কমল সোনার দাম, কাল থেকে কার্যকর

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

রেকর্ড দাম হওয়ার পর দেশের বাজারে কিছুটা কমেছে সোনার দাম। সব থেকে ভালো মানের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম এক হাজার ৭৫১ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) এক ভরি সোনার দাম হয়েছে ৯৯ হাজার ২৭ টাকা।

স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম কমানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস)।

আজ শুক্রবার থেকে নতুন এই দাম কার্যকর হবে।
নতুন মূল্য অনুযায়ী ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৬৩৩ টাকা কমিয়ে ৯৪ হাজার ৫৯৫ টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৩৯৯ টাকা কমিয়ে ৮১ হাজার ৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ১৬৬ টাকা কমিয়ে ৬৭ হাজার ৫৩৫ টাকা করা হয়েছে।

তবে সোনার দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি এক হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম এক হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১০৫০ টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম///

সর্বজনীন পেনশন স্কিমের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের ভবিষ্যৎ জীবনের কথা বিবেচনা করে আজ থেকে বহুল আলোচিত সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে সব নাগরিককে পেনশনের আওতায় আনতে গত ২৪ জানুয়ারি সংসদে ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা বিল-২০২৩’ পাস হয়। বিলে ১৮ বছর থেকে ৫০ বছর বয়সী সব নাগরিকের নির্ধারিত হারে চাঁদা পরিশোধ করে ৬০ বছর পূর্তির পর আজীবন পেনশন সুবিধা ভোগ করার বিধান রাখা হয়।
পেনশন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট চালু হয়েছে গতকাল বুধবার। ওয়েবসাইটের ঠিকানা www.upension.gov.bd। এতে বলা হয়েছে, ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ করে আপনার ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।’ ওয়েবসাইটের ঠিকানায় পেনশন স্কিমগুলো সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য উল্লেখ করা আছে।

শুরুতে চার শ্রেণির ব্যক্তি পেনশন কর্মসূচির আওতায় আসছেন। তারা হচ্ছেন-প্রবাসী বাংলাদেশি, বেসরকারি চাকরিজীবী, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের কর্মী এবং অসচ্ছল ব্যক্তি।

এর মধ্যে বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের জন্য প্রগতি, স্ব-কর্মে নিযুক্ত লোকদের জন্য সুরক্ষা, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য প্রবাসী এবং দেশের নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য সমতা প্রযোজ্য হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম////

ভারতে সোনার দাম প্রতিদিন নিয়মিত কমছে

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

আগস্টের শুরুতে ভারতে ২৪ ক্যারেট ১০ গ্রাম সোনার দর ছিল ৬০ হাজার ৭৫০ রুপি। বৃহস্পতিবার সেই দর কমে হয়েছে ৫৯ হাজার ২০ রুপি। একইভাবে এই সময়ে গয়নার সোনার (২২ ক্যারেট) ১০ গ্রামের দাম ৫৫ হাজার ১৫০ রুপি থেকে কমে হয়েছে ৫৪ হাজার ১০০ রুপি। দেশটিতে কমেছে রুপার দামও।

এক কেজি রুপার দাম চলতি মাসের গোড়ায় ছিল ৭৭ হাজার রুপি। বৃহস্পতিবার কেজিপ্রতি দাম হয়েছে ৭২ হাজার ৫০০ রুপি। এক দিনেই ৫০০ রুপি দাম কমেছে।

জুলাই মাসে সোনা ও রুপার দাম টানা বেড়েছিল ভারতে। গোটা মাসে ওঠানামার শেষে ১০ গ্রাম প্রতি সোনার দাম এক হাজার রুপির বেশি বেড়েছিল। আবার রুপার দামও জুলাই মাসে কেজিপ্রতি পাঁচ হাজার রুপি বাড়ে।

দুই ধাতুর দাম কমার পেছনে মূল কারণ, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যহ্রাস। খুচরা বিক্রির হারও জুলাই মাসে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম////

লেনদেনের শীর্ষে ফু-ওয়াং ফুডস; ২য় বিএসসি

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার দিনশেষে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ফু-ওয়াং ফুডস লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, এদিন কোম্পানিটির ২৭ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি) লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।

সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেড ১৬ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের ৮ কোটি ৬৮ লাখ, খান ব্রাদার্স পি.পি. ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজের ৭ কোটি ২৭ লাখ, দেশবন্ধু পলিমারের ৬ কোটি ৮৩ লাখ, লিগাসি ফুটওয়ারের ৬ কোটি ২১ লাখ, জেমিনী সী ফুডের ৫ কোটি ৫২ লাখ, সোনালী পেপার এন্ড বোর্ড মিলসের ৫ কোটি ২৪ লাখ ও এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৫ কোটি ১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/রাজু

  1. ফু-ওয়াং ফুডস
  2. বিএসসি
  3. সি পার্ল বিচ রিসোর্ট
  4. সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
  5. খান ব্রাদার্স
  6. দেশবন্ধু পলিমার
  7. লিগাসি ফুটওয়ার।
  8. জেমিনী সী ফুড
  9. সোনালী পেপার
  10. এমারেল্ড অয়েল।

ডিএসইতে লেনদেন ২’শ কোটি টাকার ঘরে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সবগুলো সূচক বেড়েছে। এদিন সেখানে লেনদেন আগের দিনের চেয়ে অনেকটা কমে  ২’শ কোটি টাকার ঘরে নেমেছে। অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেন । ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৪.০২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬২৫৪ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ৭.৪৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৩৫৮ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৩.০১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২১২১ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৯৯ কোটি ৫২ লাখ টাকা। গতকাল বুধবার সেখানে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩৫১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।

ডিএসইতে দিনভর ৩২১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১৫৩টি শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ৮টির আর দর অপরিবর্তিত আছে ১৬০টির দর।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো – ফু-ওয়াং ফুডস, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, খান ব্রাদার্স পি.পি. ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ, দেশবন্ধু পলিমার, লিগাসি ফুটওয়ার, জেমিনী সী ফুড, সোনালী পেপার এন্ড বোর্ড মিলস ও এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

অন্যদিকে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ৪২.২৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৮ হাজার ৪৭৮ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ১৫৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৬১টির, কমেছে ২৬টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৬টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। গতকাল বুধবার সেখানে লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৯২ লাখ টাকা।

দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ ও জেনারেসন নেক্সট ফ্যাশানস্‌ লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/রাজু

সরকারকে হুমকি দিচ্ছে ডিম ব্যবসায়ীরা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সরকার ডিম আমদানি করলে ১২ টাকার ডিম ২০ টাকায় খেতে হবে বলে হুমকি দিয়েছেন ব্রিডার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (বিএবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট আনোয়ারুল হক।

বৃহস্পতিবার ইআরএফ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত পোল্ট্রি শিল্পে সংকট প্রান্তিক খামারিদের সুরক্ষা ও ডিম-মুরগির উৎপাদন খরচ হ্রাসে করনীয় শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বিএবি ভাইস প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, আমদানি করে ডিমের দাম কমাতে চাইলে উল্টো আরো দাম বাড়বে। তখন ১২ টাকার ডিম ২০ টাকায় খেতে হবে।

হঠাৎ করে ডিমের বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার পেছনে কোন সিন্ডিকেট নেই বলেও বিএবি নেতারা দাবি করেন। তারা বলেন, মুরগির ফিডের দাম না কমালে ডিমের উৎপাদন খরচ কমানো সম্ভব না। এজন্য ফিডের আমদানি মূল্য কমানোর দাবি জানানো হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম////

৬৬ হাজার কেজি কাঁচা মরিচ ঢুকল হিলি দিয়ে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এক দিনেই এলো ৬৫ হাজার ৮৫৫ কেজি কাঁচা মরিচ। বুধবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যা পর্যন্ত ভারতীয় ৯টি ট্রাকে এসব কাঁচ মরিচ আমদানি করা হয়। এতে কমতে শুরু করেছে কাঁচা মরিচের ঝাল। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বাড়ায় কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ৫০ টাকা করে কমেছে।

দু’দিন আগেও বন্দরে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় নেমেছে। এতে খুশি বন্দরে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা পাইকারসহ নিম্নআয়ের মানুষ।

হিলি স্থলবন্দরে কাঁচামরিচ কিনতে আসা মোস্তফা হোসেন বলেন, দেশীয় কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধির কারণে দেশের বাজারে আমদানিকৃত ভারতীয় কাঁচা মরিচের চাহিদা রয়েছে। সেই কারণে আমরা হিলি স্থলবন্দর থেকে কাঁচা মরিচ ক্রয় করে নিয়মিত রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে আসছিলাম।

বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে কাঁচা মরিচ আমদানির ফলে দাম স্থিতিশীল পর্যায়ে ছিল। আমদানিকৃত কাঁচা মরিচের দাম ১০০ টাকার মধ্যেই ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে গত সপ্তাহ থেকে দাম ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করে। দাম বাড়তে বাড়তে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় উঠে যায়।

বাড়তি দামের কারণে আমাদের কাঁচা মরিচ কিনতে বিপাকের মধ্যে পড়তে হচ্ছিল। বর্তমানে কাঁচা মরিচের আমদানি বেড়েছে, তেমনি দাম কমে এসেছে। যার কারণে আমাদের যেমন কিনতে সুবিধা হচ্ছে। তেমনি মোকামে চাহিদামত পাঠাতে পারছি, তেমনি ক্রেতারাও কম দামে কাঁচা মরিচ কিনতে পারছেন।

হিলি স্থলবন্দরের কাঁচা মরিচ আমদানিকারক আনোয়ার হোসেন বলেন, আমদানির অনুমতি পাওয়ার পর থেকেই দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি অব্যাহত রেখেছেন বন্দরের আমদানিকারকরা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম////

মিয়ানমারের দুটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংককে মিয়ানমারের দুটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে অনুরোধ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সামরিক শাসনাধীন দেশটির ওই দুটি ব্যাংক বর্তমানে মার্কিন সরকারের নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে।

ব্যাংক দুটি হলো- মিয়ানমার ফরেন ট্রেড ব্যাংক ও মিয়ানমার ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কমার্সিয়াল ব্যাংক। গত জুন মাসে মিয়ানমারের রাষ্ট্রায়ত্ব এই দুই ব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বেশিরভাগই হয় সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে।

ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে ওই ব্যাংক দুটিতে সোনালী ব্যাংকের হিসাব বন্ধের আবেদন জানায়। ৩ আগস্ট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোনালী ব্যাংকের কাছে চিঠি পাঠিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেয়।

এই পরিস্থিতি দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটিকে কঠিন অবস্থানে ফেলেছে। মিয়ানমার ফরেন ট্রেড ব্যাংকে সোনালী ব্যাংকের ১৭ হাজার জমা ডলার আছে। আর মিয়ানমার ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংকে আছে ২ লাখ ডলার।

সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, টাকাগুলো এখন জব্দ অবস্থায় আছে। তার মানে তারা টাকাগুলো তুলতে বা স্থানান্তর করতে পারবেন না।

অন্যদিকে মিয়ানমার ফরেন ট্রেড ব্যাংকের ১ লাখ ডলার এবং মিয়ানমার ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ১ মিলিয়ন ডলার জমা রয়েছে সোনালী ব্যাংকে।

মিয়ানমার সরকার এখন এই টাকা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এ লক্ষ্যে ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন বলে ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তবে সোনালী ব্যাংককে এখনই টাকা স্থানান্তর না করার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ ব্যাপারে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম বলেন, হিসাবগুলোতে আপাতত কোনো লেনদেন হচ্ছে না। এসব হিসাব বন্ধের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ওই দুই ব্যাংকের টাকা অন্য ব্যাংকে স্থানান্তরের কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।

স্টকমার্কেটবিডি.কম////

অর্থ পাচার রোধে কঠোর বার্তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

অর্থ পাচার রোধে কড়া নির্দেশনা দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিশেষ করে আমদানির আড়ালে ইদানীং অর্থ পাচার বেশি হওয়ায় এ বিষয় সতর্ক হতে বলা হয়েছে সব ব্যাংকের এমডিদের। এ ছাড়া অর্থ পাচার নিয়ে বেশ উদ্বেগও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এমন পরিস্থিতিতে আমদানির অর্থ পাচার নিয়ন্ত্রণে ব্যাংকগুলোকে কঠোর নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে আয়োজিত ব্যাংকার্স সভায় এ নির্দেশ দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার। এ সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর, নির্বাহী পরিচালক এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা ছাড়াও সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক সাংবাদিকদের জানান, ওভার ইনভয়েসিং নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনও আন্ডার ইনভয়েসিং হচ্ছে। সে বিষয়টা গুরুত্বসহকারে পর্যবেক্ষণ এবং প্রতিরোধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্যাংকগুলোকে। পাশাপাশি বিপুল অঙ্কের খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার জন্য ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপে নিতে বলা হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম////