সঞ্চয়পত্র নয়, শেয়ারবাজারে আসুন : গভর্নর

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ না করে শেয়ারবাজারে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।

তিনি বলেছেন, ‘এখন সঞ্চয়পত্র কিন্তু অতটা আকর্ষণীয় না। বরং এখন যদি আপনি বন্ড মার্কেটে যান ভালো রিটার্ন পাবেন। আমি চাই, মানুষ যেন সঞ্চয়পত্র না কিনে শেয়ারবাজারে আসুক।

তাহলে দেশের উদ্যোক্তরা সেই টাকা নিয়ে ব্যবসা করতে পারব। ঋণখেলাপি কম হবে। ’

সোমবার বিকালে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বা বিএসইসি বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গভর্নর বলেন, ‘দেশের শেয়ারবাজারকে যে সহায়তা করা দরকার, সেটা আমি আরও বেশি অনুভব করেছি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হওয়ার পরে।

বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে যেটা বড় সমস্যা, সেটা হচ্ছে খেলাপি ঋণ। এই ঋণ খেলাপি বেড়ে যাওয়ার অনেক কারণ আছে। এর মধ্যে একটি বড় কারণ হচ্ছে ব্যাংকগুলো স্বল্পসময়ের জন্য আমানত নিয়ে বেশি সময়ের জন্য ঋণ দিচ্ছে। এর ফলে ব্যাংকগুলো যেমন বিপদে পড়ছে, উদ্যোক্তারাও বিপদে পড়ছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম///

নূরানী ডাইংয়ের আইপিওর পুরো টাকাই আত্মসাৎ

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

ব্যবসা সম্প্রসারণের সঙ্গে কিছু ব্যাংক ঋণ পরিশোধের কথা বলে ২০১৭ সালে আইপিও প্রক্রিয়ায় যে ৪৩ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করেছিল বস্ত্র খাতের নূরানী ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার, তার পুরোটাই এর মালিকপক্ষ আত্মসাৎ করেছে। এখন কোম্পানি বন্ধ, মালিকপক্ষের হদিস নেই। ঘটনার চার বছর পর আত্মসাতের ঘটনা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের তদন্তে উঠে আসে। গত সপ্তাহে ডিএসইর তদন্তের ভিত্তিতে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি নূরানী ডাইং এবং এর মালিকপক্ষসহ সংশ্নিষ্ট ইস্যু ম্যানেজার ও অডিটরদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তবে পাঁচ বছর পর কেন এ ঘটনা নাড়াচাড়া করা হচ্ছে, এতদিন কেন শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং স্টক এক্সচেঞ্জ কেন ব্যবস্থা নেয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কোম্পানিটির সাবেক অডিটর আহমেদ জাকের অ্যান্ড কোং। শেয়ারবাজার বিশেষজ্ঞ আবু আহমেদও একই প্রশ্ন তুলে বলেন, কোম্পানি যখন মিথ্যা তথ্য দিচ্ছিল, তখন কেন তা পরীক্ষা করা হয়নি।

প্রসপেক্টাস অনুযায়ী নূরানী ডাইং আইপিওর ৪৩ কোটি টাকার মধ্যে ২৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা দিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি কেনার কথা। এ ছাড়া ৫ কোটি টাকা নতুন কারখানা ভবন করতে, ১১ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবি ও অগ্রণী ব্যাংকের ঋণ পরিশোধে এবং বাকি ১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা আইপিও প্রক্রিয়ায় খরচ করার কথা ছিল। কোম্পানিটির আইপিও সাবস্ট্ক্রিপশন হয় ২০১৭ সালের ২ থেকে ১০ মার্চ।

ডিএসইর তদন্তে দেখা গেছে, আইপিও সাবসক্রিপশনের ৪৩ কোটি টাকা ওই বছরের মে মাসে কোম্পানিটির ইস্টার্ন ব্যাংকের হিসাবে জমা হয়। মাত্র দুই মাসের মধ্যে কোম্পানিটি পুরো টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে সরিয়ে নেয়।

তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, কোম্পানিটির ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত অডিট রিপোর্টে দেখায়, কোম্পানিটির মেয়াদি ব্যাংক ঋণ ছিল যথাক্রমে ৫৮ কোটি ১২ লাখ, ৬৬ কোটি ২৮ লাখ এবং ৭৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা। প্রকৃতপক্ষে ওই তিন বছরে কোম্পানির মেয়াদি ব্যাংক ঋণ ছিল যথাক্রমে ১৬৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, ১৯২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা এবং ২১৬ কোটি ৪১ লাখ টাকা। অতিরিক্ত ব্যাংক ঋণের আইপিও প্রসপেক্টাসেও গোপন করা হয়। প্রসপেক্টাসে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার কারণ হতে পারে মালিকপক্ষ ওই ঋণের টাকা আত্মসাৎ করেছে এবং আইপিওর টাকা দিয়ে ওই ঋণ কিছুটা শোধ করেছে।

ডিএসইর তদন্তে আরও জানানো হয়, নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানি ২০১৮ সালের অক্টোবরে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য ২৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা খরচ দেখায়। প্রকৃতপক্ষে ২০১৭ সালে জুন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য এ টাকা প্রথমে ইউনিয়ন ব্যাংকের আশুলিয়ার বোগাবারি শাখায় স্থানান্তর করে নূরানী ডাইং। ওই টাকায় ছয়টি মুদারাবা টার্ম ডিপোজিট রিসিপ্ট (এমটিডিআর) খোলা হয়। মেয়াদি সঞ্চয়ী হিসাব খোলার দুই মাসের মধ্যে পাঁচটি এমটিডিআর ভাঙিয়ে মোট ২১ কোটি টাকা তুলে নেয়। বাকি ৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা প্রথমে ইস্টার্ন ব্যাংকের সোনারগাঁও শাখায় স্থানান্তর করে পরে আরাফাত স্টিল স্ট্রাকচার অ্যান্ড বিল্ডিং সিস্টেমস নামে কোম্পানিকে পরিশোধ করে। নতুন কারখানা ভবন তৈরির জন্য বরাদ্দ ৫ কোটি টাকা ২০১৭ সালের জুনে ইস্টার্ন ব্যাংকের সোনারগাঁও শাখায় স্থানান্তর করে কোম্পানি। এর পর তিনটি চেকের মাধ্যমে আরাফাত স্টিলকে পরিশোধ করে। কোম্পানিটি ভবন নির্মাণ বাবদ বা যন্ত্রপাতি আমদানি-সংক্রান্ত এলসিরও জাল নথি তৈরি করে।

বিভিন্ন অনিয়মের তথ্য যাচাই করতে সংশ্নিষ্ট ইস্যু ম্যানেজার ও অডিটরদেরও শুনানিতে ডেকেছিল ডিএসই। তাঁদের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে প্রকৃত তথ্যের বড় গরমিল পাওয়া গেছে। কোম্পানি ও অডিটরের দেওয়া ব্যাংক বিবরণীও ছিল জাল। সংশ্নিষ্ট ব্যাংক এসব বিবরণী তাদের নয় বলে জানিয়েছে।

নূরানী ডাইংয়ের আইপিও ইস্যু ম্যানেজার ছিল ইম্পেরিয়াল ক্যাপিটাল, ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট এবং সিএপিএম অ্যাডভাইজরি। আইপিও অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির অডিটর ছিল আহমেদ জাকের অ্যান্ড কোং। অডিট প্রতিষ্ঠানটিই আবার আইপিও অর্থ ব্যবহার-সংক্রান্ত অডিটের কাজও করেছে।

নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের অংশীদার জাকের আহমেদ জানান, এতদিন পর কমিশন (বিএসইসি) কেন এটি ঘাঁটাঘাঁটি করছে। পাঁচ-সাত বছর আগে প্রতি মাসে অডিট রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। তখন তারা কেন দেখল না। এক-দেড় বছর আগে ডাকার পর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে যে তথ্য তাঁরা দিয়েছিলেন, তাতে ডিএসই শতভাগ সন্তুষ্ট ছিল। সূত্র : সমকাল

স্টকমার্কেটবিডি.কম///

ভোজ্যতেলে ভ্যাট ছাড়ের সুবিধা ৩ মাস বাড়তে পারে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ভোজ্যতেলের দাম কম রাখতে এর আমদানি ও পরিশোধনের ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) কম রাখার সিদ্ধান্ত আরও ৩ মাসের জন্য বাড়াতে পারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

রাজস্ব প্রশাসন এ বিষয়ে কাজ করছে এবং দু-একদিনের মধ্যে এ বিষয়ক প্রজ্ঞাপন আসতে পারে বলে জানিয়েছেন এনবিআরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

গত ১৬ মার্চ এনবিআর ভোজ্যতেল আমদানির ওপর ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করে। ৩০ জুন পর্যন্ত কার্যকর এই ভ্যাট হ্রাসের সিদ্ধান্তে তেলের দাম কিছুটা কমে। স্থানীয় বাজারে সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ২০০ টাকার ওপরে উঠেছিল।

এনবিআর ভ্যাট হ্রাসের এই সিদ্ধান্ত দ্বিতীয় দফায় ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করে। গত শুক্রবার এই সময়সীমা শেষ হয়।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ জানিয়েছে, ঢাকায় খুচরা বিক্রেতারা গতকাল প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৬০ থেকে ১৭৫ টাকায় এবং বোতলজাত তেল ১৮৫ থেকে ১৯২ টাকায় বিক্রি করেছে।

সয়াবিন তেল আগের দরে বিক্রি হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন কারওয়ান বাজারের ইয়াসিন জেনারেল স্টোরের মালিক মনোয়ার হোসেন।

গত মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম স্থিতিশীল থাকলেও চলতি বছরের ২৩ আগস্ট চতুর্থবারের মতো সয়াবিন তেলের দাম বাড়ায় সরকার।

স্টকমার্কেটবিডি.কম///

সয়াবিন তেলের দাম কমলো লিটারে ১৪ টাকা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের বাজারে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা কমানো হয়েছে। এতে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম হবে ১৭৮ টাকা। বর্তমানে এই তেলের দাম ১৯২ টাকা।

বাংলাদেশ ভেজিটেবল ওয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যারার্স অ্যাসোসিয়েশন আজ সোমবার এ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সয়াবিন তেলের দাম কমানোর কথা জানায়। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

তবে পাম তেলের দাম অপরিবর্তিত থাকছে।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম হবে ১৫৮ টাকা। আর ৫ লিটারের এক বোতল তেল পাওয়া যাবে ৮৮০ টাকায়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম///

মূল্যস্ফীতির পাগলা ঘোড়া বাগে এসেছে : এমএ মান্নান

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

মূল্যস্ফীতির পাগলা ঘোড়া বাগে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। তিনি বলেছেন, একটি সুখবর আছে- মূল্যস্ফীতির পাগলা ঘোড়ার লাগাম টানা সম্ভব হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করা হবে। আগস্টে মূল্যস্ফীতি বেড়েছিল। কিন্তু সেপ্টেম্বরে সেটি কমেছে। এর কারণ হচ্ছে- এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে চার কোটি লোক সুবিধা পাচ্ছে। সেই সঙ্গে সরকারের নানা উদ্যোগের ফলে যারা সরাসরি মূল্যস্ফীতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তারা উপকৃত হচ্ছে। ফলে মূল্যস্ফীতিতে লাগাম টানা সম্ভব হয়েছে।

আজ সোমবার বিডিএসের এক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

রাজধানীর আগরগাঁওয়ে বিআইডিএসের সম্মেলনকক্ষে এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। গেস্ট অব অনার ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা সচিব মামুন-আল-রশীদ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন ও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মতিউর রহমান। সভাপতিত্ব করেন বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন। বক্তব্য দেন জনশুমারি ও গৃহ গণনা প্রকল্পের পরিচালক মো. দিলদার হোসেন, পিইসি কার্যক্রমের সমন্বয়কারী ড. ইউনূস।

মন্ত্রী বলেন, তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে জনশুমারির তদারকি শুরু হচ্ছে ১০ অক্টোবর। দেশের ৩৫৪টি নমুমা এলাকায় নতুন করে তথ্য সংগ্রহ শুরু করা হবে। ৯ অক্টোর রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে শুরু হয়ে এ কার্যক্রম চলবে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত।

তিনি বলেন, আমরা তথ্যেও কোনো ইঞ্জিনিয়ারিং করব না। শুধু প্রক্রিয়াগত কারণে এটি দেরি হয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, জনগণের টাকা ব্যয় করে এই শুমারি করা হয়েছে। এখন পিইসিও করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, যাতে বড় অংকের এই টাকার সঠিক ব্যবহার হয়। এই টাকা খরচের দায়িত্ব যেমন বিরল সন্মানের তেমনি গুরুত্বপূর্ণও। আপনারা স্বাধীনভাবে কাজ করুণ। আমি বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ হিসেবে বলছি- কাজের ক্ষেত্রে কোনো সম্যস্যা নেই। আমি কোনো দলের বা ব্যবস্থার প্রতি নয়, দেশের প্রতি অনুগত থেকে কাজ করছি।

ড. শামসুল আলম বলেন, নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও বিবিএস একটি ভালো শুমারি করেছে। এখন সেটির পরীক্ষা করা হচ্ছে। বিবিএসকে আরও একটু স্বাধীনতা দেওয়া উচিত। ভারতে পরিসংখ্যান সংস্থান যেভাবে স্বাধীনতা ভোগ করে বাংলাদেশে সেটি হচ্ছে না। পরিসংখ্যান ব্যুরোকে আরও হালনাগাদ তথ্য দিতে হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম///

শেয়ার বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করলো মনুস্ফল পেপার

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কাগজ ও প্রকাশনা শিল্প খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ মনুস্ফল পেপার এন্ড মেনুফেকচারিং লিমিটেড নিজেদের কোম্পানির কিছু শেয়ার বিক্রি করে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র থেকে জানা যায়, কোম্পানিটি নিজেদের হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করবে।

কোম্পানিটি মোট ৮ লাখ ২৮ হাজার ৯৪টি শেয়ার চলমান বাজার দরে বিক্রি করে আয় করে ১৩ কোটি ৬০ লাখ ২৫ হাজার ৬৫ টাকা। এসব অর্থ দিয়ে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করা হয়। এছাড়াও আয়কর প্রদান ও ব্রোকারেজ কমিশনবাবদ এসব টাকা খরচ করা হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

সী পার্লস বিচ রিসোর্টের বোর্ড সভা আহবান

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ভ্রমণ ও প্রণোদণা শিল্প খাতের কোম্পানি সী পার্লস বিচ রিসোর্ট এন্ড স্পা লিমিটেডের বাৎসরিক বোর্ড সভা আগামী ১১ অক্টোবর আহবান করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র থেকে জানা যায়, সেদিন বেলা ৩টায় রাজধানীর পান্হপথে কোম্পানিটির প্রধান কার্যালয়ে বোর্ড সভাটি অনুষ্ঠিত হবে।

আসন্ন বোর্ড সভায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লিস্টিং রেগুলেশন ২০১৫ এর ১৯(১) অনুযায়ী কোম্পানিটির গত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

এ সভায় কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করা হবে। এছাড়া রেকর্ড ডেট ও এজিএমের দিন ঘোষণা করা হবে।

গত বছর কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

লেনদেনের শীর্ষে ওরিয়ন ফার্মা; ২য় বেক্সিমকো

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির ৮২ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা বেক্সিমকো লিমিটেড শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭১ কোটি ৮৩ লাখ টাকার।

ইষ্টার্ণ হাউজিং লিমিটেড ৬০ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিবিএস ক্যাবলসের ৫৭ কোটি ৪ লাখ, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমসের ৪৬ কোটি ৪১ লাখ, জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিটির ৩৯ কোটি ৮৯ লাখ, শাইনপুকুর সিরামিকসের ৩৫ কোটি ৩১ লাখ, কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজের ৩৫ কোটি ৮ লাখ, ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিংর ৩৪ কোটি ৮৫ লাখ ও ন্যাশনাল পলিমারের ৩০ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম//

  1. ওরিয়ন ফার্মা
  2. বেক্সিমকো লিমিটেড
  3. ইষ্টার্ণ হাউজিং
  4. বিবিএস ক্যাবলস
  5. বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস
  6. জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিটি
  7. শাইনপুকুর সিরামিকস
  8. কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ
  9. ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং
  10. ন্যাশনাল পলিমার লিমিটেড।

দিনশেষে সূচকের সাথে কমেছে লেনদেন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্স‌চে‌ঞ্জের (ডিএসই) দিনশেষে সূচকের পতন দেখা গেছে। এদিন সেখানে লেনদেনও আগের দিনের চেয়ে কমেছে। এদিন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেন ও সূচক কমেছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার দিনশেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৩.২৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬৫১৮ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ১.৪৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৪২২ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৭.৬৫১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২৩২৬ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১২৮৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। গতকাল রবিবার সেখানে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৫৩৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

ডিএসইতে দিনভর ৩৭৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ৭৪টি শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ১২২টির, আর দর অপরিবর্তিত আছে ১৭৮টির দর।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো – ওরিয়ন ফার্মা, বেক্সিমকো লিমিটেড, ইষ্টার্ণ হাউজিং, বিবিএস ক্যাবলস, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস, জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিটি, শাইনপুকুর সিরামিকস, কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ, ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং ও ন্যাশনাল পলিমার লিমিটেড।

অন্যদিকে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ৬০.৭৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৯ হাজার ১৯৯ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ২৩৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৬৮টির, কমেছে ৭৪টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৯৪টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ২৪ লাখ টাকা। গতকাল রবিবার সেখানে লেনদেন হয়েছিল ২৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে ওরিয়ন ফার্মা ও কেডিএস এক্সসরিজ লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম//