যুদ্ধ নিয়ে শেয়ারবাজারে ভয়ের কিছু নাই : বিএসইসি চেয়ারম্যান

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

গত সপ্তাহে যুদ্ধ বা যেকোন কারন হোক, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরী হয়েছিল। বিশ্বের অন্যান্য দেশেও এমন পরিস্থিতি হয়েছে। তবে আমরা স্ট্র্যাটেজিক ও ফাইন্যান্স ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে সেই সংকট কাটিয়ে উঠেছি। এক্ষেত্রে স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আমরা যে উদ্দেশ্যে এই ফান্ড গঠন করেছিলাম, সেটা সত্যিই কাজে লেগেছে। তাই শেয়ারবাজারে ভয়ের কিছু নাই বলে বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। সেই সাথে এই বাজারে বিনিয়োগকারীদের পাশে সরকার থেকে শুরু করে সবাই আছে বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে জন্মবার্ষিকী উদযাপন ও শেয়ারহোল্ডারদের দাবি মিমাংসা’-কে কেন্দ্র করে ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের (সিএমএসএফ) আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ ও বিএপিএলসির সদ্য বিদায়ী সভাপতি আজম জে চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সিএমএসএফের সিওও মনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিএমএসএফ এর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান।

তিনি বলেন, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) আসার পর থেকে জমা হওয়া অবন্টিত লভ্যাংশ কোথায় রাখা হয়েছে বা কোথায় ব্যবহার করা হয়েছে, নাকি কেউ নিয়ে গেছে, তা খুজে বের করা হবে। এই অর্থ খুজে বের করতে আন্তর্জাতিক মানের নিরীক্ষক দিয়ে নিরীক্ষা করা হবে। এর মাধ্যমে ওই টাকা কোথায় গেছে, তা খুজে বের করব। যে টাকা নিজের না, তা আপনারা (কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট) নিলেন কেনো? অন্যের টাকা নিয়ে নিজেদের বিল্ডিং-বাড়ি বানানোর অধিকার কেউ দেয়নি।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বিনিয়োগকারীদের দাবি মেটানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বিনিয়োগকারীরা হয়তো অনেক বছর জানতোই না তাদের পাওনা টাকার বিষয়ে। আজকে পাওয়ার মাধ্যমে তাদের মধ্যে শেয়ারবাজার নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব আসবে। এই বাজারে বিনিয়োগ করলে যে রিটার্ন পাওয়া যায়, তা আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিনিয়োগকারীদের মাধ্যমে বাহিরে ম্যাসেজ চলে যাবে। এছাড়া তাদের পাওনা আদায় করে দেওয়ার জন্য যে রেগুলেটর আছে, সেটা তাদের মধ্যে আস্থার তৈরী করবে।

তিনি বলেন, কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগকারীদের হাজার হাজার কোটি টাকার লভ্যাংশ জমে থাকার বিষয়টি যখন আমরা তুলে নিয়ে আসলাম, তখন কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ওই লভ্যাংশের পাওনাদার বিনিয়োগকারীদের খুজে পাচ্ছে। ঠিক আছে পাক। আমাদের উদ্যোগের ফলে যদি বিনিয়োগকারীরা তাদের পাওনা ফেরত পায়, সেটাও ভালো।

তবে এখনো কিছু কোম্পানি থেকে অবন্টিত লভ্যাংশের হিসাব নেই বলে কমিশনে চিঠি পাঠায় বলে জানান তিনি। অনেকেই মাসের পর মাস সময় চেয়েই যাচ্ছেন। তবে ৩১ মার্চের পরে কমিশন কঠোর হবে। এখনো জরিমানা করা শুরু করিনি, তবে শীগগির কমিশন পদক্ষেপ নেবে। আমরা অনেক সময় দিয়েছে এবং অপেক্ষা করেছি। চলতি মাসের পরে আর সময় দেওয়া হবে না।

অবন্টিত লভ্যাংশের অপব্যবহারকীরদের হুশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, চলতি মাসের মধ্যে যদি ওই লভ্যাংশের হিসাব দিতে না পারে এবং ফান্ড কোথায় রয়েছে বলতে না পারলে ও স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে স্থানান্তর না করলে, কমিশন কঠোর ব্যবস্থা নেবে। যা অবন্টিত লভ্যাংশের থেকে কয়েকগুণ বেশি জরিমানা হবে।

শেয়ারবাজার থেকে কোম্পানির বেরিয়ে যাওয়ার জন্য পলিসি করা হয়েছে উল্লেখ করে শিবলী বলেন, প্রায় ২০টি কোম্পানি এখন শেয়ারবাজার থেকে বেরিয়ে যেতে চায়। ওইসব কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের অর্থ বুঝিয়ে দেবে। যেসব কোম্পানির কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিনিয়োগকারীদের অর্থ ২০-৩০ বছর ধরে আটকে আছে।

তবে বর্তমানে বের হয়ে যাওয়া ও বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফেরক দীর্ঘমেয়াদি বলে জানান তিনি। এটি সহজ করার জন্য সিএমএসএফের হাতে দেওয়া হবে। এখান থেকে বিনিয়োগকারীরা তাদের অর্থ ফেরত পাবে। এভাবে শেয়ারবাজার থেকে বেরিয়ে যেতে চাওয়া কোম্পানিগুলোর ফান্ড সিএমএসএফে নিয়ে আসার চিন্তাভাবনা করছি।

তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ ব্যাংককে বন্ড মার্কেট ছাড়া কোন দেশ উন্নতি হয় না বলে জানিয়েছি। আমরা এই মার্কেটটাকে এগিয়ে নিতে কাজ করছি। তবে বিনিয়োগ সীমার মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করার কারনে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। এ বিষয়টি সমাধানে বাংলাদেশ ব্যাংককে সহযোগিতার জন্য বলেছি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/জেড

দেশে সন্দেহজনক অর্থ লেনদেন বেড়েছে ৪৪ শতাংশ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশে সন্দেহজনক লেনদেন রিপোটিং ও সন্দেহজনক লেনদেন কার্যক্রম অব্যাহত ভাবে বাড়ছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে এই সংক্রান্ত লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৬৬৭ কোটি টাকা। এর আগের অর্থবছরে হয়েছিলো ৯৫৫ কোটি টাকা। সেই হিসাবে বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ৭ হাজার ১২২ কোটি টাকা বা প্রায় ৪৪ শতাংশ।

মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মেলন কক্ষে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

বিএফআইইউর প্রধান মাসুদ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম, বিএফআইইউর পোগ্রামার ইফতেখার মাহমুদ এবং যুগ্ম পরিচালক ইকরামুল হাসান প্রমুখ।

প্রতিবেদনে বলা হয়,২০১৯-২০২০ অর্থবছরে সন্দেহ জনক লেনদেন রিপোটিং (এসটিআর) ও সন্দেহজনক কার্যক্রম রিপোটিং (এসএআর) ছিল ৩ হাজার ৬৭৫ টি। সেখান থেকে করোনাকালীন সময়েও ১ হাজার ৬০৫টি বেড়ে ২০২০-২০২১ সালে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৮০টিতে।

মাসুদ বিশ্বাস বলেন, সন্দেহ জনক লেনদেন বেড়েছে। তবে এটি শুধু দুর্নীতি বাড়ার কারণে হয়েছে তা নয়, এ বিষয়ক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সচেতনতা বৃদ্ধির কারণেও বেড়েছে।

বিএফআইইউ’র প্রধান মাসুদ বিশ্বাস বলেন, এ বছর আমরা বিএফআইইউ’র ২০ বছর পূর্তি উৎযাপন করতে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে আমাদের মানি লন্ডারিং ব্যবস্থা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। তথ্য প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে ব্যবসা এবং ঝুঁকির ধরণ পাল্টেছে। আমরাও বিভিন্নভাবে সমৃদ্ধ হয়েছি।

তিনি জানান, আমরা যেসব সন্দেজনক লেনদেন চিহ্নিত করি তার ২৬ দশমিক এক শতাংশ তথ্য আসে গণমাধ্যম থেকে। গত ৭ মার্চ বিএফআইইউ’র সতন্ত্র ওয়েবসাইট উদ্বোধন করা হয়েছে, যেখানে পরিচয় গোপন করে যে কেউ অভিযোগ করতে পারবেন। সেটাকে গুরুত্ব সহকারে দেখবে গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/জেড

বিমান বাংলাদেশকে আয় বাড়ানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে আয় বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সকালে গণভবনে ‘হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ (১ম পর্যায়) (১ম সংশোধিত)’-শীর্ষক প্রকল্পের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি বিষয়ক উপস্থাপনা অবলোকনকালে এ নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, বিমান সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান প্রমুখ।

হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ (১ম পর্যায়) (১ম সংশোধিত)’-শীর্ষক প্রকল্পের নির্মাণে সার্বিক কাজের ৩২ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

তারা আশা করছেন, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে এয়ারপোর্ট নির্মাণ প্রায় সম্পন্ন হবে।

প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দর সম্প্রসারণে নির্মাণ কাজের গতি বাড়ানোসহ বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেন এবং ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে কাজ করতে বলেন।

একই সঙ্গে তিনি সিকিউরিটি সার্ভিস বাড়াতে সংশ্লিষ্টদের ট্রেনিং বাড়ানোর নির্দেশনা দেন।

পাশাপাশি চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের জন্য জমি অধিগ্রহণের জন্য বলেন প্রধানমন্ত্রী।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে ৭৫ হাজার টন সয়াবিন তেল

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

দেশের বাজারে সয়াবিন তেলের সংকটের সময়ে চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে তিনটি জাহাজ। এই তিন জাহাজে আছে ৭৫ হাজার টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল। আমদানিকারক কোম্পানিগুলোর সূত্রে জানা গেছে, এই অপরিশোধিত সয়াবিন তেল পরিশোধন করে রোজায় বাজারজাত করবে তারা।

সুখবর আরও আছে। সয়াবিন ছাড়াও পাঁচ জাহাজে রোজার পণ্য ছোলা, মটর ডাল, মসুর ডাল, চিনি আনা হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৯৫ হাজার টন। এ ছাড়া রোজায় ব্যবহার বেশি না হলেও তিনটি জাহাজে করে গম আনা হয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার টন। সব মিলিয়ে ১৩ জাহাজে ৪ লাখ ৮২ হাজার টন রোজার পণ্য এসেছে। কোনো কোনো জাহাজের পণ্য এরই মধ্যে খালাস শেষ হয়ে গেছে। খালাস চলছে কোনোটি থেকে। অন্য জাহাজগুলোর পণ্য এখন খালাসের অপেক্ষায়।

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩২ হাজার টন অপরিশোধিত সয়াবিন নিয়ে বন্দর জলসীমায় এসে পৌঁছেছে দুটি জাহাজ। আগামী শনিবার আরও ৪৩ হাজার টন সয়াবিন তেল নিয়ে আরেকটি জাহাজ আসার কথা রয়েছে। সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল, টিকে গ্রুপ ও সেনা এডিবল অয়েল লিমিটেড এই সয়াবিন তেল আমদানি করেছে। এর আগে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে পাম তেল এসেছে ১২ হাজার টন। আরেকটি জাহাজে আনা হয়েছে প্রায় ৫৭ হাজার টন সয়াবীজ। সয়াবীজ মাড়াই করে প্রাণিখাদ্য সয়ামিলের পাশাপাশি অপরিশোধিত সয়াবিন তেল তৈরি করা হয়।

আমদানিকারকেরা বলছেন, প্রায় কাছাকাছি সময়ে সয়াবিন তেলবাহী তিনটি জাহাজের আগমন দেশে এই পণ্যের সংকট হওয়ার যে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল, তা ঘোচাবে। এই তিন জাহাজে সয়াবিন তেল আসার আগে ট্যাংক টার্মিনালে সয়াবিন তেলের মজুত ছিল মাত্র ১৪ হাজার টন। নতুন চালান আসায় শঙ্কা কাটছে। এখন জাহাজ থেকে খালাস করে প্রথমে পতেঙ্গায় ট্যাংক টার্মিনালগুলোতে রাখা হবে। এরপর সেখান থেকে শুল্ককর পরিশোধ করে পরিশোধন কারখানায় নেওয়া হবে। পরিশোধন করে বাজারজাতকরণের প্রক্রিয়া ধারাবাহিকভাবে চলবে বলে তাঁরা জানান।

জানতে চাইলে সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, ‘বিশ্ববাজারে সয়াবিনের দাম বাড়ছে। এরপরও আমদানি অব্যাহত রেখেছি আমরা। নতুন আসা সয়াবিন তেলের চালান দ্রুত খালাস ও পরিশোধন করে বাজারজাত করা হবে। এর বাইরে নতুন করে ঋণপত্র খোলা হয়েছে।’ নতুন আসা চালান আগের চেয়ে বাড়তি দামে কিনতে হয়েছে বলে জানান তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের কমোডোটি এক্সচেঞ্জ শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডের সর্বশেষ লেনদেন অনুযায়ী, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরুর পর সয়াবিন তেলের দাম বেড়েই চলেছে। ১১ মার্চ সয়াবিন তেল বেচাকেনা হয়েছে ১ হাজার ৮১১ ডলারে। আন্তর্জাতিক বাজারেই প্রতি কেজির দাম পড়েছে ১৫৫ টাকা।

কোম্পানিগুলো জানিয়েছে, বিশ্ববাজারে দর বাড়লেও ১১ মার্চের দরে এখনো সয়াবিন আমদানি হয়নি। তবে আমদানিমূল্য বাড়ছে। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি হওয়া অপরিশোধিত সয়াবিনের আমদানিমূল্য পড়েছে প্রতি টন ১ হাজার ৪৮০ থেকে ১ হাজার ৪৯০ ডলার। সেই হিসাবে প্রতি কেজির দাম পড়ে ১২৭ টাকা। এই টাকার সঙ্গে আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট এবং পরিশোধন, পরিবহন ও আনুষঙ্গিক খরচ যোগ করে বাজারে ছাড়বে কোম্পানিগুলো।

সয়াবিনের মতো ছোলা ও মসুর ডালের ৫৮ হাজার টনের দুটি চালান নিয়ে দুটি জাহাজ এসেছিল ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে। জাহাজ দুটি থেকে এসব পণ্য খালাস শেষ হয়েছে দুদিন আগে। এ ছাড়া ৪৭ হাজার টন মটর ডালের একটি চালান এখন খালাস হচ্ছে। আর ৯০ হাজার টন অপরিশোধিত চিনিবাহী দুটি জাহাজ থেকে খালাস চলছে।

ডালজাতীয় পণ্যের বড় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বিএসএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল বশর চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘বছরজুড়ে পণ্য আমদানি করি আমরা। রোজায় বাড়তি চাহিদাকে কেন্দ্র করে আমদানি বেশি হয়।’ তিনি জানান, তাঁর প্রতিষ্ঠানের রোজায় পণ্য আমদানির সিংহভাগই দেশে এসে পৌঁছেছে। রাশিয়া থেকে মটর ডালের একটি চালান আটকে গেছে। এর বাইরে সামান্য কিছু পরিমাণ পণ্য রোজার আগে আসবে। সূত্র : প্রথম আলো

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ভোজ্যতেলের ২০ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের প্রজ্ঞাপন জারি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

পরিশোধিত সয়াবিন তেল ও পরিশোধিত পাম তেলের ওপর ২০ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করে নতুন এসআরও জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

সোমবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে এনবিআর ভ্যাট প্রত্যাহার করেছে। এরমধ্যে ভোজ্যতেল সয়াবিনের উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ৫ শতাংশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমাতুল মুনিম এ প্রজ্ঞাপন জারি করেন। এ প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হইবে এবং ইহা ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

প্রজ্ঞাপন বলা হয়, এসআরও নং-৫০-আইন/২০২২/১৭০-মুসক। সরকার, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ৪৭ নং আইন) এর ধারা ১২৬ এর উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, Customs Act, 1969 (Act No. IV of 1969) এর FIRST SCHEDULE-ভুক্ত পণ্যসমূহের মধ্যে স্থানীয় উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে আরোপিত সব ভ্যাট প্রত্যাহার করা হলো।

এর আগে গত ১ মার্চ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এনবিআরে কাছে ভ্যাট প্রত্যাহারের বিষয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

  1. বেক্সিমকো লিমিটেড
  2. ড্রাগন সোয়েটার স্পিনিং
  3. আমরা নেটওয়ার্কস
  4. আমরা টেকনোলজিস
  5. অগ্নি সিস্টেমস
  6. বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস
  7. বিডিকম অনলাইন
  8. নাহি এলুমিনাম
  9. এ্যাডভেন্ট ফার্মা
  10. ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেড।

ডিএসইতে লেনদেন বাড়লেও কমেছে সিএসইতে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দিনের শেষে সবগুলো সূচক সামান্য বেড়েছে। এদিন সেখানে লেনদেন আগের দিনেরও চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার দিন শেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১.৫৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬৭৬৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ৩.৯৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৪৫৬ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১.৫১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২৪৫৮ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১০৬৫ কোটি ২৮ লাখ টাকা। গতকাল সোমবার সেখানে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৯৮৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

ডিএসইতে আজ ৩৭৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১৫১টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ১৯৯টির, আর দর অপরিবর্তিত আছে ২৯টির দর।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো- বেক্সিমকো লিমিটেড, ড্রাগন সোয়েটার স্পিনিং, আমরা নেটওয়ার্কস, আমরা টেকনোলজিস, অগ্নি সিস্টেমস, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস, বিডিকম অনলাইন, নাহি এলুমিনাম, এ্যাডভেন্ট ফার্মা ও ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেড।

অন্যদিকে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ৪১.৫১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৯ হাজার ৭১৬ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ৩১০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৪০টির, কমেছে ১৩৮টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা। গতকাল সোমবার সেখানে লেনদেন হয়েছে ৩০ কোটি ১ লাখ টাকা।

দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে আমরা নেটওয়ার্কস ও বেক্সিমকো লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

কাট্টালি টেক্সটাইলের বোর্ড সভা আজ

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভূক্ত বস্ত্র শিল্প খাতের কোম্পানি কাট্টালি টেক্সটাইল লিমিটেডের চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক বোর্ড সভা আজ ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আজ বেলা ৫টায় চট্টগ্রামে অবস্থিত নিজস্ব অফিসে অনুষ্ঠিত এ বোর্ড সভায় কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস ও ন্যাভসহ অন্যান্য আর্থিক তথ্য শেয়ারহোল্ডারদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং) রেজুলেশন ২০১৫ এর ১৬(১) ধারা অনুযায়ী, এই বোর্ড সভায় কোম্পানিটির চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত এই আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

ফারইষ্ট নিটিংয়ের ঋণমান প্রকাশ

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি ফারইষ্ট নিটিং এন্ড ডায়িং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ঋণমান প্রকাশ করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন এন্ড সার্ভিসেস লিমিটেড। সম্প্রতি এই রেটিং প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত অনুযায়ী কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদি ঋণমাণ এএ ও স্বল্পমেয়াদি ঋণমান এসটি-২ এসেছে।

২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছর নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ সালের অনরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে সিআরআইএসএল।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

ট্রাষ্ট ব্যাংকের ৪০০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকিং খাতের প্রতিষ্ঠান ট্রাষ্ট ব্যাংক লিমিটেড ৪০০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়বে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডের সভায় এই ফুললি রেডিমেবল নন কনভারটেবল আন-সিকিউর সাবর্ডিনেট বন্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়।

ব্যাংকটি সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের এবং শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন পেলেই বন্ডটি ইস্যু করতে পারবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আর