দিনশেষে লেনদেনের সাথে সূচকের পতন 

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্স‌চে‌ঞ্জের (ডিএসই) সবগুলো সূচক কমেছে। এদিন সেখানে লেনদেনও আগের দিনের চেয়ে অনেকটা কম হয়েছে। এদিন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক ও লেনদেন কমেছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিসে মঙ্গলবার দিনশেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৫.৭২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬৩১১ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ৯.১১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩৭৮ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৯.১৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২২৯৫ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭২৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। গতকাল সোমবার সেখানে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৮২২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

ডিএসইতে দিনভর ৩৮২টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ৫৭টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ২৮২টির, আর দর অপরিবর্তিত আছে ৪৩টির দর।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো- বেক্সিমকো লিমিটেড, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, ফুয়াং ফুডস, জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিটি, শাইনপুকুর সিরামিকস, আরএকে সিরামিকস, ন্যাশনাল ব্যাংক, এইচ আর টেক্সটাইল, প্রাইম ইন্স্যুরেন্স ও বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন লিমিটেড।

অন্যদিকে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ১৩৭.৩৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৮ হাজার ৫৯১ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ২৭৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৩৪টির, কমেছে ২১১টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা। গতকাল সোমবার লেনদেন হয়েছিল ৫৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।

দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে ওরিয়ন ফার্মা ও প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম//

এনসিসি ব্যাংকের ৮১ হাজার শেয়ার বিক্রির ঘোষণা

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকিং খাতের প্রতিষ্ঠান এনসিসি ব্যাংক লিমিটেডের একজন উদ্যোক্তা ৮১ হাজার শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সূত্র জানায়, নিসার কাদের নামে এই উদ্যোক্তা পরিচালক ৮১ হাজার শেয়ার বিক্রি করবেন। ঘোষণার সময় তার হাতে প্রতিষ্ঠানটির ২০ লাখ ৪৫ হাজার ১০৩টি শেয়ার রয়েছে।

ঘোষণার পর ৩০ দিনের মধ্যে এই উদ্যোক্তা পরিচালক উল্লেখিত পরিমাণ শেয়ার পাবলিক মার্কেটে বিক্রি করবেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

বিনিয়োগকারীদের আস্থা ধরে রাখতে হবে: ডিএসইর চেয়ারম্যান

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান বলেছেন, দেশের শেয়ারবাজারের প্রতি জনগণের যে আস্থা তৈরি হয়েছে, তা যাতে ব্যাহত না হয় সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। বিশেষ করে শেয়ারবাজার বর্তমানে যে অবস্থায় আছে তাকে আরও গতিময় করা এবং সব ক্ষেত্রে আধুনিকায়ন করা দরকার।

ডিএসইকে এখন চিন্তা করতে হবে বিশ্ব যেভাবে আধুনিকায়ন হচ্ছে সেভাবে শেয়ারবাজারকে এগিয়ে নিতে হবে। পাশাপাশি আইনের মধ্যে থেকে সঠিকভাবে স্টক এক্সচেঞ্জের কার্যক্রম বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

সোমবার (২০ জুন) ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডি রোজারিও এর নেতৃত্বে ডিবিএ’র পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে তিনি একথা বলেন। ডিএসই ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

ডিএসই’র চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান বলেন, ডিবিএ দেশের শেয়ারবাজারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন এবং এ সংগঠনের প্রত্যেক সদস্যদের রয়েছে দীর্ঘদিনের বহুমুখী অভিজ্ঞতা। আপনাদের মধ্যে রয়েছে নতুন এবং পুরাতনের সংমিশ্রণ। পুরাতনদের অভিজ্ঞতা আর নতুনদের কর্মস্পৃহায় দেশের শেয়ারবাজারকে আগামীতে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে বিশ্বাস করি।

ডিবিএ’র প্রতিনিধিরা বলেন, ডিএসই’র সব ক্ষেত্রে আধুনিকায়ন করে বাস্তবতার নিরিখে সমন্বয়ের মাধ্যমে উক্ত প্রতিষ্ঠানের সেবাদানের পেশাদারীত্বের আরও উন্নয়ন ঘটবে।

প্রতিনিধিরা আরও বলেন, শেয়ারবাজারের পণ্যের বৈচিত্র্যতার আরও প্রসার ঘটিয়ে ডিএসই ইনকামের বিভিন্ন সোর্স তৈরি করার পাশাপাশি প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও সক্ষমতা অর্জন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট সব মহল তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করে দেশের অর্থনীতির চাকাকে আরও সচল করবে এবং ডিএসইর কর্মকাণ্ড আরও গতিশীল ও কার্যকর হবে, এ প্রত্যাশা আমাদের সবার। এ ব্যাপারে ডিবিএ’র সহযোগিতা সব সময় ডিএসই পাশে থাকবে বলে ব্রোকার প্রতিনিধিরা আশ্বস্ত করেন এবং পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে শেয়ারবাজারকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

শেয়ারবাজার উন্নয়নে এই অ্যাসোসিয়েশনের প্রতি স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও ডিএসইর চেয়ারম্যান আশ্বস্ত করেন।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিবিএ’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সাজেদুল ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুদদিনসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা। বৈঠকে ডিএসই’র পক্ষে ছিলেন পরিচালক সালমা নাসরিন, হাবীবুল্লাহ বাহার, মো. শাকিল রিজভী, মোহাম্মদ শাহজাহান, শরীফ আনোয়ার হোসেন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূইয়াসহ ডিএসইর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম///

ফুয়াং সিরামিকসের ৩য় প্রান্তিকের প্রতিবেদন প্রকাশ

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারের তালিকাভূক্ত সিরামিকস শিল্প খাতের কোম্পানি ফুয়াং সিরামিকস লিমিটেড চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিন মাসে (জানু-মার্চ,২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.০৬ টাকা। গত বছরের এ সময়ের কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ০.০৬ টাকা।

আর ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ,২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.২৩ টাকা। গত বছরের এ সময়ের কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ০.২৮ টাকা।

এই প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদের মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১১.৭৮ টাকা। যা গত বছরের ৩০ জুন ছিল ১১.৭০ টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম//

অর্থবছরের ১১ মাসে ২৬ হাজার কোটি টাকা কৃষিঋণ বিতরণ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ব্যাংক খাতে ২৮ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এর মধ্যে ১১ মাসে (জুলাই-মে) ব্যাংকগুলো ঋণ বিতরণ করেছে ২৫ হাজার ৯৬৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।

বিতরণকৃত এ ঋণ বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার ৯১.৪৬ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগের (২০২০-২০২১) অর্থবছরে ২৬ হাজার ২৯২ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে প্রথম ১১ মাসে বিতরণ হয়েছিল ২১ হাজার ৯৭০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা যা লক্ষ্যমাত্রার ৮৩.৫৬ শতাংশ।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় চলতি অর্থবছর কৃষিঋণ বিতরণের চাহিদা এবং আদায়, দুইই বেড়েছে। গত ২০২০-২০২১ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) ২১ হাজার ৯৭০ কোটি ৩৯ লাখ টাকার (৮৩.৫৬ শতাংশ) কৃষিঋণ বিতরণ করা হয়েছিল। আর চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের ১১ মাসে ২৫ হাজার ৯৬৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা বা ৯১.৪৬ শতাংশ বিতরণ করা হয়েছে। সে হিসাবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরে ঋণ বিতরণ ১৮.১৮ শতাংশ বেড়েছে। অবশ্য গত অর্থবছরে করোনার প্রকোপ থাকায় কৃষিঋণ বিতরণ ও আদায় কম ছিল। চলতি অর্থবছরে শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে বলে আশা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ২৪ হাজার ৬১ কোটি ২৬ লাখ টাকা ঋণ পরিশোধ করেছেন কৃষকরা। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৬২৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা বেশি।

চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরে সরকারি মালিকানার বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর জন্য লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ১১ হাজার ৪৫ কোটি টাকা। আলোচিত সময়ের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) এই ব্যাংকগুলো সময়ে বিতরণ করেছে ১০ হাজার ৬৯৪ কোটি টাকা। যা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার ৯৬.৮৩ শতাংশ।

এসময়ে বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর জন্য নির্ধারিত ১৭ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বিতরণ হয়েছে ১৫ হাজার ২৭১ কোটি টাকা বা ৮৮.০৪ শতাংশ।

বর্তমানে ব্যাংক খাতে কৃষিঋণের স্থিতি ৪৯ হাজার ৫৫১ কোটি টাকা। এর মধ্যে এপ্রিল পর্যন্ত কৃষি খাতে খেলাপি ঋণ ৩ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা বা মোট ঋণের ৭.৬৭ শতাংশ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম///