কমিশন সভার মাধ্যমে শর্ত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। বিএসইসির এ সিদ্ধান্ত গতকালই চিঠির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরকে অবহিত করা হয়েছে।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, তফসিলি ব্যাংকগুলোর টায়ার-১ মূলধন ভিত্তি ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চিঠি বিবেচনা করে কমিশন পারপেচুয়াল বন্ড ইসু্যুকারী ব্যাংকগুলোকে ‘বন্ডহোল্ডারদের অর্থ পরিশোধ বা বিতরণ বাতিলের বিষয়টি সর্বদা ব্যাংকগুলোর বিবেচনাধীন থাকবে না’—এ শর্ত পরিপালনের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অনুরোধ জানানো হয়েছে বিএসইসির চিঠিতে।

কমিশনের এ চিঠির অনুলিপি পারপেচুয়াল বন্ডের অনুমোদন পাওয়া পূবালী, ওয়ান, প্রিমিয়ার, স্ট্যান্ডার্ড, এক্সিম, যমুনা, এমটিবি ও এবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে।

যে ৮ ব্যাংকের পারপেচুয়াল বন্ড ইস্যুর ক্ষেত্রে সুদ প্রদানের বাধ্যবাধকতার শর্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে তাদের মধ্যে পূবালী ব্যাংক ৫০০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যুর অনুমোদন পেয়েছে। এর মধ্যে ৪৫০ কোটি টাকা প্রাইভেট প্লেসমেন্ট ও ৫০ কোটি টাকা পাবলিক অফারের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে।

ওয়ান ব্যাংক ২০০ কোটি টাকার পারপেচুয়াল বন্ড ইস্যুর অনুমোদন পেয়েছে। এর মধ্যে ১৮০ কোটি টাকা প্রাইভেট প্লেসমেন্টে ও ২০ কোটি টাকা পাবলিক অফারের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে।

প্রিমিয়ার ব্যাংক বিএসইসির কাছ থেকে ২০০ কোটি টাকার পারপেচুয়াল বন্ড ইস্যুর অনুমোদন পেয়েছে। এর মধ্যে ১৮০ কোটি টাকা প্রাইভেট প্লেসমেন্ট ও ২০ কোটি টাকা পাবলিক অফারের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে।

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংককে ৫০০ কোটি টাকার মুদারাবা পারপেচুয়াল বন্ডের অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। এর মধ্যে ৪৫০ কোটি টাকা প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে আর ৫০ কোটি টাকা পাবলিক অফারের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে।

এক্সিম ব্যাংক কমিশনের কাছ থেকে ৬০০ কোটি টাকার মুদারাবা পারপেচুয়াল বন্ড ইস্যুর অনুমোদন পেয়েছে। এর মধ্যে ৫৪০ কোটি টাকা প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে এবং বাকি ৬০ কোটি টাকা পাবলিক অফারের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে।

যমুনা ব্যাংককে ৪০০ কোটি টাকার পারপেচুয়াল বন্ডের অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। এর মধ্যে ৩৬০ কোটি টাকা প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে আর বাকি ৪০ কোটি টাকা পাবলিক অফারের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংককে ৪০০ কোটি টাকার পারপেচুয়াল বন্ডের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩৬০ কোটি টাকা প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে আর বাকি ৪০ কোটি টাকা পাবলিক অফারের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে।

এবি ব্যাংকের ৬০০ কোটি টাকার পারপেচুয়াল বন্ড অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। এর মধ্যে ৫৪০ কোটি টাকা প্রাইভেট প্লেসমেন্ট ও বাকি ৬০ কোটি টাকা পাবলিক অফারের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে।

বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ও বন্ড মার্কেটের উন্নয়নে পারপেচুয়াল বন্ডের বিনিয়োগের বিপরীতে সুদ প্রদান করার বাধ্যবাধকতা আরোপ করে শর্ত দিয়েছিল বিএসইসি। কিন্তু ব্যাংকগুলো ব্যাসেল-৩ পরিপালনে অতিরিক্ত টায়ার-১ মূলধন ভিত্তির জন্য পারপেচুয়াল বন্ড ইস্যু করে থাকে। এক্ষেত্রে টায়ার-১ মূলধন ভিত্তির সংজ্ঞায় বাধ্যতামূলক সুদ পরিশোধসহ ঋণপত্রের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত নেই।

ফলে সুদ পরিশোধসংক্রান্ত কমিশনের বাধ্যবাধকতা আরোপের ফলে পারপেচুয়াল বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে সংগৃহীত তহবিলকে অতিরিক্ত টায়ার-১ মূলধন হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হবে না বলে ব্যাংকগুলোকে জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে ব্যাংকগুলো বিপাকে পড়ে। তবে সুদ প্রদানের বাধ্যবাধকতার শর্ত প্রত্যাহারের কারণে ব্যাংকগুলোর পারপেচুয়াল বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে টায়ার-১ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করার পথ সুগম হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

আফতাব অটোমোবাইলসের লভ্যাংশ অনুমোদন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

আফতাব অটোমোবাইলস লিমিটেড-এর ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা ডিজিটাল প্লাট ফর্মে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ঃ০০ ঘটিকায় অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন কোম্পানির পরিচালক সাজেদুল ইসলাম। সভায় বিপুল সংখ্যক শেয়ারহোল্ডারের উপস্থিতিতে ৩০ জুন ২০২১তারিখে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ৫% হারে নগদ লভ্যাংশ (উদ্যোক্তা ও পরিচালকগণ ব্যতীত)এবং ৫% হারে বোনাস লভ্যাংশ হিসাবে সকল শেয়ারহোল্ডারগণকে প্রদানের জন্য অনুমোদন করা হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

নাভানা সিএনজির লভ্যাংশ অনুমোদন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

নাভানা সিএনজি লিমিটেড-এর ১৭তম বার্ষিক সাধারণ সভা ডিজিটাল প্লাট ফর্মে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১:৩০ ঘটিকায় অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন কোম্পানির পরিচালক সাজেদুল ইসলাম। সভায় বিপুল সংখ্যক শেয়ারহোল্ডারের উপস্থিতিতে ৩০ জুন ২০২১তারিখে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ৫% হারে নগদ লভ্যাংশ (উদ্যোক্তা ও পরিচালকগণ ব্যতীত)এবং ৫% হারে বোনাস লভ্যাংশ হিসাবে সকল শেয়ারহোল্ডারগণকে প্রদানের জন্য অনুমোদন করা হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

যমুনা ব্যাংকের ২৫০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তালিকাভুক্ত যমুনা ব্যাংকের ২৫০ কোটি টাকার নন-কনভারটেবল সাবর্ডিনেটেড বন্ড প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিএসইসির ৮০৬তম কমিশন সভায় এসব বন্ডের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।

এটি একটি নন কনভার্টেবল, তালিকাভুক্ত হবে না, সম্পূর্ণ অবসায়ন যোগ্য, ফ্লটিং রেটেড, সাবওর্ডিনেটেড বন্ড। বন্ডটি ৭ বছর পরে সম্পূর্ণ অবসায়ন হবে। এই বন্ডটি ইস্যুর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ দিয়ে টায়ার টু ক্যাপিটাল বেইজের শর্ত পূরণ করা হবে।

স্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান, করপোরেট প্রতিষ্ঠান, বিমা কোম্পানি, ফান্ড এবং যে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এই বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারবেন।

বন্ডটির এ্যারেন্জার হিসাবে দায়িত্ব পালন করবে ইউসিবি ইনভেষ্টমেন্ট লিমিটেড ও যমুনা ব্যাংক ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। আর ট্রাষ্টি হিসাবে কাজ করবে ইসি সিকিউরিটিজ লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

ইন্দো বাংলা ফার্মার উদ্দ্যোক্তার সব শেয়ার বিক্রি

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রসায়ন ও ঔষুধ খাতের কোম্পানি ইন্দো বাংলা ফার্মাসিটিউক্যালস লিমিটেডের এক উদ্দ্যোক্তা পরিচালক ৩৪ লাখ ৪৮ হাজার ৩০৬টি শেয়ার বিক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সূত্র জানায়, মো: বেলাল খান নামে এই পরিচালকের হাতে থাকা কোম্পানিটির সব শেয়ার বিক্রয় করবেন।

ঘোষণার পর ৩০ দিনের মধ্যে এই পরিচালক উল্লেখিত পরিমাণ শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রয় করা হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

লভ্যাংশ কম দেওয়ায় ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ৪ কোম্পানি

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৫টি কোম্পানি লভ্যাংশ কম দেওয়ায় ‘এ’ থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে নামানো হয়েছে। ডিএসই’র ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়।

কোম্পানিগুলো হলো : গোল্ডেন হার্ভেষ্ট এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, জিকিউ বলপেন, সিলভা ফার্মাসিটিক্যালস ও বঙ্গজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে কোম্পানিটি ‘বি’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করবে উভয় শেয়ারবাজারে।

জানা গেছে, গোল্ডেন হার্ভেষ্ট এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড গত অর্থ বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। জিকিউ বলপেন লিমিটেড গত অর্থ বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। সিলভা ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড গত অর্থ বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। আর বঙ্গজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড গত অর্থ বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৪ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে।

আগামী ২ জানুয়ারি (রবিবার) হতে কোম্পানিগুলোর শেয়ার বি ক্যাটাগরিতে লেনদেন হবে। এর আগে কোম্পানিগুলো লেনদেন এ ক্যাটাগতি লেনদেন হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

লেনদেনের শীর্ষে সোনালী পেপার; ২য় এশিয়া ইন্স্যুরেন্স

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে সোনালী পেপার মিলস লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির ১১১ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা এশিয়া ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকার।

৩৯ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন লিমিটেড।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- জেনেক্স ইনফোসিসের ৩৪ কোটি ৭৮ লাখ, বেক্সিমকো লিমিটেডের ৩৩ কোটি ৭৭ লাখ, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১৮ কোটি ৭৭ লাখ, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলসের ১৭ কোটি ৬২ লাখ, ফরচুন সুজের ১৭ কোটি ৫৯ লাখ, পিপলস ইন্স্যুরেন্সের ১৫ কোটি ৫২ লাখ ও ইষ্টার্ণ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ১৫ কোটি ১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

ফসলের জাতের জন্য বিদেশ নির্ভরতা কমাতে হবে : কৃষিমন্ত্রী

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশে চাষোপযোগী ফসল বিশেষ করে ফলের জাত দেশেই বেশি করে উদ্ভাবন করে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনতে বিজ্ঞানী-গবেষকদের নির্দেশ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেন, ফসলের জাতের ক্ষেত্রে বিদেশ নির্ভরতা ও আমদানি নির্ভরতা কমাতে হবে। আমাদের দেশের চাষোপযোগী জাত আমাদের বিজ্ঞানীদেরকেই করতে হবে। বিশেষ করে ফলের জাত উদ্ভাবনে বিজ্ঞানী-গবেষকদের আরও সক্রিয় হতে হবে, নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রকল্প পরিচালকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, সরকারি টাকা হলো জনগণের টাকা। জনগণের অর্থে প্রকল্প পরিচালিত হয়। সেজন্য, অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে অর্থ ব্যয় করতে হবে। জনগণের টাকা কোথায় কীভাবে কী কাজে ব্যয় হচ্ছে- তা জনগণকে জানাতে হবে। যাতে জনগণ জানতে পারে, বুঝতে পারে তাদের অর্থ দিয়ে কী কাজ হয়েছে, কতটুকু কাজ হয়েছে।

ড. আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, প্রতি বছর আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়ছে। অন্যদিকে জনসংখ্যা বাড়ছে, খাদ্যের চাহিদাও বাড়ছে। কাজেই, জনসংখ্যা ও খাদ্য চাহিদা বৃদ্ধির সাথে তাল মিলিয়ে খাদ্য উৎপাদন ধরে রাখা ও তা আরো বাড়াতে হবে। সেলক্ষ্যে নতুন উদ্ভাবিত উচ্চ উৎপাদনশীল জাতগুলোকে দ্রুত কৃষকের নিকট, মাঠে নিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে সকল সংস্থাকে সমন্বিতভাবে আরও জোরাল তৎপরতা চালাতে হবে।

সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের সংখ্যা ৭০টি। মোট বরাদ্দ ২ হাজার ৯১৮ কোটি টাকা। নভেম্বর ২০২১ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে ২৪%, যা জাতীয় গড় অগ্রগতিরে চেয়ে ৫% বেশি। এ সময়ে জাতীয় গড় অগ্রগতি হয়েছে ১৮.৬০%।

সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেসবাহুল ইসলাম। তিনি বলেন, কোনভাবেই প্রকল্প বাস্তবায়নে পিছিয়ে থাকা যাবে না। প্রকল্প বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়ের বিগত বছরের সাফল্য এ বছরও ধরে রাখতে হবে। সেজন্য, গুণগতমান বজায় রেখে যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।

সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আবদুর রৌফ, কমলারঞ্জন দাশ, হাসানুজ্জামান কল্লোল, ওয়াহিদা আক্তার, বলাই কৃষ্ণ হাজরা,আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ এনডিসি, অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্থাপ্রধান ও প্রকল্প পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

  1. সোনালী পেপার মিলস
  2. এশিয়া ইন্স্যুরেন্স
  3. বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন
  4. জেনেক্স ইনফোসিস
  5. বেক্সিমকো লিমিটেড
  6. ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স
  7. বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস
  8. ফরচুন সুজ
  9. পিপলস ইন্স্যুরেন্স
  10. ইষ্টার্ণ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।

শেষদিনে উত্থানে উভয় শেয়ারবাজার

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দিনের শেষে সব গুলো সূচক বেড়েছে। এদিন সেখানে লেনদেনও আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক ও লেনদেন বেড়েছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার দিন শেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫.৫০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬৭৫৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ৩.৮৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৪৩১ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১০.২৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২৫৩২ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯২১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। গতকাল বুধবার সেখানে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৭৩৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

ডিএসইতে আজ ৩৭৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১৭৮টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ১৪৯টির, আর দর অপরিবর্তিত আছে ৫০টির দর।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো- সোনালী পেপার মিলস, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, জেনেক্স ইনফোসিস, বেক্সিমকো লিমিটেড, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস, ফরচুন সুজ, পিপলস ইন্স্যুরেন্স ও ইষ্টার্ণ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।

অন্যদিকে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ৪৪.৫৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৯ হাজার ৬৬৬ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ৩০৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২৯টির, কমেছে ১৩৬টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪১টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা। গতকাল বুধবার সেখানে লেনদেন হয়েছে ৫৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।

দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্স ও ইবিএল ফার্ষ্ট মি. ফান্ড লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/