মে মাসের প্রবাসী আয় ২.২৫ বিলিয়ন ডলার

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

চলতি বছরের মে মাসে প্রবাসী আয় ৩২ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেড়ে ২ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

মূলত ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে প্রবাসী কর্মীরা দেশে অর্থ পাঠানোয় প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের একই সময়ে প্রবাসী আয় এসেছিল ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার।

মে মাসের আয়ও আগের মাসের তুলনায় ১০ দশমিক ২৯ শতাংশ বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মার্চে ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার প্রবাসী আয় এসেছিল।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মুসলিমদের প্রধান ধর্মীয় উৎসবকে সামনে রেখে দেশের অভিবাসী কর্মীরা সাধারণত বেশি অর্থ দেশে পাঠান। তাই কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/////

বাজেট নিয়ে সিএসই’র ৫টি প্রস্তাবনা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

আসন্ন ২০২৪-২০২৫ বাজেট নিয়ে চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জ লি: (সিএসই) ৫টি প্রস্তাবনা পেশ করেছে।

আজ রবিবার সিএসইর চট্টগ্রামস্থ প্রধান কার্যালয়ে আসন্ন ২০২৪-২০২৫ বাজেট পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এবং শেয়ারবাজার নিয়ে তাদের প্রস্তাবনা ও প্রত্যাশা ব্যক্ত করে । এই সম্মেলনটি সভাপতিত্ব করেন সিএসই এর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম । উক্ত সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সিএসইর পরিচালক মেজাজ (অব) এমদাদুল ইসলাম, মোহাম্মাদ নকিব উদ্দিন খান, মোহাম্মেদ আখতার পারভেজ এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এম সাইফুর রহমান মজুমদার, এফসিএ, এফসিএমএ । এ সময় সিএসইর অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন ।

সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম আসন্ন বাজেট নিয়ে মূল বক্তব্য প্রদান করেন । তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, আগামী ০৬ জুন, ২০২৪ইং, তারিখে মাননীয় অর্থমন্ত্রী মহান জাতীয় সংসদে আগামী ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য বাজেট উপস্থাপন করার কথা রয়েছে । আমরা আশাকরি চলমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সমূহ বিবেচনা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় তার সুযোগ্য অর্থমন্ত্রী একটি টেকসই ও গতিশীল বাজেট উপস্থাপন করবেন । আমরা বিশ্বাস করি, একটি শক্তিশালী ও স্থিতিশীল অর্থনৈতিক বাজার কাঠামো তৈরী করার ক্ষেত্রে পুঁজিবাজার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে । মহান জাতীয় সংসদে জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ উপস্থাপনের প্রাক্কালে আমরা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে কিছু সুনির্দিষ্ট কৌশল বাজেট কাঠামোয় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আপনাদের মাধ্যমে সরকারের নিকট উপস্থাপনের জন্য সুপারিশ করছি।

জাতীয় বাজেট আমাদের দেশের জন্য শুধুমাত্র একটি বাৎসরিক আয় ব্যয়ের হিসাব নয়, বরং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত দিক নির্দেশনাও বটে। বর্তমান সরকারের কৌশলগত উন্নয়ন পরিকল্পনায় বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নিতকরন এবং ২০৪১ সালে একটি উন্নত রাষ্ট্রে উন্নিতকরনের যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তার সাথে সামঞ্জস্য রাখার জন্য একটি যথোপযুক্ত অর্থ বাজার কাঠামো (Financial Market Structure) তৈরি করা খুবই গুরুত্বপুর্ণ । একটি টেকসই বাজার কাঠামোর জন্য অর্থ বাজার, পুঁজিবাজার এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক কাঠামোর একটি সমন্বিত ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রয়োজন । কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমাদের আর্থিক বাজার কাঠামো কার্যত অনেকাংশে ব্যাংকব্যবস্থা তথা অর্থবাজারের উপর নির্ভরশীল । যার বিভিন্ন নেতিবাচক প্রভাব আমাদের অর্থনীতিতে ইতিমধ্যে প্রতীয়মান হচ্ছে । আমরা মনে করি আগামী বছরের জাতীয় বাজেটে পুঁজিবাজারের গুণগত সম্প্রসারণ এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য যথাযথ কৌশল নির্ধারণ করে দিকনির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত থাকবে ।

পুঁজিবাজার উন্নয়ন কৌশলপত্রে স্বল্প ও মধ্য মেয়াদি লক্ষ্য নির্ধারণে সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম আসন্ন বাজেট নিয়ে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর ব্যাপারে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন:

১। তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা বৃদ্ধি করন:

বর্তমানে ৩৪৯ টি কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আছে। স্থিতিশীল পুঁজিবাজারের জন্য গুণগত মান সম্পন্ন কোম্পানি তালিকাভুক্তির মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এ সংখ্যা একটি সন্তোষজনক সংখ্যায় উন্নীতকরন করা প্রয়োজন।

২। একটি কার্যকর কর্পোরেট বন্ড মার্কেট চালুকরণ:

দেশে ক্রমবর্ধমান অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের লক্ষ্যে একটি স্থিতিশীল শক্তিশালী বন্ড মার্কেট অতীব জরুরী। একটি শক্তিশালী বন্ড মার্কেট গঠন ও নতুন বন্ডের তালিকাভুক্তির মাধ্যমে বাজারে পণ্যের বৈচিত্র্যতা আনয়নের নিমিত্তে বন্ড হতে উদ্ভুত আয়কে কর অব্যহতি প্রদান করা প্রয়োজন।

৩। মার্কেট ক্যাপ জিডিপি রেশিও বৃদ্ধিকরণ:

বাংলাদেশের অর্থনীতি সমসাময়িক peer কান্ট্রিগুলোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে মার্কেট ক্যাপ – জিডিপি রেশিও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন । যা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে স্থানীয় এবং বিদেশী বিনিয়োগ উৎসাহিত করার একটি প্যারামিটার হিসেবে বিবেচিত হয় ।

৪। পুঁজিবাজারের জন্য বাজার মধ্যস্থতাকারী ও বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বৃদ্ধিকরণ:

বর্তমানে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে দক্ষ বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্কট রয়েছে । পাশাপাশি বিনিয়োগকারীর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য হারে কম। এই সংখ্যা একটি কাংখিত স্তরে উন্নিত করা প্রয়োজন ।

৫। পুঁজিবাজারের পন্য বৈচিত্র্যকরণ:

বর্তমান পুঁজিবাজার শুধুমাত্র ইকুইটি মার্কেট নির্ভর । যার ফলে বাজারে যেমন অনাকাঙ্ক্ষিত volatility পরিলক্ষিত হয় তেমনি এটি পুঁজিবাজার সম্প্রসারণের অন্তরায় । এই লক্ষ্যে কার্যকর কৌশলের মাধ্যমে অগ্রসর হওয়া প্রয়োজন ।

আমরা মনেকরি উপরোক্ত লক্ষ্য সমূহ স্বল্প ও মধ্যমেয়াদে বাস্তবায়ন করা গেলে একটি কার্যকর পুঁজিবাজার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে । সেই লক্ষ্যে বাজেট কাঠামোর মধ্যে নিমোক্ত কৌশল সমূহ অন্তৰ্ভুক্তি করার জন্য কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা উল্লেখ করছি:

১। গুনগত মান সম্পন্ন তালিকাভুক্ত কোম্পনির সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য:

Ø তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর্পোরেট কর হারের ব্যবধান নূন্যতম ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করণ ।

Ø নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পনিকে ২/৩ বছরের জন্য কর অব্যহতি প্রদান করা ।

২। কার্যকরী বেসরকারি বন্ড মার্কেট প্রস্তুতকরণ:

আমাদের দেশের কর্পোরেট বন্ড মার্কেটের আকার খুবই ছোট । যথোপযুক্ত প্রণোদনার মাধ্যমে একটি যথোপযুক্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন । বর্তমানে কর্পোরেট বন্ড মার্কেটের আকার দেশের জিডিপির তুলনায় এক শতাংশের কম । যা একটি দুর্বল আর্থিক খাতের নির্দেশক। কার্যকর বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তালিকাভুক্ত বন্ডের সুদকে বিনিয়োগকারী নির্বিশেষে কর অব্যহতি প্রদান করার প্রস্তাব করছি ।

পাশাপাশি দেশীয় এবং বিদেশী প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ উৎসাহিত করণের লক্ষ্যে ব্লু বন্ড এবং গ্রীন বন্ডকে সম্পূর্ণ কর অব্যহতি সহ কর রেয়াত প্রদান করা হলে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা ভিত্তিক বিনিয়োগ ব্যাপক অংশে বৃদ্ধি করা সম্ভব ।

৩। বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বৃদ্ধিকরন:

আমাদের জনসংখ্যার তুলনায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা খুবই কম । যা গত কয়েক বছর ধরে নিন্মমুখী ধারা লক্ষ্য করা যাচ্ছে । বাজারের প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য নিন্মোক্ত কৌশল অবলম্বন করা যায়:

Ø লভ্যাংশের উপর দ্বৈত কর প্রত্যাহার,

Ø প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর মূলধনী লাভের উপর কর প্রত্যাহার,

Ø মিউচুয়াল ফান্ড এবং ইটিএফ ইত্যাদি কালেকটিভ ইনভেস্টমেন্ট স্কীমে কর রেয়াতি সুবিধা বৃদ্ধি করন,

Ø মূলধনী লাভের উপর কর কর্তন করা হলে তা চূড়ান্ত করদায় হিসাবে বিবেচনা করন।

৪। পণ্য বৈচিত্র্যকরণ:

স্টক এক্সচেঞ্জসমূহের দ্রুততার সাথে পণ্য বৈচিত্র্যকরণ সুবিধার্থে নিন্মোক্ত কৌশল নেওয়া যেতে পারে:

Ø সদ্য প্রচলিত অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড এবং স্মল ক্যাপ বোর্ডে তালিকাভুক্ত উৎসাহিত করে লক্ষ্যে প্রথম ২/৩ বছরের জন্য কর অব্যাহতি প্রদান,

Ø কমোডিটি এবং ইকুইটি ডেরিভেটিভ সহজভাবে চালুকরনের লক্ষ্যে বিনিয়োগকৃত হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার এর উপর সকল ধরনের কর প্রত্যাহারের ঘোষণা প্রদান,

Ø সহজভাবে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কমোডিটি এক্সচেঞ্জকে পাঁচ বছেরের জন্য কর অব্যাহতি প্রদান করা ।

৫। ট্যাক্স জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধিকরণ:

ট্যাক্স জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধি করতে গেলে পূর্বে উল্ল্যেখিত কৌশলগুলোর মধ্যে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা বৃদ্ধিকরন, তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার হ্রাসকরণ, মূলধনী লাভকে কর অব্যাহতি প্রদান এবং লভ্যাংশ আয়কে করমুক্ত করার মধ্যমে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি করা উল্ল্যেখযোগ্য ।

এরপর উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন জিজ্ঞাসার উত্তর প্রদান করেন সিএসইর পরিচালক মেজাজ (অব) এমদাদুল ইসলাম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এম সাইফুর রহমান মজুমদার, এফসিএ, এফসিএমএ । পরিশেষে সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয় ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/////

অস্বাভাবিক মূল্যস্ফীতি; শ্রীলঙ্কার চেয়েও বেশি : সিপিডি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

‘মূল্যস্ফীতিতে আমরা ৯ ও ১০ শতাংশে অবস্থান করছি। বর্তমানে শ্রীলঙ্কার চেয়েও বেশি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারা সরকারের জন্য বড় ধরনের ব্যর্থতা।’

‘যেমন- ২০১৯ সালের তুলনায় মিনিকেট চালের দাম বেড়েছে ১৭ ভাগ, পাইজামের দাম ১৫ ও মোটা চাল ৩০ ভাগ। অর্থাৎ মুনাফাখোররা বেশি লাভ যেখানে করছে, যে পণ্য গরিব ও মধ্যবিত্তরা ব্যবহার করে এবং বাজারে বেশি বিক্রি হয়। আমরা দেখতে পাচ্ছি মুসর ডাল ৯৫, আটা ৪০-৫৪ ময়দা ৬০, খোলা সয়াবিন ৮৪ ভাগ, বোতলজাত সয়াবিন ৫৬ ও পামওয়েলে ১০৬ ভাগ দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। গরুর মাংসের দামও বেশি, ব্রয়লার মুরগি ৬০ ভাগ, চিনির দাম ১৫২ ভাগ, গুড়া দুধ ৪৬-৮০, পিঁয়াজ ১৬৪, রসুন ৩১০ ও শুকনা মরিচ ১০৫ ভাগ বেড়েছে, যা আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় অনেক বেশি। বাজার মনিটরিং ব্যবস্থায় দুর্বলতা দেখতে পাচ্ছি।’

আজ রবিবার সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বাংলাদেশ অর্থনীতি ২০২৩-২৪ : তৃতীয় অন্তর্বর্তীকালীন পর্যালোচনা শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এসব কথা বলেন সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

তিনি বলেন, ‘২০১৯ সাল থেকে খাদ্যমূল্য বিবেচনা করলে অস্বাভাবিক মূল্যস্ফীতি। আয় কম, কিন্তু খাবারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করতে হয়। যার ভুক্তভোগী গরিব ও সাধারণ মানুষ। ধনী ও গরিবের বৈষম্য বেড়েছে। গরিবের আয় বাড়েনি। জিডিপিতে জাতীয় আয় বাড়ছে, কিন্তু কর্মসংস্থানের ভূমিকা রাখতে পারছে না।’

ধনী ও গরিবের বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বর্তমানে মাথাপিছু অভ্যন্তরীণ আয় ২৬৭৫ মার্কিন ডলার, আর মাথাপিছু জাতীয় আয় ২৭৮৪ ডলার। মাথাপিছু গড় আয় যতটুকু পেয়েছি, মূলত উচ্চ আয় করেন তাদের কারণে। গরিব মানুষদের কথা বিবেচনা করলে তাদের আয় কমে গেছে। এখানে বৈষম্য বেড়েছে। তাদের উন্নতি হয়নি। বেসরকারি বিনিয়োগ দেখা যাচ্ছে না। সরকারের অতিরিক্ত ঋণ নেওয়া একটি বড় কারণ। বিষয়টি সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সরকারের ৭.৫ শতাংশ বিনিয়োগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না বলে মনে করছি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/////

চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের নতুন সিএস জিএম রাশেদ, এসিএস

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের প্রতিষ্ঠান চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের নতুন কোম্পানি সচিব (সিএস) নিয়োগ পেয়েছেন জিএম রাশেদ, এসিএস। ডিএসই সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সূত্র জানায়, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক বোর্ড সভায় বিমাটির নতুন সিএস হিসাবে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এখন থেকে জিএম রাশেদ, এসিএস বিমাটির সচিবের দ্বায়িত্ব পালন করবেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসবি

লেনদেনের শীর্ষে বিচ হ্যাচরি; ২য় স্থানে এশিয়াটিক ল্যাব

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবার দিনশেষে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বিচ হ্যাচরি। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, এদিন কোম্পানিটির ১৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ১১ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ওরিয়ন ফার্মার ১০ কোটি ৪৭ লাখ, ই জেনারেশনের ১০ কোটি ১০ লাখ, ওরিয়ন ইনফিউশনের ৯ কোটি ২০ লাখ, গোল্ডেন সনের ৮ কোটি ৯৮ লাখ, ফারইষ্ট নিটিং এন্ড ডায়িংর ৮ কোটি ৯৩ লাখ, সেন্ট্রাল ফার্মার ৮ কোটি ৬০ লাখ ও রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসবি

  1. বিচ হ্যাচরি
  2. এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ
  3. আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ
  4. ওরিয়ন ফার্মা
  5. ই জেনারেশন
  6. ওরিয়ন ইনফিউশন
  7. গোল্ডেন সন
  8. ফারইষ্ট নিটিং এন্ড ডায়িং
  9. সেন্ট্রাল ফার্মা
  10. রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স।

প্রথম কর্মদিবসেই লেনদেন ও সূচকের পতন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পতন হয়েছে। এদিন সেখানে লেনদেন আগের দিনের চেয়ে কমেছে। অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক ও লেনদেন কমেছে । ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবার ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৮.২৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫২৩৩ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ৬.৪৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১১৩৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৭.৭৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৮৬৭ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৪৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। গত বৃহস্পতিবার সেখানে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩৭৪ কোটি ৪৮ লাথ টাকা।

ডিএসইতে দিনভর ৩৭১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১২৪টি শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ২১৯টির আর অপরিবর্তিত আছে ৪৮টির দর।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো – বিচ হ্যাচরি, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, ওরিয়ন ফার্মা, ই জেনারেশন, ওরিয়ন ইনফিউশন, গোল্ডেন সন, ফারইষ্ট নিটিং এন্ড ডায়িং, সেন্ট্রাল ফার্মা ও রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স।

অন্যদিকে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ৫০.৫২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৫ হাজার ১৯ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ২২৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৫টির, কমেছে ১১৫টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮৭ কোটি ৩১ লাখ টাকা। গত বৃহস্পতিবার সেখানে লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।

দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে মেঘনা পেট্রোলিয়াম ও জেএমআই হসপিটা্ল।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসবি

৮ মাসে রপ্তানি পোশাকের দাম কমেছে ১৬ শতাংশ: বিজিএমইএ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে বিদেশি ক্রেতাদের মধ্যে চাহিদা কমে যাওয়ায় গত আট মাসে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি আয় এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ শতাংশ কমেছে।

বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) তথ্য অনুসারে, শুধু বাংলাদেশের পোশাকের দামই কমেছে তা নয়, প্রধান বাজারগুলোয় পোশাক রপ্তানির পরিমাণও কমেছে।

বিজিএমইএর তথ্য বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পোশাক আমদানি সাত শতাংশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ১৩ শতাংশ কমেছে।

গত এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে চার দশমিক ৯৭ শতাংশ। এটি এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় নয় দশমিক শূন্য নয় শতাংশ কম।

গতকাল রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে সাংবাদিকদের বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান কচি জানান, গত পাঁচ বছরে ব্যাংক সুদ ১৫ শতাংশ ও উৎপাদন খরচ ৫০ শতাংশ বেড়েছে। গ্যাস, বিদ্যুৎ ও শ্রমিকের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে বলেও জানান তিনি।

তার মতে, ‘রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (এসইজেড) বাইরে বিনিয়োগের অনুমতি না দেওয়ার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত বিনিয়োগের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’

তিনি সরকারকে এই সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করে এসইজেড ও ইপিজেডের বাইরে বিনিয়োগের অনুমোদন দেওয়ার আহ্বান জানান, যাতে নতুন বিনিয়োগ আসে ও নতুন কারখানা করা যায়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম//

গ্রামীণ টেলিকমের মামলায় অব্যাহতি চেয়েছেন ড. ইউনূস

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের সংরক্ষিত ফান্ডের লভ্যাংশের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস মামলার দায় হতে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছেন।

রবিবার (২ জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালতে ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

আদালতে ড. ইউনূস হাজিরা দেন। এরপর মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন বলে জানিয়েছেন ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন।

ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের সংরক্ষিত ফান্ডের লভ্যাংশের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ মামলায় হাজিরা দিয়েছেন। এ মামলায় আজ অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। আমরা ড. ইউনূসের পক্ষে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছি।

এর আগে গত ২ মে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালতে মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন আসামিপক্ষের সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক আজ ২ জুন অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম//