চিনি শিল্পকে লাভজনক করতে হবে: শিল্প প্রতিমন্ত্রী

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

চিনিকে সম্ভাবনাময়ী শিল্প হিসেবে আখ্যায়িত করে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেছেন, চিনি শিল্পকে লাভজনক করতে হবে। এজন্য আখ চাষ ও চিনি উৎপাদনে আধুনিক প্রযুক্তি ও উপকরণ ব্যবহারে গুরুত্ব দিতে হবে।

বুধবার (২৯ জুন) দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলের চিনিশিল্প ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ চিনিশিল্প করপোরেশন শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশনের নির্বাচিত সদস্যদের শপথগ্রহণ উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, সময়ের চাহিদায় উচ্চ ফলনশীল আখ চাষের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের মৌসুমি ও অর্থনৈতিক ফসল ফলাতে হবে। চিনিকলগুলো থেকে উৎপাদিত পণ্যের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী বাংলাদশে চিনিশিল্প করপোরেশন শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশনের নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২৩ সদস্যের কার্যকরী সংসদের নেতাদের শুভচ্ছো ও অভিনন্দন জানান। তিনি সবাইকে আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদশ চিনিশিল্প করপোরেশন শ্রমিক-র্কমচারী ফেডারেশনের সভাপতি মো. মাসুদুর রহমান। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. রায়হানুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. আরিফুর রহমান অপু প্রমুখ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম//

বাজেট দেশীয় লিফট উৎপাদন শিল্প বিকাশের পথ সুগম করবে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে লিফট বা এলিভেটর পণ্যের স্থানীয় শিল্পের বিকাশ ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ খাতে আমদানি নিরুৎসাহিত করতে এবং স্থানীয় শিল্প-উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে লিফট আমদানিতে শুল্কহার বাড়ানো হয়েছে। বিষয়টিকে দেশীয় শিল্পের জন্য খুবই ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা। তাদের অভিমত- প্রস্তাবিত বাজেট দেশীয় শিল্পবান্ধব হয়েছে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, সরকারের উদ্দেশ্য স্থানীয় শিল্পের বিকাশের স্বার্থে শুল্ক বাড়ানোর মাধ্যমে আমদানি নিরুৎসাহিত করা। এরফলে লিফটের মতো ভারী শিল্পে বিপুল বিনিয়োগ আসবে। দেশে এ শিল্পের বিকাশ ও প্রসার ঘটবে। এতে একদিকে যেমন আমদানি ব্যয় হ্রাস পাবে, অন্যদিকে স্থানীয় উৎপাদন ও কর্মসংস্থান বাড়বে। যা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তাঁর বাজেট বক্তব্যে জানিয়েছেন স্থানীয় শিল্পের বিকাশ এবং এ খাতের উদ্যোক্তাদের স্বার্থে লিফট আমদানিতে শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, দেশে লিফটের চাহিদা বাড়ছে। স্থানীয় উদ্যোক্তারা লিফট উৎপাদন শিল্পে অধিক হারে বিনিয়োগ শুরু করেছেন। অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যে এ খাতের উদ্যোক্তাদের যথেষ্ঠ ইতিবাচক মনে হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী বলেন, যে কোনো দেশের অগ্রগতির ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হলে তাকে অবশ্যই ডোমেস্টিক উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে হবে। আপনি শুরু থেকেই যদি দেশীয় ইনফ্যান্ট ইন্ডাস্ট্রিকে কম্পিটিশনের মধ্যে ছেড়ে দেন, তাহলে সে কিন্তু শুরুতেই ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই তাকে শুরুতে অনেক বেশি সুযোগ দিতে হবে এবং সে যাতে উঠে দাঁড়াতে পারে এজন্য সরকারকে সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

এ খাতের দেশীয় একটি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, তারা আমাদের দেশের জন্য বাইরে থেকে যেমন সুনাম বয়ে আনছে, তেমনিভাবে দেশের স্বনির্ভরতা বাড়াচ্ছে। আর এ স্বনির্ভরতাই বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন। দেশীয় উৎপাদকদের সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি অবশ্যই আমাদের জন্য একটা ইতিবাচক দিক।

অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলিকুজ্জামান বলেন, প্রস্তাাবিত বাজেটে দেশের ভেতর যেসব পণ্য উৎপাদন করা যায়, সেগুলো বিদেশ থেকে আনা নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এতে দেশীয় কোম্পানি বা উদ্যোক্তারা সুবিধা পাবে। অর্থনৈতিক কর্মকা- বর্ধিত হবে। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকতে পারে। আমরা একে ইতিবাচক হিসেবে দেখি।

এনবিআর-এর সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, দেশীয় শিল্প বিকাশে সরকার কর্তৃক এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়। শিল্পায়নের বিকাশে এটি কার্যকর ভূমিকা পালন করে, পাশাপাশি ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ বুস্ট-আপ হয়। তার মতে এক্ষেত্রে আমাদের দায়বদ্ধতা যেমন বাড়ে, তেমনই দেশে উদ্যোক্তা তৈরি হয়।

জানা গেছে, দেশে লিফটের বিপুল চাহিদা রয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রমতে, করোনার মধ্যেও ২০২০ সালে ৭০৭ কোটি টাকার লিফট আমদানি হয়েছে। ২০২১ সালে এ খাতে আমদানির পরিমাণ ৮৮৫ কোটি টাকা। খাত সংশ্লিষ্টদের মতে বর্তমানে দেশে লিফটের বাজার ১২০০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ প্রতি বছর এ খাতের প্রবৃদ্ধি ২০ শতাংশেরও বেশি।
আমদানির মাধ্যমে লিফটের স্থানীয় চাহিদা মেটানোয় বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হচ্ছে। অন্যদিকে আমদানি লাভজনক হওয়ায় সেদিকেই ঝুঁকছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা। ¯্রােতের বিপরীতে গিয়ে দু-একটি প্রতিষ্ঠান দেশে লিফট উৎপাদন প্ল্যান্ট গড়ে তুলেছে। বর্তমানে দেশে উৎপাদিত লিফট দিয়ে সব চাহিদা মেটানোর যথেষ্ঠ সক্ষমতা রয়েছে। ইউরোপীয় প্রযুক্তিতে বাংলাদেশে তৈরি লিফট আমদানিকৃত লিফটের চেয়ে মানে অনেক উন্নত।

তাছাড়া বর্তমানে দেশের গৃহায়ন শিল্প ব্যাপক প্রসার লাভ করেছে। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটায় এ খাতে লিফটের চাহিদা আরো বাড়বে। সুতরাং লিফটের ক্ষেত্রে দেশ আমদানি নির্ভর হলে তা মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে। দেশে উৎপাদন বাড়লে লিফট সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে। পাশাপাশি পুরাতন স্থাপনাগুলোতে সহজেই লিফট সংক্রান্ত সেবা দেয়া সহজ হবে। সবদিক বিবেচনায় সরকারের এ সিদ্ধান্ত দেশীয় শিল্প ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য খুবই ইতিবাচক। বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছর পার করেছে। প্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদনে স্বাবলম্বী হওয়ার এখনই উপযুক্ত সময়।

সংশ্লিষ্টদের মতে, এর আগে ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য খাতে আমদানি শুল্ক বাড়ানো এবং স্থানীয় উৎপাদকদের সুবিধা দেয়ায় দেশে রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার, টেলিভিশন, ল্যাপটপ-কম্পিউটার, মোবাইল ফোন ইত্যাদি শিল্পের অভূতপূর্ব বিকাশ ঘটেছে। অনেক দেশীয় ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে কারখানা স্থাপন করেছে। এসব পণ্যের উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। এমনকি দেশে উৎপাদিত পণ্য দিয়ে স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এ খাতে রপ্তানি আয় বাড়ছে। তৈরি পোশাকের মতো ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য শিল্প রপ্তানি আয়ের অন্যতম সম্ভাবনাময় খাত হয়ে উঠেছে।

তাদের মতে লিফটেও একই রকম সুবিধা দেয়ায় দেশীয় ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো স্থানীয় উৎপাদনে আগ্রহী হবে। ফলে এ খাতে বড় বিনিয়োগ আসবে। যা বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং আমদানি ব্যয় হ্রাস এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশীয় অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম//

আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ৫০ শতাংশ দিলেই ঋণ খেলাপি নয়

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের যে পরিমাণ পরিশোধ করার কথা, তার ৫০ শতাংশ কেউ দিলে খেলাপিমুক্ত দেখানো যাবে। গ্রাহকের নগদ প্রবাহ পর্যালোচনা করে শুধু প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের এ সুবিধা দিতে হবে। আর প্রকৃত আদায় না করে সুদ আয় খাতে স্থানান্তর করা যাবে না। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ-সংক্রান্ত সার্কুলার আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

করোনাভাইরাসের প্রভাব শুরুর পর ২০২০ সালে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকরা এক টাকাও ফেরত না দিলেও খেলাপি হয়নি। ২০২১ সালে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকের যে পরিমাণ ঋণ পরিশোধ করার কথা, তার ২৫ শতাংশ এবং ব্যাংকে ১৫ শতাংশ দিলে তা নিয়মিত ছিল। চলতি বছর ব্যাংকের গ্রাহকদের ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশ পরিশোধ করলে নিয়মিত দেখাতে বলা হয়েছে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সার্কুলারে বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণ পুনরায় বৃদ্ধি পাওয়া এবং কিছু জেলা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ঋণ শ্রেণিকরণ এবং আরোপিত সুদ আয় খাতে স্থানান্তরের নতুন নির্দেশনা দেওয়া হলো। প্রতি ত্রৈমাসিকের শেষ কর্মদিবসের মধ্যে আদায়যোগ্য অর্থের ন্যূনতম ৫০ শতাংশ পরিশোধ করলে অশ্রেণিকৃত দেখানো যাবে। গ্রাহকের নগদ প্রবাহ পর্যালোচনা করে আর্থিক প্রতিষ্ঠান-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে শুধু প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের এ সুবিধা দেওয়া যাবে। আর বন্যাকবলিত অঞ্চলের সিএমএসএমই ও কৃষি খাতের গ্রাহকরা নূ্যনতম ৫০ শতাংশ পরিশোধ করলে বিরূপ মানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না। এ ক্ষেত্রেও গ্রাহক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কিনা নিশ্চিত হতে হবে।

এ সার্কুলারের আওতায় সুবিধা পাওয়া ঋণের ওপর দণ্ড সুদ বা অতিরিক্ত ফি আরোপ করা যাবে না। প্রতি ত্রৈমাসিকের শেষ কর্মদিবসের মধ্যে কোনো ঋণ গ্রহীতা এ নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে যথানিয়মে শ্রেণিকরণ করে সিআইবিতে রিপোর্ট করতে হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম//

বাংলাদেশকে ১৪০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে জাপান

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

দুটি উন্নয়ন প্রকল্পে বাংলাদেশকে ১৪০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা দিচ্ছে জাপান সরকার। প্রকল্প দুটি হচ্ছে, ঢাকা মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (এমআরটি লাইন-৫) দক্ষিণ শাখা এবং দক্ষিণ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক উন্নয়ন প্রকল্প।

মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত একটি চুক্তি হয়েছে। চুক্তিতে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত আইটিও নাওকি। জাপান সরকারের উন্নয়ন সংস্থা জাইকার ঢাকা অফিসের প্রধান ইউহু হায়াকায়াসহ দু’পক্ষের সংশ্নিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এ আয়োজন করা হয়।

ঋণের অর্থে নির্মাণ কার্যক্রমে শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ এবং পরামর্শক সেবায় শূন্য দশমিক শূন্য ১ শতাংশ হারে সুদ পরিশোধ করতে হবে। এ ছাড়া প্রারম্ভিক সুদ হিসেবে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ ধার্য রয়েছে। ১০ বছরের রেয়াতকালসহ আগামী ৩০ বছরে এ ঋণ পরিশোধ করা যাবে।

ইআরডির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এমআরটি লাইন-৫ প্রকল্পের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার যানজট কিছুটা লাঘব হবে। বায়ুদূষণও কিছুটা কমবে। ২০ কিলোমিটারের এ প্রকল্পটি হেমায়েতপুর, আমিন বাজার হয়ে ভাটারায় গিয়ে শেষ হবে। শুরুতে প্রকল্পের প্রকৌশল সেবায় ৭৩৬ কোটি ইয়েন এবং ৫ হাজার ৫৭০ কোটি ইয়েন ঋণ সহায়তা দিয়েছে জাইকা।

সড়ক পরিবহন এবং মহাসড়ক বিভাগের অধীনে ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ২০১৯ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। ২০২৮ সালে এর কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের আয় বেড়েছে

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত বীমা খাতের প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এই প্রান্তিকে বিমাটির আয় বেড়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বুধবার (২৯ জুন) অনুষ্ঠিত বিমাটির পরিচালনা বোর্ডের সভায় এসব আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।

বীমাটির ১ম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ,২২) বীমাটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ০.৭১ টাকা। গত বছরের এ সময়ের বীমাটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ০.৬৯ টাকা।এই প্রান্তিকে বিমাটির আয় বেড়েছে।

এই প্রান্তিকে বীমার শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদের মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২০.২৫ টাকা। যা গত বছরের ৩১ মার্চ ১৯.৪৩ টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

  1. আনোয়ার গ্যালভানাইজিং
  2. শাইনপুকুর সিরামিকস
  3. বেক্সিমকো লিমিটেড
  4. বাংলাদেশ ফাইন্যান্স
  5. ফুয়াং ফুডস
  6. ওরিয়ন ফার্মা
  7. আরএকে সিরামিকস
  8. ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং
  9. বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন
  10. একমি পেসটিসাইড লিমিটেড।

শীর্ষে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং; ২য় শাইনপুকুর সিরামিকস

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সপ্তাহের চতূর্থ কার্যদিবস বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির ৩৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেড শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকার।

বেক্সিমকো লিমিটেড ২৩ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের ২১ কোটি ৮৮ লাখ, ফুয়াং ফুডসের ২১ কোটি ৭৫ লাখ, ওরিয়ন ফার্মার ২১ কোটি ২৮ লাখ, আরএকে সিরামিকসের ১৫ কোটি ৪২ লাখ, ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিংয়ের ১৪ কোটি ৯৮ লাখ, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ১৪ কোটি ৫০ লাখ ও একমি পেসটিসাইড লিমিটেডের ১৪ কোটি ২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

লেনদেন কমলেও সূচকের সামান্য উত্থান

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্স‌চে‌ঞ্জের (ডিএসই) দিনশেষে সূচকের কিছুটা উত্থান দেখা গেছে। এদিন সেখানে লেনদেন আগের দিনের চেয়ে কমেছে। এদিন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সপ্তাহের চতূর্থ কার্যদিবস বুধবার দিনশেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭.৮৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬৩৫০ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ০.২৪৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৩৮৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ০.৫৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২২৯৫ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮০৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। গতকাল মঙ্গলবার সেখানে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৮১৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা।

ডিএসইতে দিনভর ৩৮১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১৫৭টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ১৭২টির, আর দর অপরিবর্তিত আছে ৫২টির দর।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো- আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, শাইনপুকুর সিরামিকস, বেক্সিমকো লিমিটেড, বাংলাদেশ ফাইন্যান্স, ফুয়াং ফুডস, ওরিয়ন ফার্মা, আরএকে সিরামিকস, ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ও একমি পেসটিসাইড লিমিটেড।

অন্যদিকে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ২৬.৮৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৮ হাজার ৬৯০ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ২৯৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১৬টির, কমেছে ১৩৫টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৮টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। গতকাল মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল ৬০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে ফার্ষ্ট জনতা মি. ফান্ড ও ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম//

চীনের ৫ কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করলো যুক্তরাষ্ট্র

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

রাশিয়াকে সমর্থন করার অভিযোগে চীনের পাঁচ কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করলো যুক্তরাষ্ট্র

বুধবার কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে-রাশিয়ার সামরিক ও প্রতিরক্ষা শিল্প ঘাঁটি সমর্থন করার অভিযোগে চীনের পাঁচটি কোম্পানিকে বাণিজ্য কালো তালিকায় যুক্ত করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন।

মার্কিন বাণিজ্য বিভাগের কালো তালিকার তত্ত্বাবধানকারীরা জানিয়েছে, ওই কোম্পানি গুলো গত ফেব্রুয়ারি আক্রমণের আগে রাশিয়ান ‘উদ্বেগপূর্ণ সংস্থাগুলিকে’ আইটেম সরবরাহ করেছিল। তারা যোগ করেছে যে-‘তালিকাভুক্ত এবং অনুমোদিত পক্ষগুলোকে রাশিয়ান সত্তা সরবরাহের জন্য চুক্তি চালিয়ে যাচ্ছে। ’

সূত্র : আল-জাজিরা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম///