১৭ হাজার ৫শ’ কোটি টাকার সম্পূরক বাজেট পাস

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

চলমান ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ১৭ হাজার ৫২৪ কোটি ৬৪ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পূরক বাজেট পাস করেছে জাতীয় সংসদ। সংসদে চলমানে বাজেটে আগের দেয়া মূল বরাদ্দের অতিরিক্ত ব্যয়ের দাবি মেটাতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা বিভাগ কর্তৃক খরচকৃত টাকার অনুমোদন দিতেই এই সম্পূরক বাজেট পাস করা হয়। সংশোধিত বাজেটে ২৭টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বরাদ্দ ১১ হাজার১৫ লাখ ৭২ হাজার ৪৪ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বরাদ্দ ৬ কোটি ৩৬ লাখ ৭৪ হাজার, ৩৬১ টাকা হ্রাস পেয়েছে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনের আজকের বৈঠকে কণ্ঠভোটে ‘নির্দিষ্টকরণ (সম্পূরক) বিল-২০২২’ ও একইসঙ্গে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট পাস হয়। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে উপস্থিত ছিলেন। এরআগে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন।

সংযুক্ত তহবিলের উপর দায়যুক্ত সম্পূরক ব্যয় নির্বাহের জন্য এবং চলতি অর্থ বছরের ৩০ জুন সমাপ্য অর্থবছরের জন্য সরকরের অনুমিত ব্যয় সম্পর্কে জাতীয় সংসদ কর্তৃক প্রদত্ত মঞ্জুরিসমূহের বিপরীতে সংযুক্ত তহবিল প্রয়োজনীয় অর্থ ‘নির্দিষ্টকরণের’ বিধান করতে এই সম্পূরক বিলটি আনা হয়। গত ৯ জুন জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের সাধারণ বাজেট পেশ হয়। একই সাথে পেশ হয় চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট।

সম্পুরক বাজেটের আওতায় ২৭টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বিপরীতে ১৭ হাজার ৫২৪ কোটি ৬৪ লাখ ৫ হাজার টাকার বরাদ্দ অনুমোদন দেয়া হয়। এর মধ্যে সর্বাধিক ৫ হাজার ৩০৭ কোটি ৫৬ লাখ ৬১ হাজার টাকা অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন অর্থ বিভাগ খাতে বরাদ্দ অনুমোদন করা হয়েছে। এর পরেই রয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এই মন্ত্রণালয়কে ২ হাজার ৭৪২ কোটি ৩৪ লাখ ৬৪ হাজার টাকা বরাদ্দ অনুমোদন করা হয়। তৃতীয় সর্বোচ্চ খাদ্য মন্ত্রণালয়কে ২ হাজার ৩৩৪ কোটি ৪৬ লাখ ৮৮ হাজার টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ অনুমোদন দেওয়া হয়। সবচেয়ে কম এক কোটি ১৪ লাখ ৩১ হাজার টাকা বরাদ্দ পেয়েছে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

সম্পূরক বাজেট পাসের আগে ২৭টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের ২৬টি মঞ্জুরি দাবি উত্থাপিত হয়। এসব দাবির ওপর বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও গণফোরামের সংসদ সদস্যরা ২৩৮টি ছাঁটাই প্রস্তাব দেন। ছাঁটাই প্রস্তাবগুলোর মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য শিক্ষা পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব নিয়ে সংসদে আলোচনা হয়।

আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের ওয়াসিকা আয়শা খান ও আহসানুল ইসলাম টিটু, জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, রওশন আরা মান্নান ও পীর ফজলুর রহমান, বিএনপি’র মো. হারুনুর রশীদ, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, মো. মোশাররফ হোসেন, গণফোরামের মোকাব্বির খান এবং স্বতন্ত্র সদস্য রেজাউল করিম বাবলু। তারা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমালোচনার পাশাপাশি সম্পূরক বাজেট বরাদ্দ না দেওয়ার দাবি জানান।

সাংবিধানিক নিয়ম অনুসারে যেসব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ বাজেটের বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় করতে পারেনি তাদের হ্রাসকৃত বরাদ্দের জন্য সংসদের অনুমতির কোন প্রয়োজন হয় না। কিন্তু যেসব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ অতিরিক্ত ব্যয় করেছে কেবলমাত্র তাদের বরাদ্দই সংসদের অনুমতির প্রয়োজন হয়। এরই প্রেক্ষিত্রে সংসদে এই সম্পূরক বাজেট পাস হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/////

ফল উৎপাদন বাড়ার রেকর্ডে বাংলাদেশ : কৃষিমন্ত্রী

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ ফল উৎপাদনে বিশ্বে সফলতার উদাহরণ হয়ে উঠেছে। এ মুহূর্তে বিশ্বে ফলের উৎপাদন বাড়ার সর্বোচ্চ হারের রেকর্ড বাংলাদেশের।

বছরে সাড়ে ১১ শতাংশ হারে ফল উৎপাদন বাড়ছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেন, গত ১২ বছরে ফলের উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি ২২ শতাংশ। ফলে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু দানাজাতীয় শস্য গ্রহণের পরিমাণ কমেছে ও মাথাপিছু ফল গ্রহণের পরিমাণ বেড়েছে। ২০০৮-০৯ সালে দেশে ফলের উৎপাদন ছিল প্রায় ১ কোটি টন। আর বর্তমানে ফলের উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ১ কোটি ২২ লাখ টন। ২০০৬ সালে মাথাপিছু ফল গ্রহণের হার ছিল ৫৫ গ্রাম, যা বেড়ে এখন হয়েছে ৮৫ গ্রাম।

সোমবার (১৩ জুন) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় ফল মেলা-২০২২ উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংস্থাপ্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মৌসুমি ফল উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের তালিকায় নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ। কাঁঠাল উৎপাদনে বিশ্বে দ্বিতীয়, আমে সপ্তম, পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম, পেঁপেতে ১৪তম স্থানে আছে বাংলাদেশ। নিত্যনতুন ফল চাষের দিক থেকেও বাংলাদেশ সফলতা পেয়েছে। ২০ বছর আগে আম আর কাঁঠাল ছিল এ দেশের প্রধান ফল। এখন বাংলাদেশে ৭২ প্রজাতির ফলের চাষ হচ্ছে, যা আগে হত ৫৬ প্রজাতির।

স্টকমার্কেটবিডি.কম//

আসন্ন বাজেট নিয়ে ডিএসই’র ৬ প্রস্তাব

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

করোনাভাইরাসের কারণে অন্য সব খাতের মত অর্থনীতির চালিকাশক্তি দেশের শেয়ারবাজারও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে৷ শেয়ারবাজারকে আরো বিকশিত ও গতিশীল করতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) নিম্নোক্ত প্রণোদনা সমূহ সদয় বিবেচনার জন্য ৬টি প্রস্তাব জানিয়েছে।

প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে শনিবার (১১ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে আয়োজন করে ডিএসইর পক্ষ থেকে এমন অভিমত দেওয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে ডিএসইর চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তারেক আমিন ভূঁইয়া, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা সাইফুর রহমান মজুমদার, শেয়ারহোল্ডার পরিচালক সিদ্দিকুর রহমান এবং শরীফ আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে যে ৬টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয় সেগুলো হলো :

১) বন্ডবাজার সম্প্রসারণঃ একটি স্বতন্ত্র বন্ড মার্কেট তৈরীর জন্য রেগুলেটরী এবং টেকনোলজিক্যাল কাঠামো সম্পূর্ণরূপে তৈরী করা হয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে কর্পোরেট বন্ড মার্কেটের আকার খুবই ছোট। আমরা মনে করি একটি সময়োপযোগী নীতি সহায়তার মাধ্যমে কার্যকর বন্ড মার্কেট তৈরী করা গেলে দেশের শেয়ারবাজার তথা সমগ্রিক অর্থনীতি উপকৃত হবে। সে জন্য জিরো কূপন বন্ডের মতো সকল প্রকার কর্পোরেট বন্ডের উদ্ভূত সুদ বিনিয়োগকারী নির্বিশেষে কর মুক্ত রাখার প্রস্তাব করছি।

২) কর্পোরেট করহার হ্রাসকরণঃ প্রস্তাবিত বাজেটে ১০ শতাংশের অধিক শেয়ার আইপিও’র মাধ্যমে হস্তান্তর হলে ঐ তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য করহার ২২.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে৷ যা অত্যন্ত সময়োপযোগী পদক্ষেপ। শেয়ারবাজারের টেকসই সম্প্রসারণের জন্য তালিকাভুক্ত এবং অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহারের ব্যবধান নূন্যতম ১০% করার প্রস্তাব করছি।

৩) তালিকাভুক্ত কোম্পানি থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশের করমুক্ত সীমাবৃদ্ধিকরণঃ শেয়ারবাজারে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা ৫০,০০০ থেকে নূন্যতম ১০০,০০০ টাকা করার প্রস্তাব করছি। পাশাপাশি লভ্যাংশ থেকে উৎসে কর চুড়ান্ত করদায় হিসেবে বিবেচনা করার দাবি জানাচ্ছি।

৪) এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার হ্রাসকরণঃ ২০২১ সালে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এসএমই বোর্ড নামে একটি পৃথক বোর্ড চালু করে। যার উদ্দেশ্য হচ্ছে স্বল্প মূলধনী কোম্পানিগুলোকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করে দীর্ঘমেয়াদী মূলধন যোগান ও কর্পোরেট গভর্ন্যান্স উন্নতরণ। এই বোর্ডে কোম্পানিগুলোকে আগ্রহী করার জন্য নূন্যতম ৫ বছরের জন্য হ্রাসকৃত ১০% হারে কর ধার্য্য করার দাবি জানাচ্ছি।

৫) প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ আয়ের উপর কর হ্রাসঃ কোম্পানিগুলো কর পরবর্তী মুনাফা থেকে লভ্যাংশ প্রদান করে। লভ্যাংশ আয়ের উপর কর প্রকৃতপক্ষে দ্বৈত কর। এজন্য কর্পোরেট শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ আয়ের উপর কর ২০% থেকে হ্রাস করে ১০% করার প্রস্তাব করছি। একই সাথে কর্পোরেট করদাতাদের ক্ষেত্রে লভ্যাংশ আয়ের উপর চুড়ান্ত করহার ১০% করার দাবি করছি।

৬) স্টক এক্সচেঞ্জে ট্রেকহোল্ডারদের উৎসে কর হ্রাসঃ শেয়ারবাজারের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে ব্রোকারেজ হাউজকে ন্যয়সগত অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত করতে বিদ্যমান অযৌক্তিক করনীতি থেকে অবমুক্তি দিয়ে সিকিউরিটিজ লেনদেনের উপর প্রদত্ত অগ্রিম আয়কর ০.০৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.০১৫ শতাংশ (পূর্বে এটি ০.০১২৫ শতাংশ ছিল) করতে অথবা আয়কর অধ্যাদেশ মোতাবেক নিয়মিত হারে আয়কর প্রদানের আদেশ জারী ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

দীর্ঘমেয়াদী মূলধন সংগ্রহের অন্যতম মাধ্যম হলো দেশের শেয়ারবাজার। তাই “কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন” শীর্ষক প্রস্তাবিত বাজেটকে দেশের শেয়ারবাজারই সরকারের কাঙ্খিত লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে বলে ডিএসই মনে করে৷

স্টকমার্কেটবিডি.কম//

প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের ২ লাখ শেয়ার ক্রয়ের সিদ্ধান্ত

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক:

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি প্রাইম ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের একজন পরিচালক শেয়ার ক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছে। ডিএসই’র ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সুরাজন ঘোষ নামে বিমা কোম্পানির এ পরিচালক ২ লাখ শেয়ার চলমান বাজার দরে ক্রয়ের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

ঘোষণার পর ৩০ দিনের মধ্যে উল্লেখিত পরিমাণ শেয়ার ক্রয় করা হবে বলে বিমাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।

এ পরিচালক এসব শেয়ার চলমান বাজার দরে পাবলিক হতে ক্রয় করবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম.

দুলামিয়া কটনের মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি দুলামিয়া কটন স্পিনিং মিলস লিমিটেডের সাম্প্রতিক সময়ে শেয়ার দর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই বলে জানিয়েছে। জানতে চাইলে কোম্পানিটির পক্ষ থেকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) এ কথা জানানো হয়েছে। ডিএসই’র ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, গত ২৫ মে শেয়ার দর ছিল ৫০.১০ টাকা। আজ ১৩ জুন সর্বশেষ তা ৭৩.৭০ টাকায় লেনদেন হয়েছে।

কোম্পানিটির শেয়ারের এ দর বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছে ডিএসই। তবে দর বাড়ার পেছনে মূল্য সংবেদনশীল কোন তথ্য কি তা জানতে চায় ডিএসই।

এ সময় দুলামিয়া কটন স্পিনিং মিলস লিমিটেডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি শেয়ারটির দর বৃদ্ধির পেছনে মূল্য সংবেদনশীল অপ্রকাশিত কোন তথ্য তাদের কাছে নেই।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

ড. ইউনূসের মামলার কার্যক্রম দুই মাস স্থগিত

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম নিম্ন আদালতে দুই মাসের জন্য স্থগিত থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে আগামী দুই মাসের মধ্যে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলা কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চেয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার পূর্বের আদেশে সংশোধন করে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

এর আগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা করে ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ মামলা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। পরে মামলার বিবাদীদের হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন আদালত।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও শাহজাহান। এই তিন আসামিও পৃথকভাবে মামলার আবেদন করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের কর্মকর্তারা ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তারা শ্রম আইনের কিছু লঙ্ঘন দেখতে পান। এর মধ্যে ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। এছাড়া কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেয়ার কথা থাকলেও তা তাদের দেওয়া হয়নি। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে এ মামলা করা হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম//

লেনদেনের শীর্ষে আইপিডিসি; ২য় শাইনপুকুর

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে আইপিডিসি লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির ৭৬ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেড শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৮ কোটি ১০ লাখ টাকার।

এসিআই ফর্মূলেশন লিমিটেড ২৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১৯ কোটি ৯৫ লাখ, জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিটির ১৯ কোটি ২১ লাখ, বেক্সিমকো লিমিটেডের ১৮ কোটি ৮২ লাখ, বিডিকম অনলাইনের ১৬ কোটি ৮৫ লাখ, সালভো কেমিক্যালসের ১৫ কোটি ৫৩ লাখ, কাসেম ইন্ডাস্ট্রিজের ১২ কোটি ৩৪ লাখ ও নাহী এলুমিনাম কম্পোজিট প্যানেল লিমিটেডের ১০ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

  1. আইপিডিসি
  2. শাইনপুকুর সিরামিকস
  3. এসিআই ফর্মূলেশন
  4. ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স
  5. জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিটি
  6. বেক্সিমকো লিমিটেড
  7. বিডিকম অনলাইন
  8. সালভো কেমিক্যালস
  9. কাসেম ইন্ডাস্ট্রিজ
  10. নাহী এলুমিনাম কম্পোজিট প্যানেল লিমিটেড।

বাজেট পরবর্তী দ্বিতীয় কার্যদিবসেও সূচকের পতন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের শেয়ারবাজারে চলতি সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিসে আজ সোমবার নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার পর দ্বিতীয় দিনেও দরপতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন বাড়লেও ঢাকা স্টক এক্স‌চে‌ঞ্জের (ডিএসই) সবগুলো সূচক কমেছে। পাশাপাশি এ সময় পর্যন্ত এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া অধিকাংশ শেয়ারের দর কমেছে। এদিন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

গত বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করেন।

আজ সোমবার দিনশেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৯.৪৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬৩৯১ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ৮.২৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩৯৪ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৭.৬৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২৪১৬ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৯৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা। গতকাল রবিবার সেখানে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৬৩৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

ডিএসইতে দিনভর ৩৭৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ৮৪টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ২৫৩টির, আর দর অপরিবর্তিত আছে ৪২টির দর।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো- আইপিডিসি, শাইনপুকুর সিরামিকস, এসিআই ফর্মূলেশন, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, জেএমআই হসপিটাল রিকুইরিজি, বেক্সিমকো লিমিটেড, বিডিকম অনলাইন, সালভো কেমিক্যালস, কাসেম ইন্ডাস্ট্রিজ ও নাহী এলুমিনাম কম্পোজিট প্যানেল লিমিটেড।

অন্যদিকে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ১০১.৭১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৮ হাজার ৭৮৯ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ২৯১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৬৯টির, কমেছে ১৯০টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা। গতকাল রবিবার লেনদেন হয়েছিল ২০ কোটি ৪ লাখ টাকা।

দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে লাফার্জ হোলসিম বিডি ও ইষ্টার্ণ ব্যাংক লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম//

বিনিয়োগ আকর্ষণে দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় বাংলাদেশ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) ২০২১ সালে তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ভারতের পর দ্বিতীয় শীর্ষ গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। দ্য ওয়ার্ল্ড ইনভেস্টমেন্ট রিপোর্ট (ডাব্লিউআইআর) ২০২২ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা আংকটাডের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে এফডিআই এসেছে প্রায় ২৯০ কোটি ডলার।

আংকটাডের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বাংলাদেশে এফডিআই আগের বছরের চেয়ে ১৩ শতাংশ বেড়ে মহামারির প্রায় আগের অবস্থানে চলে এসেছে। ২০২১ সালে বাংলাদেশে ২.৮৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ হয়েছিল। এক বছরে আন্তর্জাতিক প্রকল্পের সংখ্যাও তিন গুণ বেড়েছে। এর আগে পরপর দুই বছর এফডিআই অনেক বেশি হারে কমে ২০২০ সালে ছিল ২৫৬ কোটি ৪০ লাখ ডলারে এবং ২০১৯ সালে এর পরিমাণ ২৮৭ কোটি ৪০ লাখ ডলারে নেমেছিল। তবে দেশে এর আগের বছর ২০১৮ সালে রেকর্ড এফডিআই এসেছিল, ৩৬১ কোটি ৩০ লাখ ডলার।

আংকটাডের প্রতিবেদনে ২০২১ সালে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক প্রকল্পের চুক্তির পরিমাণ অনেক বাড়ার খবরও প্রকাশ করা হয়েছে। গত বছর মোট ৪৭০ কোটি ডলারের আন্তর্জাতিক ১৪টি প্রকল্পের চুক্তি হয়েছে, যা আগের বছরের তিন গুণ। এর মধ্যে ২০০ কোটি ডলার ব্যয়ে চট্টগ্রামের উত্তর হালিশহরের আনন্দ বাজারে একটি কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পটি সবচেয়ে বড়। একই সময়ে বিদেশে বাংলাদেশি উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের প্রবাহও আগের বছরের চেয়ে সাত গুণের বেশি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ২০ লাখ ডলারে। ২০২০ সালে যা ছিল এক কোটি ২০ লাখ ডলার।

২০২১ সালে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) মধ্যে এফডিআই টানার ক্ষেত্রে সেরা পাঁচে ছিল বাংলাদেশ। আংকটাডের প্রতিবেদনে দেখা যায়, এলডিসিভুক্ত দেশগুলোতে ১৩ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগ বেড়ে ২৬ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/