স্বর্ণের দাম বাড়ালো বাজুস

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে।

সবচেয়ে ভালো মানের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণে ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম হয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৭৬ টাকা।

আগামীকাল রবিবার থেকে এ দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

আজ শনিবার বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এ দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পরে কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে দাম বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম বেড়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা রবিবার (১৯ নভেম্বর) থেকে কার্যকর হবে।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৭৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের ১ ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৫৪৫ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১ হাজার ৫৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের ১ ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৪০০ টাকা বাড়িয়ে ৮৭ হাজার ১৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির ১ ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ২২৫ টাকা বাড়িয়ে ৭২ হাজার ৫৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রূপার দাম। ২২ ক্যারেটের ১ ভরি রূপার দাম ১ হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের রূপা ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের রূপা ১ হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রূপা ১ হাজার ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম///

আদানির বিরুদ্ধে আবার তদন্তের আবেদন

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

কয়লা আমদানির মূল্য বাড়িয়ে দেখানোর অভিযোগে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পুনরায় তদন্ত শুরু করতে চায় ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ লক্ষ্যে সিঙ্গাপুর থেকে তথ্য সংগ্রহে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি চেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। তারা বলছে, অনেক দিন ধরেই এই তথ্য সংগ্রহ বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে এই আবেদনের শুনানি হতে পারে।

এর ফলে হিনডেনবার্গের প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে একের পর এক অভিযোগে জর্জরিত আদানি গোষ্ঠীর ওপর চাপ আরও বাড়ল বলে মনে করছে ভারতের সংশ্লিষ্ট মহল।

সেই ২০১৬ সাল থেকে ভারতের ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স সিঙ্গাপুর থেকে আদানির কয়লা আমদানিসংক্রান্ত কাগজপত্র আনার চেষ্টা করছে। সংস্থাটির সন্দেহ, আদানি গোষ্ঠী সিঙ্গাপুর থেকে যে কয়লা আমদানি করেছে, সিঙ্গাপুরের আদানি গ্লোবাল পিটিইর কাগজ–কলমে তার দাম বেশি দেখানো হয়েছে এবং তার পর সেই অতিরিক্ত দাম গোষ্ঠীর ভারতীয় শাখার কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে।

গৌতম আদানির মালিকানাধীন আদানি এন্টারপ্রাইজ এর আগে কয়েকবার সিঙ্গাপুর থেকে এই কয়লা আমদানির কাগজপত্র সংগ্রহে বাধা সৃষ্টি করেছে। আদানি গোষ্ঠী অবশ্য বলে আসছে, এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ভুল বা অনিয়ম করা হয়নি। তাদের ভাষ্য, ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বন্দর থেকে এই কয়লা ছাড় করার আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই ছেড়েছে।

এ বিষয়ে ভারতের রাজস্ব গোয়েন্দা দপ্তর গত ৯ অক্টোবর দেশটির সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে। মূলত দেশটির নিম্ন আদালত আদানির এই কাগজপত্র সংগ্রহের বিষয়ে যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল, তা বাতিল করার আবেদন করে সংস্থাটি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম///

সর্বজনীন পেনশনে সাড়া আরও কমেছে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সর্বজনীন পেনশন স্কিমের বয়স তিন মাস পেরিয়েছে। গত ১৭ আগস্ট এই কর্মসূচি চালুর পর আজ ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে মোট গ্রাহক হয়েছেন ১৫ হাজার ৮৪৫ জন। তবে প্রথম এক মাসে এ স্কিমের গ্রাহক হওয়ার জন্য যত মানুষ সাড়া দিয়েছিলেন, পরের দুই মাস মিলিয়ে গ্রাহকের সংখ্যা তার কাছাকাছিও হয়নি।

পেনশন কর্তৃপক্ষ সূত্রে আজ দুপুরে যে তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, পেনশন স্কিমে যোগ দিতে সবচেয়ে কম চাঁদা জমা পড়েছে শেষের এক মাসে। শেষের এক মাস ধরা হয়েছে ১৮ অক্টোবর থেকে ১৮ নভেম্বরের দুপুর ১২টা পর্যন্ত। তবে সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষ অবশ্য আশাবাদী যে খুব শিগগির গ্রাহকদের ভালো সাড়া মিলবে। কারণ, সরকার এরই মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে এবং আরও কিছু উদ্যোগ নেওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, গত তিন মাসে দেশ-বিদেশ মিলিয়ে গ্রাহকদের থেকে চাঁদা জমা পড়েছে মোট ১৬ কোটি ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা।

গত ১৭ আগস্ট এ স্কিম উদ্বোধনের পর গত ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম এক মাসে চাঁদা পরিশোধ করেছিলেন ১২ হাজার ৮৮৯ জন। পরের এক মাসে নতুন করে ১ হাজার ৮৩১ জন যুক্ত হওয়ায় মোট চাঁদাদাতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১৪ হাজার ৭২০। তার পরের মাস, অর্থাৎ ১৮ অক্টোবর থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত পেনশন স্কিমে নতুন করে যুক্ত হয়েছেন আরও ১ হাজার ১৩৪ জন। এ তিন মাস মিলিয়েই মোট চাঁদাদাতা হয়েছেন ১৫ হাজার ৮৫৪ জন।

তবে চাঁদাদাতাদের পরিসংখ্যান বলছে, সর্বজনীন পেনশন স্কিমে যোগদানের সংখ্যা প্রতি মাসেই কমছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৭ আগস্ট সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম///

মজুরি নির্ধারণে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের আহ্বান জানাল আইএলও

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের জন্য ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করতে স্বচ্ছতা, ন্যায্যতা ও প্রমাণের ভিত্তিতে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ প্রক্রিয়া গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)।

আইএলও বলেছে, এই খাতে মজুরি নিয়ে বিক্ষোভ ও সহিংসতার ঘটনা উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।

বুধবার এক বিবৃতিতে আইএলও আরও প্রাণহানি ও জীবিকার ক্ষতি এড়াতে শান্ত ও সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

আইএলও বলেছে, ‘ন্যূনতম মজুরি নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে গঠনমূলক সংলাপ ও আলোচনায় অংশ নিতে আমরা সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে জোরালোভাবে উৎসাহিত করছি।’

‘… এটি কেবল শ্রমিকদের যথাযথ জীবনযাত্রার মান নিশ্চয়তা দেয় না, তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়ের স্থায়িত্বকেও বিবেচনা করে।’

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের কাজকে স্বীকার করি এবং সব পক্ষকে সদিচ্ছার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে উত্সাহিত করি। … এবং ন্যূনতম মজুরি নিশ্চিতের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে শ্রমিক ও নিয়োগকর্তাদের উদ্বেগগুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করি।’

আইএলও বলেছে, বাংলাদেশের জন্য একটি জাতীয় মজুরি নীতি ও মজুরি নির্ধারণের জন্য একটি প্রমাণ-ভিত্তিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা অপরিহার্য।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এ বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা চলছে এবং সরকারের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠনকে আমরা স্বাগত জানাই।’

আইএলও এমন এক সময়ে এই বিবৃতি প্রকাশ করেছে, যখন সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত ন্যূনতম মজুরি বোর্ড ইতোমধ্যে গত ৭ নভেম্বর আলোচনার পর পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি চূড়ান্ত করেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম///

ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে পিই রেশিও কমেছে

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (১২ থেকে ১৬ নভেম্বর) পর্যন্ত সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কিছুটা কমেছে। আলোচ্য এ সময়ে ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে ০.২১ শতাংশ।

ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১৪.৪৯ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৪.৪৬ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও ০.০৩ পয়েন্ট বা ০.২১ শতাংশ কমেছে।

এর আগের সপ্তাহের শুরুতে (৫ থেকে ৯ নভেম্বর) ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১৪.৫১ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৪.৪৯ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও ০.০২ পয়েন্ট বা ০.১৪ শতাংশ কমেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম////

আরও বাড়ল চাল আলু চিনির দাম

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। সঙ্গে পিঁয়াজের দামও কেজিপ্রতি কমেছে ১০ টাকা। তবে আগে থেকে পিঁয়াজের দাম বেশি থাকায় ভোক্তা পর্যায়ে এর প্রভাব পড়েনি। অন্যদিকে বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে চালের দাম।

আলুর দাম গত সপ্তাহে কিছুটা কমলেও এ সপ্তাহে আবার বেড়েছে। আর নতুন করে আরও কিছুটা বেড়ে চিনির দাম কেজিতে ১৫০ টাকা ছুঁয়েছে। গতকাল রাজধানীর রায়েরবাগ মালিবাগ বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনটা জানা গেছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মাসের ব্যবধানে মোটা চালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি পাঁচ টাকা।

আর গত এক সপ্তাহে বেড়েছে কেজিতে প্রায় দুই টাকা। মাঝারি ও সরু চালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১-২ টাকা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মৌসুমের শেষ দিকে সরবরাহ কমায় বাজারে মোটা চালের দাম বাড়ছে। যদিও তথ্য বলছে, সরকারের গুদামে চালের মজুদ পর্যাপ্ত।

পাইকারি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, মিলারদের কারসাজির কারণেই মূলত চালের দাম বেড়েছে। তারা বলছেন, মিল মালিকেরাই কৃত্রিম সরবরাহ সংকট তৈরি করেছে।

বাজারে মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৫৬ টাকায়, যা এক মাস আগে ৫০-৫২ আর এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫৩-৫৫ টাকা। মাঝারি আকারের মধ্যে প্রতি কেজি বিআর-২৮ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৫৮ টাকায়। আগে এ চালের দাম ছিল ৫৪-৫৬ টাকা।

আর প্রতি কেজি মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৬৮ থেকে ৭২ টাকা পর্যন্ত।
রাজধানীর বাজারগুলোতে এখন আলুর কেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, যা সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি পাঁচ টাকা বেড়েছে। মাঝে দাম কিছুটা নিম্নমুখী হলেও এখন আবার বাড়ছে। স্বাভাবিক সময়ে বছরজুড়ে এ আলুর দাম থাকে ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে। খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের মতে, মৌসুম শেষ হওয়ার কারণে বাজারে আলুর সরবরাহ কম। এর মধ্যে ভারত থেকে আলু আমদানি হচ্ছে। তবে তা চাহিদার তুলনায় কম।
অন্যদিকে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়। পাড়া-মহল্লার কোন কোন দোকানে এ দাম ১৫০ টাকা পর্যন্ত। যেখানে গত ১ নভেম্বর চিনির বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে চিনি আমদানিতে কাস্টমস শুল্ক অর্ধেক কমানো হয়। কিন্তু তার কোনো প্রভাব পড়েনি বাজারে। বরং এর মধ্যে দুই দফা চিনির দাম বেড়েছে। এদিকে, ভারত থেকে ডিমও আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। তারও কিছুটা প্রভাব বাজারে রয়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে বেশ কমেছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। খুচরা বাজারে এখন প্রতি ডজন ডিম ১২০-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড় বাজারে ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১৩০ টাকা দরে। যা পাড়া-মহল্লার দোকানে ১৪০ টাকা।

ডিমের সঙ্গে ব্রয়লার মুরগির দামও কিছুটা কমেছে। বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৭০ থেকে ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এ ছাড়া সোনালি জাতের মুরগির কেজি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পাশাপাশি বাজার এখন শীতকালীন সবজিতে ভরপুর। এতে দামও কিছুটা কমছে। দুই-তিনটি ছাড়া বেশিরভাগ সবজি পাওয়া যাচ্ছে ৪০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে। যেখানে দু-তিন সপ্তাহ আগেও সব ধরনের সবজির দাম ছিল আকাশছোঁয়া। তখন বেশিরভাগ সবজির কেজি ছিল ১০০ টাকার আশপাশে। তবে দীর্ঘদিন ধরে স্বস্তি মিলছে না পিঁয়াজের দামে। যদিও শুক্রবার কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমে ১২০ টাকা দরে দেশি পিঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় পিঁয়াজের এ দাম দ্বিগুণেরও বেশি। আমদানি করা পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম///

ডিএসইতে ৫ দিনে মূলধন কমেছে ৪ হাজার কোটি টাকা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সর্বশেষ সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা কমেছে। তবে এই সপ্তাহে সেখানে মোট লেনদেন আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৬.২৬ শতাংশ কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে মোট ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১৭৫ কোটি টাকার। যা আগের সপ্তাহের ৫ দিনে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৫৯৭ কোটি টাকার উপরে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ১৬.২৬ শতাংশ কমেছে।

ডিএসইতে সর্বশেষ সপ্তাহে দিনের গড় লেনদেন ৪৩৫ কোটি ৫ লাখ টাকার হয়েছে। আগের সপ্তাহে এই লেনদেন হয়েছিল ৫১৯ কোটি ৫১ লাখ কোটি টাকার উপরে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে প্রতিদিনের গড় লেনদেন ১৬.২৬ শতাংশ কমেছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৪.৬৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ২৫৭ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ৮.৯০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২১১৮ পয়েন্টে। আর শরিয়াহ সূচক ৩.২২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩৫৯ পয়েন্টে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৪০৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৫০টির, কমেছে ১০৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১৩টির শেয়ার ও ইউনিটের দর। আর ৩৫টি শেয়ারের কোনো লেনদেন হয়নি।

গত সপ্তাহের প্রথম দিন ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৭৯ হাজার ২০৯ কোটি টাকা। আর সপ্তাহের শেষ দিনে এই মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৭৫ হাজার ২৪২ কোটি টাকা। এই হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে বাজার মূলধন ৩৯৬৭ কোটি টাকা বা ০.৫১ শতাংশ কমেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসবি

সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে ফুয়াং ফুডস; ২য় খান ব্রাদার্স

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সর্বশেষ সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ফুয়াং ফুডস লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির ৭০ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকার।

এমারেল্ড ওয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৬৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে।

লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- খুলনা প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিংয়ের ৫৪ কোটি ৮৫ লাখ, জেমিনী সী ফুডসের ৫৩ কোটি ৪৫ লাখ, বিডি থাই এলুমিনিয়ামের ৫২ কোটি ১০ লাখ, দেশবন্ধু পলিমারের ৪৮ কোটি ৪১ লাখ, ইয়াকিন পলিমারের ৪৮ কোটি, প্যাসিফিক ডেনিমসের ৪৪ কোটি ৯ ও সেন্ট্রাল ফার্মার ৪৩ কোটি ৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসবি

সিএসইর নতুন এমডি সাইফুর রহমান মজুমদার

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের দ্বিতীয় শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা এমডি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মো. সাইফুর রহমান মজুমদার। গত বৃহস্পতিবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির ৮৮৮তম কমিশন সভায় এই নিয়োগ অনুমোদন দেওয়া হয়।

সিএসইর পরিচালনা পর্ষদের বিধান ২০১৩-অনুযায়ী সাইফুর রহমান

মজুমদার এমডি পদে নিযুক্ত হবেন। এর আগে ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর ওয়ালি-উল-মারুফ মতিন সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

তিনি ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর সিএসইর এমডি পদে যোগ দিয়েছিলেন। বিএসইসির ৫৩১তম সভায় তাকে সিএসইর এমডি হিসেবে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

এম সাইফুর রহমান মজুমদার ১৯৯২ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাববিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর শেষ করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি দি ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট একাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) সিএমএ শেষ করেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম////