চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) আমদানি ঋণপত্র বা এলসি খোলা হয়েছে ৪ হাজার ৫৫১ কোটি ডলার, যা গত ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১ হাজার ৩৯৪ কোটি ডলার বা ২৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের আট মাসে ঋণপত্র খোলা হয়েছিল ৫ হাজার ৯৪৫ কোটি ডলার। একই সময়ে ঋণপত্র নিষ্পত্তি কমেছে ১ দশমিক ২২ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ডলার সংকট ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কড়াকড়ির কারণে ঋণপত্র খোলার হার কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে ভোগ্যপণ্য, মধ্যবর্তী পণ্য, ক্যাপিটাল মেশিনারি এবং শিল্পের কাঁচামাল আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। তবে এ সময় পেট্রোলিয়ামের আমদানি ঋণপত্র খোলা বেড়েছে ২৪ দশমিক ৫১ শতাংশ।
এ সময় ভোগ্যপণ্য আমদানির জন্য এলসি খোলা হয় ৫৪৯ কোটি ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৬৪৩ কোটি ডলার। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ভোগ্যপণ্যের এলসি খোলা কমেছে ১৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
আলোচ্য সময়ে মধ্যবর্তী পণ্যের ৩০ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং শিল্পের কাঁচামালের ৩০ দশমিক ৫ শতাংশ এলসি বা ঋণপত্র খোলা কমেছে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম////