পদ্মা ব্যাংককে নিয়ম মেনেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি : এহসান খসরু

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

‘বিদেশি বিনিয়োগ পেতে পদ্মা ব্যাংকের আর্থিক বিবরণী থেকে লোকসানের তথ্য গোপনে বাংলাদেশ ব্যাংক সম্মতি দিয়েছে’ এমন একটি প্রতিবেদন সম্প্রতি কিছু সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এ নিয়ে আজ রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরে নিজস্ব অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে পদ্মা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। বলা হয়েছে, সব আইন এবং আন্তর্জাতিক অ্যাকাউন্টিং মানদণ্ড মেনেই পদ্মা ব্যাংকে বিদেশি বনিয়োগের অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

পদ্মা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এহসান খসরু বলেছেন, ‘বিদেশি বিনিয়োগ আনতে পদ্মা ব্যাংককে কোনো ছাড় দেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক। বরং পদ্মা ব্যাংকের আর্থিক বিবরণী সুসংহত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সহায়তা করেছে। ’ তিনি বলেন, ‘বিদেশি বিনিয়োগ আনার প্রক্রিয়া সহজ এবং সরলীকরণের জন্য নিয়মকানুন মেনে ও গবেষণা করে পদ্মা ব্যাংককে আরও ভালো করতে- কেন্দ্রীয় ব্যাংক পদ্মা ব্যাংক কর্তৃপক্ষের উদ্যোগের পথকে মসৃণ করে দিয়েছে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনো ছাড় দেয়নি।সব কিছু স্বচ্ছতার সঙ্গে হয়েছে। ’

বিষয়টি নিয়ে টিআইবির বিবৃতি প্রসঙ্গে এহসান খসরু বলেন, “একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন এমন একটি স্বচ্ছ উদ্যোগকে ‘প্রতারণামূলক সুবিধা’ বলে আখ্যায়িত করে বিবৃতি দেয়ায় আমি হতবাক হয়েছি। কোনো ধরনের গবেষণা না করে, ভালোভাবে বিচার-বিশ্লেষণ, যাচাই-বাছাই না করে শুধু গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে কোনো আন্তর্জাতিক সংগঠনের এমন মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক বিবৃতি দেয়া বিস্ময়কর ঘটনা। এটাকে আমি স্বচ্ছ একটি প্রতিষ্ঠানের অস্বচ্ছ বিবৃতি বলছি। এ ধরনের উদ্ভট বিবৃতি টিআইবি কোনোভাবেই দিতে পারে না। ”

পদ্মা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পদ্মা ব্যাংককে যে সহায়তা করছে, সেটা বাংলাদেশে নতুন কিছু নয়। এর আগে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক এবং আইসিবি ইসলামিক ব্যাংককে একই ধরনের সহায়তা করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ’

বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক বিনিয়োগ ব্যাংক ডেলমর্গান অ্যান্ড কোম্পানি পদ্মা ব্যাংকে ৭০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগের ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দিয়েছে। এর অর্ধেক বিনিয়োগ হবে মূলধন হিসেবে।

বাকি অর্ধেক হবে বন্ড বা অন্য উপায়ে। এই বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতিসহ সব ধরনের নিয়ম-কানুন মেনে পদ্মা ব্যাংক কাজ করছে।

এহসান খসরু আরও বলেন, ‘পদ্মা ব্যাংকের ২০২০ সালের আর্থিক বিবরণী ভালোভাবে দেখে বিশ্লেষণ করে গবেষণা করে- ডেলমর্গান পদ্মা ব্যাংকে বিনিয়োগ করতে রাজি হয়েছে। ব্যাংকটির ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল, এখান থেকে তারা ভালো মুনাফা পাবে। এসব বিচার-বিশ্লেষণ করেই ডেলমর্গান এই ব্যাংকে বিনিয়োগের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। এখানে কোনো ধরনের অস্বচ্ছ তথ্য দেয়া হয়নি। কোনো ধরনের প্রতারণারও আশ্রয় নেয়া হয়নি। গণমাধ্যমে যেসব প্রতিবেদন এসেছে এবং যার ওপর ভিত্তি করে টিআইবি বিবৃতি দিয়েছে, তার সবই মিথ্যা, অসত্য এবং বিভ্রান্তিকর। ’

তিনি বলেন, ‘সদ্য শেষ হওয়া ২০২১ সালের আর্থিক বিবরণী আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবে পদ্মা ব্যাংক। যা স্বচ্ছতা-জবাবদিহির সঙ্গে তৈরি করা হচ্ছে। এখানে প্রতারণার প্রশ্ন কেন আসছে, আমি বুঝতে পারছি না। সাবেক ফারমার্স ব্যাংক থেকে নতুনভাবে পদ্মা ব্যাংক তার কার্যক্রম শুরু করার পর থেকে কোনো ধরনের প্রতারণা হয়নি; সবকিছু স্বচ্ছতা-জবাবদিহির সঙ্গে হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম-কানুন, বিধি-বিধান মেনেই হয়েছে। ’

বিষয়টি নিয়ে এহসান খসরু বলেন, ‘গত চার বছরে আমরা ব্যাংকটির অনেক উন্নতি করেছি। গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করেছি, আমানত বেড়েছে। ঋণ বিতরণও করছি আমরা এখন। বাংলাদেশ ব্যাংকও আমাদের কাজে খুশি; আমাদের ওপর আস্থা রেখেছে। ডেলমর্গানও অ্যানালাইসিস করে দেখতে পেরেছে, এই ব্যাংকে বিনিয়োগ করলে তারা ভালো রিটার্ন পাবে। সে কারণেই বিনিয়োগের ব্যবস্থা করছে তারা। বাংলাদেশ ব্যাংকও সেই বিনিয়োগে সব ধরনের সহায়তা করছে। এখানে অস্বচ্ছভাবে কোনো কিছু হচ্ছে না। সব কিছু স্বচ্ছতা-জবাবদিহির সঙ্গেই হচ্ছে। ’

টিআইবির বিবৃতি প্রসঙ্গে পদ্মা ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী এহসান খসরু বলেন, ‘যারা (টিআইবি) স্বচ্ছতা নিয়ে কাজ করে, তারা অস্বচ্ছ ধারণা বা চিন্তা নিয়ে কী করে এ ধরনের বিবৃতি দেয়, আমি বুঝতে পারি না। ’

স্টকমার্কেটবিডি.কম/জেড

উ: আমেরিকায় ওয়ালটন পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে ড্যানবি’র সঙ্গে চুক্তি

উত্তর আমেরিকায় বাজার সম্প্রসারণে ড্যানবি অ্যাপ্লায়েন্সের সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তি স্বাক্ষরের পর ওয়ালটনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

‘ভিশন গো-গ্লোবাল ২০৩০’ অর্জনে আরেকটি মাইলফলক অতিক্রম করলো ওয়ালটন। বিশ্বব্যাপী রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে এবার উত্তর আমেরিকায় কার্যক্রম শুরু করলো বাংলাদেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন ও রপ্তানিকারক এ প্রতিষ্ঠান। এজন্য আমেরিকা ও কানাডাভিত্তিক গৃহস্থালী পণ্যের জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান ড্যানবি অ্যাপ্লায়েন্সের সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তি করেছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। সংশ্লিষ্টদের মতে, এই চুক্তির ফলে আমেরিকা ও কানাডাতে ওয়ালটন পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ সহজ হবে।

সম্প্রতি আমেরিকার লাস ভেগাসে অনুষ্ঠিত কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স শো ‘সিইএস-২০২২’ এ ওয়ালটনের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ওই প্রযুক্তিপণ্যের ওই প্রদর্শনী চলাকালে ওয়ালটন এবং ড্যানবির মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন গ্লোবাল বিজনেস ডিভিশনের প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম। অন্যদিকে ড্যানবি’র চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার এন্ড্রু রেমন্ড নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন।

শুক্রবার, (৭ জানুয়ারি ২০২২) ভার্চুয়ালি আয়োজিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) গোলাম মুর্শেদ, ড্যানবি’র প্রেসিডেন্ট ও সিইও জিম এসথিল, ওয়ালটনের ডিএমডি এমদাদুল হক সরকার, হোম অ্যাপ্লায়েন্সের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) আল-ইমরান, কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সের সিবিও মাহফুজুর রহমান, গ্লোবাল বিজনেস ডিভিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুর রউফ এবং সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর কায়সার চয়ন প্রমুখ।

জানা গেছে, চুক্তি অনুযায়ী উত্তর আমেরিকা অঞ্চলের বাজার টার্গেট করে ক্রেতাদের প্রয়োজন ও চাহিদা অনুযায়ী পণ্য উৎপাদন করবে ওয়ালটন। বাংলাদেশে তৈরি এসব পণ্য আমেরিকা ও কানাডা অঞ্চলে পরিবেশন ও বিক্রি করবে ড্যানবি অ্যাপ্লায়েন্স। এক্ষেত্রে উত্তর আমেরিকায় বাংলাদেশে তৈরি ওয়ালটন পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে উভয় প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে কাজ করবে।

এ প্রসঙ্গে ওয়ালটন হাই-টেকের এমডি ও সিইও গোলাম মুর্শেদ বলেন, বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন খাতের জন্য এ চুক্তি একটি মাইলফলক। এরফলে ইলেকট্রনিক্স খাতে আমেরিকা অঞ্চলে বাংলাদেশকে প্রথমবারের মতো প্রতিনিধিত্ব করবে ওয়ালটন। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ডে পরিণত হতে এই চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ওয়ালটন বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে যাবে। বিশ্বজুড়ে ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য খাতে শিল্পোন্নত বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে।

ড্যানবি’র প্রেসিডেন্ট ও সিইও জিম এস্থিল তার বক্তব্যে উত্তর আমেরিকা অঞ্চলে ওয়ালটনের তৈরি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। করোনা মহামারি থেকে বিশ্ব মুক্তি পেলে ওয়ালটনের অত্যাধুনিক উৎপাদন কারখানা ও কার্যক্রম স্বচক্ষে দেখতে তিনি বাংলাদেশে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

ওয়ালটনের গ্লোবাল বিজনেস ডিভিশনের প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম বলেন, এই চুক্তি ওয়ালটন তথা বাংলাদেশের জন্য খুব অর্থবহ। এর মাধ্যমে সবাই একটি বার্তা পেলো যে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ড হতে ওয়ালটন কতোটা দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। অবশেষে আমেরিকা ও কানাডার মতো বাজারে ওয়ালটন তার নিজস্ব পণ্য নিয়ে প্রবেশ করছে।

উত্তর আমেরিকায় বাজার সম্প্রসারণে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি এবং ড্যানবি অ্যাপ্লায়েন্সের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর উপলক্ষ্যে ভার্চুয়ালি আয়োজিত অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।

উল্লেখ্য, ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্যসহ বর্তমানে বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে পণ্য রপ্তানি করছে ওয়ালটন। করোনা মহামারির মধ্যেও গত বছর বিপুল পরিমাণ ওয়ালটন পণ্য রপ্তানি হয়েছে।

সংশ্লিষ্টদের মতে, ওয়ার্ল্ড স্ট্যান্ডার্ড পণ্য দিয়ে খুব শিগগিরই পুরো বিশ্বের মন জয় করে নেবে ওয়ালটন। এর মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য অর্জনে ওয়ালটনের রপ্তানি কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

সোনালী ব্যাংকের মুনাফায় রেকর্ড

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক ২০২১ সাল শেষে রেকর্ড ২ হাজার ২০৫ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা অর্জন করেছে। ২০২০ সাল শেষে ব্যাংকটির এই মুনাফা ছিল ২১৫৩ কোটি টাকা। বিদায়ি বছর শেষে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংকটির শ্রেণিকৃত লোনের পরিমাণও কমেছে প্রায় ১২৭৭ কোটি টাকা। বর্তমানে ব্যাংকটির শ্রেণিকৃত লোনের পরিমাণ নেমে এসেছে ১৪.১৪ শতাংশে, যা ২০২০ শেষে ছিল ১৮.৩৭ শতাংশ। অর্থাৎ গত এক বছরে শ্রেণিকৃত লোন কমেছে ৪.২৩ শতাংশ। বর্তমানে ব্যাংকটিতে শ্রেণিকৃত লোন আছে ৯৮০০ কোটি টাকা, যা ২০২০ সাল শেষে ছিল ১০৭৬৭ কোটি টাকা।

এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংকের সিইও অ্যান্ড ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতাউর রহমান প্রধান বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাব কাটিয়ে দেশের ব্যাংকিং খাত এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, করোনা না থাকলে বিগত বছর শেষেই শ্রেণিকৃত ঋণ আমরা সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনতে পারতাম। আগামী বছর শ্রেণিকৃত ঋণ সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনাই হবে আমাদের লক্ষ্য। তিনি বলেন, সোনালী ব্যাংকের এই সাফল্যই প্রমাণ করে ব্যাংকে এখন সুশাসন নিশ্চিত হয়েছে। তবে মুনাফা নয়, গ্রাহক সন্তুষ্টিই আমাদের মূল লক্ষ্য। ২০২১ সাল শেষে সোনালী ব্যাংকের মোট বিতরণকৃত ঋণ ও অগ্রিমের পরিমাণ ৬৯৩১৭ কোটি টাকা, যা ২০২০ সালের চেয়ে ১০৬৯৪ কোটি টাকা বেশি। বর্তমানে দেশের সর্বোচ্চ পরিমাণ ডিপোজিট এখন সোনালী ব্যাংকের। গত বছরে মোট ৮৪২৮ কোটি টাকা ডিপোজিট বেড়েছে। বর্তমানে ব্যাংকটিতে মোট ডিপোজিটের পরিমাণ ১৩৪৩০৭ কোটি টাকা। এই বিপুল ডিপোজিটকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে ব্যাংকটি আগামী দিনগুলোতে সব সূচকে আরও ভালো করবে বলে মনে করেন ব্যাংকের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা।

ইনভেস্টমেন্টও গত বছর শেষে দাঁড়িয়েছে ৭১৮৪৯ কোটি টাকা, যা ২০২০ সালের চেয়ে ৪৮১২ কোটি টাকা বেশি। ব্যাংকের এই সার্বিক সাফল্য সম্পর্কে সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী বলেন, করোনার এই প্রাদুর্ভাব কাটিয়ে ব্যাংকাররা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে ব্যাংকের জন্য কাজ করেছেন বলেই এ সময়ে প্রায় সব সূচকে সোনালী ব্যাংক ভালো করতে পেরেছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিস করেছেন এই করোনাকালেও।

তিনি যোগ করেন, ২০২১ সাল শেষে সোনালী ব্যাংকের রফতানির পরিমাণ ছিল ৩১৫৬ কোটি টাকা, যা আগের বছরে ছিল ২৫১৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত বছর ব্যাংকের মোট রফতানি বেড়েছে ৬৩৯ কোটি টাকা।

এ ছাড়া ২০২১ সালে ব্যাংকের মোট আমদানির পরিমাণ ছিল ৩০৮৭২ কোটি টাকা, যা ২০২০ সাল থেকে ১৪৩০৬ কোটি টাকা বেশি। বর্তমানে ব্যাংকটিতে ঋণ এবং জামানতের অনুপাত ৫১.৬১ শতাংশ, যা ২০২০ সাল শেষে ছিল ৪৬.৫৭ শতাংশ। এ ছাড়া ব্যাংকের মোট লোকসানির শাখাও কমেছে ১৩টি। বর্তমানে লোকসানি শাখার সংখ্যা ২৯ থেকে নেমে ১৬টিতে এসেছে। সোনালী ব্যাংকের দেশের অভ্যন্তরে মোট ১২২৭টি শাখা আছে। এ ছাড়া দেশের বাইরে ভারতের কলকাতা ও শিলিগুড়িতে আরও দুটি শাখা আছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

দুবাই রুটে বাংলাদেশ বিমানের অতিরিক্ত ফ্লাইট

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ক্রমবর্ধমান যাত্রী চাহিদার কারণে এবং রেমিট্যান্সযোদ্ধা প্রবাসীদের সুবিধার্থে আগামী ১১ ও ১২ জানুয়ারি ঢাকা-দুবাই রুটে দুটি অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় বিমান।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার জানান, আগামী ১১ ও ১২ জানুয়ারি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানের ফ্লাইট বিজি৪০৪৭ স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টায় ছেড়ে যাবে এবং দুবাই পৌঁছাবে স্থানীয় সময় সাড়ে ৩টায়।

দুবাই ট্রাভেল অ্যাডভাইজারি অনুযায়ী সব কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করতে যাত্রীদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ফ্লাইট ছাড়ার অন্তত ৮ ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে বিমান। রোববার দুপুর আড়াইটায় ফ্লাইটটির টিকিট বিক্রির জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইথ আমদানি দ্বিগুণ করবে ভারত

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা ব্যান্ডউইথের পরিমাণ দ্বিগুণ করতে চাইছে ভারত। দেশটির বেশ কিছু গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এমনই তথ্য জানা গেছে।

গত ৬ জানুয়ারি প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ভারত সরকার বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে আমদানি করা ব্যান্ডউইথের পরিমাণ ১০ জিবিপিএস থেকে বাড়িয়ে দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা করছে বলে ভারতের রেলওয়ে, যোগাযোগ, তড়িৎ কৌশল ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বিষ্ণু ঘোষণা দিয়েছেন।

মনিপুরের ইমফালে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে অশ্বিনী জানান, ব্যান্ডউইথ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত উত্তর-পূর্ব ভারতের সংযুক্তি বাড়াতে সহায়তা করবে। এই পরিকল্পনা আগামী ৫ থেকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে বলেও যোগ করেন তিনি।

তবে, বাংলাদেশ এখনো ভারতের কাছ থেকে এ ধরনের কোনো প্রস্তাব পায়নি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম হাবিবুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের (ভারতীয়) গণমাধ্যমে এ ধরণের সংবাদ দেখেছি। আমরা এখনো ভারতের কাছ থেকে এ ধরণের কোনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাইনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে ভারতের ত্রিপুরার সঙ্গে আমাদের ১০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথের সংযোগ রয়েছে। তারা হয়ত রাজ্য পর্যায়ে এই ব্যান্ডউইথ সীমা দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু এ ধরণের সিদ্ধান্তের জন্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন দরকার হয় এবং অপারেটর চ্যানেলের মাধ্যমে এগুলো আসতে হবে।’

অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে হাবিবুর বলেন, ‘ভারতের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের পর ডিএসএনএলকে আমাদের কাছে একটি প্রস্তাবনা পাঠাতে হবে।’

তিনি জানান, যেহেতু এখনও কিছু নিশ্চিত নয় তাই এই অনুমোদন প্রক্রিয়ায় কত সময় লাগবে তা বলা কঠিন।

তার মতে, এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত আদৌ নেওয়া হয়ে থাকলে তা এই মাসের মধ্যে চূড়ান্ত হতে পারে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

এ্যাননটেক্স গ্রুপের ঋণ আদায়ে সম্মতি দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

এ্যাননটেক্স গ্রুপের ঋণ আদায়ে জনতা ব্যাংকের নেওয়া উদ্যোগের প্রতি ইতিবাচক সাড়া প্রদান করেছে কেন্দ্রিয় ব্যাংক। মূলত কর্মসংস্থানসহ অর্থনীতির বৃহত্তর স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে কেন্দ্রিয় ব্যাংক জনতা ব্যাংকের ঋণ আদায়ের উদ্যোগকে সম্মতি প্রদান করেছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছে, এর ফলে একদিকে যেমন এ্যাননটেক্স ব্যবসা পরিচালনা করে কয়েক হাজার পরিবারের আয়ের উৎস সচল রাখতে পারবে, পাশাপাশি জনতা ব্যাংকও বিপুল খেলাপির দায় থেকে রক্ষা পাবে।

এ বিষয়ে জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. আবদুছ ছালাম আজাদ বলেন, ‘কারখানাগুলো বন্ধ না রেখে ঋন আদায়ে সম্মতি দেওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। প্রতিষ্ঠানটি ঋণ পরিশোধে যথেষ্ট আন্তরিক। ঋণগুলো নিয়মিত হলে ব্যাংকের শ্রেণীকৃত ঋণ ও প্রভিশন কমে প্রয়োজনীয় মুলধন সংরক্ষনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। সর্বোপরি এ্যাননটেক্স গ্রুপের প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক-কর্মচারীর কর্মসংস্থান বহাল থাকবে। নতুন নতুন বিনিয়োগে ব্যাংকের ব্যবসাও সম্প্রসারিত হবে। ফলে ব্যাংকের কাঙ্খিত মুনাফা অর্জণ করতে সক্ষম হব।’

গত মঙ্গলবার জনতা ব্যাংকের উদ্দেশ্যে ইস্যু করা একটি চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, লামিসা স্পিনিং লিমিটেড, জারা ডেনিম লিমিটেড, সিমরান কম্পোজিট লিমিটেড, গ্যালাক্সি সুয়েটার এ্যান্ড ইয়ার্ন ডাইং লিমিটেডসহ এ্যাননটেক্স গ্রুপভুক্ত ১৭টি গ্রাহক প্রতিষ্ঠানের ঋণ স্থিতি ৩ হাজার ৫৬৪ কোটি টাকার ঋণসমূহ পুনঃতফসিলকরণের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ডাউন পেমেন্ট বাবদ আদায়কৃত ৭১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা সংশ্লিষ্ট ঋণ হিসাবসমূহে জমাকরণের পর পুনঃতফসিল সুবিধাটি কার্যকর হবে। উল্লেখ্য, ঋণ গ্রহীতা গ্রুপটি ইতোমধ্যে পুনঃতফসিলের জন্য প্রয়োজনীয় ডাউনপেমেন্ট জমা করেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ্যাননটেক্স গ্রুপের ঋণগুলো দীর্ঘদিন ধরে অনাদায়ী থাকায় জনতা ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনক্রমে এ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করে এবং তা পুনঃতফসিলের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে প্রস্তাবনা পাঠায়। এক্ষেত্রে খেলাপি ঋণ আদায়, দুদকের ছাড়পত্র ও করোনা মহামারিতে হাজার হাজার শ্রমিক-কর্মচারির জীবন-জীবিকা বিবেচনায় এনে কিছু শর্তারোপ করে ইতিবাচক সম্মতি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে থেকেই ঋণ গ্রহীতা এ্যাননটেক্স ঋণগুলো পরিশোধে জনতা ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে কাছে অঙ্গীকার ব্যক্ত করে আসছিল। এসব কারণ ছাড়াও বৃহৎ খেলাপী ঋণের অতীত কার্যকলাপ পর্যালোচনায় নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।
উল্লেখ্য, হলমার্ক গ্রুপসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন বন্ধ রেখে খেলাপী ঋণ আদায়ে জটিল পরিস্থিতির উদ্ভব হয়। বিশ্লেষকরা মনে করেন, আইনি পদক্ষেপ নিয়েও হলমার্কের খেলাপী ঋণ আদায় এখনও সম্ভব হয়নি। তাই এ্যাননটেক্সের ঋণ আদায়ে পুনঃতফসিল সমীচিন হয়েছে।

ব্যাংকিংখাতের একজন বিশ্লেষক জানান, বর্তমান বাস্তবতার আলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এতে দেশের স্বার্থ সমুন্নত রেখে ব্যাংকের আয় বৃদ্ধি, শ্রেণীকৃত ঋণ হ্রাস, শাখার লোকসান কভার করে বড় বড় শিল্পে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হয়েছে। চলমান কোভিড পরিস্থিতিতে যেখানে সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। লক্ষ লক্ষ কর্মজীবী মানুষ চাকুরি হারিয়ে বেকার হয়ে পড়ছেন, সেখানে নির্ভরশীল পরিবারগুলোর একমাত্র উপার্জনের উৎসস্থল বন্ধ না করে রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানা চালু রেখে ঋণ আদায়ের সিদ্ধান্ত ব্যাংক ও রপ্তানি খাতে নিঃসন্দেহে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও জনতা ব্যাংককে পৃথক পৃথকভাবে এ্যাননটেক্স গ্রুপের কার্যকলাপ কঠোর নজরদারিতে রাখতে হবে।

এ্যাননটেক্স ও জনতা ব্যাংক সূত্র জানায়, জনতা ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার পর গত সাড়ে সাত বছরে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ১ হাজার ৮০০ কোটি ২৩ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে। ২০১৪ সালে এ্যাননটেক্স গ্রুপ জনতা ব্যাংককে ১৯২ কোটি টাকা পরিশোধ করে। এরপর ২০১৫ সালে ২৩৬ কোটি, ২০১৬ সালে ২৯৬ কোটি, ২০১৭ সালে ৩৪২ কোটি ও ২০১৮ সালে ২৮৬ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে গ্রুপটি। আর ২০১৯ সালে নানা ৮৬ কোটি এবং ২০২১ সালে পরিশোধ করেছে প্রায় ৮৭ কোটি টাকা।

জনতা ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, কোভিড অতিমারির মধ্যে গ্রাহক প্রতিষ্ঠান ৮৬ কোটি টাকা জমা দিয়েছে। আরও ২৫ কোটি টাকা জমা দিবে বলে সম্মতি জানিয়েছে। এজন্য ঋণ তদারক ও আদায়ে জনতা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অভিজ্ঞ ব্যাংকারদের নিয়ে বিশেষ টিম গঠন করেছে। কঠোর নজরদারির মাধ্যমে ঋণ আদায়ে জনতা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সতর্ক থেকে ঋণের তথ্য দফায় দফায় হালনাগাদ রাখছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

প্রিমিয়ার ব্যাংক বন্ডের লেনদেন শুরু সোমবার

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে সদ্য তালিকাভুক্ত প্রিমিয়ার ব্যাংক পারপেচ্যুয়াল বন্ডের শেয়ার লেনদেন শুরু হবে আগামীকাল সোমবার থেকে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিন দেশের উভয় শেয়ারবাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে এ কোম্পানির লেনদেন।

‘এন’ ক্যাটাগরির আওতায় লেনদেন শুরু করা বন্ডটির ট্রেডিং কোড- “PREBPBOND” এবং ডিএসইতে বন্ড কোড নাম্বার- ২৬০০৯ নির্ধারণ করা হয়েছে।

সম্প্রতি বন্ডটি তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। ইতোমধ্যে বরাদ্দ পাওয়া শেয়ার সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের নিজ নিজ বিও হিসাবে জমা হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো; ২য় বিএসসি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বেক্সিমকো লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির ১০৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) লিমিটেড শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮০ কোটি ৫৫ লাখ টাকার।

৬০ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্ লিমিটেড।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- লাফার্জ হোলসিম বিডির ৫৫ কোটি ৪৩ লাখ, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির ৪৯ কোটি ২৯ লাখ, ফরচুন সুজের ৪০ কোটি ৬৩ লাখ, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলসের ৩২ কোটি ২৪ লাখ, ফারইষ্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ২৭ কোটি ৪ লাখ, সাইফ পাওয়ারটেকের ২৬ কোটি ৮৬ লাখ ও দ্যা পেনিনসুলা চিটাগাং লিমিটেডের ২৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

এস আলম রি রোলিংয়ের এজিএম ভেন্যু পরিবর্তন

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি এস আলম কোল্ড রি রোলিং মিলস লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) ভেন্যু পরিবর্তন করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রে জানায়, আগামী ১৫ জানুয়ারি বেলা ১০:৩০ টায় অনলাইন সিস্টেমে এজিএমটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। এরআগে কোম্পানিটির এজিএম চট্টগ্রাম ক্লাব মিলনায়তনে আহবান করা হয়েছিল।

কোম্পানিটির এই বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) অন্যান্য বিষয়বস্তু অপরিবর্তিত থাকবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/রিমা

পদ্মা ব্যাংককে অনৈতিক সুবিধা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক: টিআইবি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বিদেশি বিনিয়োগ আনতে পদ্মা ব্যাংকের আর্থিক বিবরণী থেকে লোকসানের তথ্য গোপন করার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটি বলেছে, এ ধরনের সুবিধা অনৈতিক ও প্রতারণামূলক, যা সামনের দিনে আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশ্বাসযোগ্যতার সমস্যাকে প্রকটতর করবে। পাশাপাশি বিদেশে সুনাম ক্ষুণ্ন করার ঝুঁকি তৈরি করবে। শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।

গণমাধ্যমের তথ্য উদ্বৃত করে এতে বলা হয়েছে, সমস্যাকবলিত পদ্মা ব্যাংকের জন্য ৭০ কোটি ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ আনতে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ডেলমর্গানের শর্তানুযায়ী ব্যাংকটির আর্থিক লোকসানের তথ্য হিসেব বিবরণী থেকে গোপন রেখে আলাদা হিসাব তৈরির ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক সম্মতি দিয়েছে, যা পরবর্তী দশ বছরে ব্যাংকটির মুনাফা থেকে সমন্বয় করার কথা।

দেশের ব্যাংকিং খাতে এমন অনৈতিক উদ্যোগ নজিরবিহীন উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিবচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রতিষ্ঠার কিছু সময়ের মধ্যেই উদ্যোক্তা পরিচালকদের ব্যাপক আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতিতে খেলাপি ঋণে ডুবতে থাকা বেসরকারি ফারমার্স ব্যাংক বাঁচাতে নাম পরিবর্তন (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক), সরকারি চার ব্যাংক ও আইসিবির ৭০০ কোটি টাকার বেশি মূলধন যোগান, বিধিবদ্ধ জমা বা এসএলআর সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা থেকে ছাড়সহ বেশকিছু নীতি সহায়তা দিয়ে আসছে অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এসব ছাড়েও ব্যাংকটির ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বরং দিনকে দিন লোকসানের পাল্লা ভারি হচ্ছে। এমন অবস্থায় লোকসানের তথ্য বাদ দিয়ে আর্থিক বিবরণী পরিষ্কার দেখানোর চেষ্টা হিসাব বিজ্ঞানের দিক থেকে শুধু অনৈতিকই নয় বরং প্রতারণামূলকও। এটি ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের নামে লুণ্ঠনতন্ত্রের পৃষ্ঠপোষকতার নামান্তর।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত কেলেঙ্কারির দায়ে জর্জরিত ব্যাংকটিকে অবসায়ন না করে বাঁচিয়ে রাখার প্রয়াসকে তার সময়ের একটি ভুল সিদ্ধান্ত হিসেবে মন্তব্য করেন। তার এই মন্তব্য উদ্বৃত করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক প্রশ্ন রাখেন- এমন একটি ভুল সিদ্ধান্ত কার বা কাদের স্বার্থে বয়ে নিয়ে চলছে সরকার। আর আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকও কেন ব্যাংকটি বাঁচাবার নামে নজিরবিহীন সব উদাহরণ তৈরির দায় নিচ্ছে, তা পরিষ্কার নয়। তার চেয়েও বড় প্রশ্ন হচ্ছে, আর্থিক বিবরণী কৃত্রিমভাবে ভালো দেখালেই প্রতিশ্রুত বিদেশি বিনিয়োগ যোগাড় করা সম্ভব হবে, তার গ্যারান্টি কি। এমন অনৈতিক ও প্রতারণামূলক পথে হাঁটা অপরিণামদর্শী ও আত্মঘাতী, যা নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যৌক্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

টিআইবি আশা করে, আর্থিক খাতের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ ব্যাংক তার এমন সিদ্ধান্ত পুনরায় মূল্যায়ন করবে। বাস্তবতা বিবেচনায় আইন ও নিয়মকানুন মেনে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার মাধ্যমে ‘দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন’ নীতি বাস্তবায়নে উদাহরণ তৈরি করবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/