বাজেটকে মোটেই উচ্চাভিলাষী মনে করি না : প্রধানমন্ত্রী

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটকে মোটেই উচ্চাভিলাষী মনে করেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘আমি মোটেই বাজেটকে উচ্চাভিলাষী মনে করি না। একটা লক্ষ্য আমরা স্থির করি। শতভাগ কখনো পূরণ হয় না।

তারপরও আমাদের সুনির্দিষ্ট একটা লক্ষ্য থাকে যে এখানে আমরা যাব। সেটা আমরা যেতে পেরেছি।’

শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোথায় ৬২ হাজার কোটি টাকার বাজেট, আর কোথায় সাত লাখ কোটি টাকার বাজেট। আমরা তো এই জায়গায় আসতে পেরেছি। চ্যালেঞ্জ নিয়েছি বলেই না সম্ভব হয়েছে। আমাদের ইচ্ছাটা কী? দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন।

সে জন্যই তো উন্নয়নটা হয়। আমাদের উন্নয়নের ধারা যেন অব্যাহত থাকে, সে লক্ষ্যেই আমরা এই বাজেট প্রণয়ন করেছি এবং উন্নয়ন বাজেট দিয়েছি। এখানে কমানোর কিছু নেই।
তিনি বলেন, ‘এই বাজেটের মধ্যে আগামী দিনে আমরা যে পরিপ্রেক্ষিতে পরিকল্পনা করেছি-২০২১ থেকে ২০৪১ সাল- সেটি বাস্তবায়নে সক্ষম হব। সেই ধারাবাহিকতা আমাদের আছে।

আমরা একটা রাজনৈতিক দল করি-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আমাদের কিন্তু নিজেদের ঘোষণাপত্র আছে, আমরা কিন্তু নির্বাচনের আগে ইশতেহার ঘোষণা করি। এই ইশতেহার আমরা কখনো ভুলে যাই না। জাতির কাছে যে ওয়াদা দিয়ে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমরা ক্ষমতায় এসেছি তা পালন করি। এই বাজেট প্রণয়নকালীন সময়েও আমাদের যে নির্বাচনী ইশতেহার, সেটির অগ্রাধিকার এবং মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের যে দিকনির্দেশনা সেটাও বাজেটে উঠে এসেছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ বাজেট আমরা দিয়েছি। বাজেটের আকার সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। আমাদের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৬.৭৫ শতাংশ। বাজেটের ওপর এ পর্যন্ত বিরোধীদলীয় নেতাসহ ২৩৪ জন সংসদ সদস্য বক্তব্য রেখে বাজেটের ওপর আলোকপাত করেছেন এবং পরামর্শ দিয়েছেন। এর বাইরে অনেকেই বাজেট নিয়ে আলোচনা করেছেন। বাজেট নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা যে যা-ই করুক, সবাইকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ বাজেটকে উচ্চাভিলাষী বলেছেন, কেউ বলেছেন ঘাটতি বাজেট। কিছুক্ষণ আগে বিরোধীদলীয় নেতা বললেন, এই বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, আমাদের প্রবৃদ্ধির হার কমাতে হবে, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি কমাতে হবে ইত্যাদি। এবং এই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার মতো সক্ষমতা আছে কি না। চ্যালেঞ্জ নেওয়াটাই তো আমাদের কাজ। চ্যালেঞ্জ নিয়েই তো আমরা চলতে চাই, চ্যালেঞ্জ নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’

স্টকমার্কেটবিডি.কম///

দুই মাস পর চালু হল দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশে ইন্টারনেট সরবরাহে সিঙ্গাপুর হতে পশ্চিমপ্রান্তে ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায় আকস্মিকভাবে বিচ্ছিন্ন দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলটির প্রায় আড়াই মাস পর মেরামত সম্পন্ন হয়েছে এবং সার্কিটগুলো চালু করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৮ জুন) বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসির (বিএসসিপিএলসি) মহাব্যবস্থাপক (চালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ) সাইদুর রহমান এ তথ্য জানান।

বিএসসিপিএলসি জানায়, গত ১৯ এপ্রিল দিবাগত রাত ১২টায় বিএসসিপিএলসির আওতাধীন দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলটি (এসএমডব্লিউ-৫) সিঙ্গাপুর হতে পশ্চিমপ্রান্তে ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায় আকস্মিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে ইন্টারনেট সংযোগে বিঘ্ন ঘটে।
সাইদুর রহমান জানান, এসএমডব্লিউ-৫ কনসোর্টিয়াম শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ক্যাবলটির মেরামত কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করে। বিএসসিপিএলসির এসএমডব্লিউ-৫ এর মাধ্যমে সংযোগ করা সার্কিটগুলো চালু করা হয়েছে।

কক্সবাজারে অবস্থিত দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল, কুয়াকাটায় অবস্থিত সাবমেরিন ক্যাবল এবং কয়েকটি আইটিসি বা ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্ট্রিয়াল ক্যাবলের মাধ্যমে দেশে ইন্টারনেট সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/////

রিজার্ভে যোগ হলো ঋণের ২.০৫ বিলিয়ন ডলার

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে যুক্ত হয়েছে ঋণের ২ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলার। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে এ অর্থ যোগ হয়েছে। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মোট রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ হাজার ৬৫০ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার আইএমএফের ঋণের কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে যোগ হয়েছে। এছাড়া, কোরিয়া, আইডিবিসহ অন্যান্য দেশ থেকে আরও ৯০ কোটি ডলারের ঋণও রিজার্ভে যুক্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৬ বিলিয়নের কিছু বেশি।

এর আগে, গত সোমবার বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তির আওতায় তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের অনুমোদন দেয় আইএমএফ।

এদিকে, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে আইএমএফের ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পেয়েছিল বাংলাদেশ। আর গত ডিসেম্বরে পেয়েছিল দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। এখন তৃতীয় কিস্তির অর্থছাড়ের ফলে বাংলাদেশ সব মিলিয়ে তিন কিস্তিতে আইএমএফের কাছ থেকে প্রায় ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে। ঋণের বাকি প্রায় ২৩৯ কোটি ডলার আর চার কিস্তিতে পাওয়া যাবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/////

সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে ইউনিলিভার কনজিউমার; ২য় স্থানে রেনেটা

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সর্বশেষ সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ইউনিলিভার কনজিউমার ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির প্রতি কার্যদিবসে ৪৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। গড় লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা রেনেটার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকার।

রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে।

লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ক্যাপিটাক গ্রোথ ফান্ডের ১৭ কোটি ৩৬ লাখ, সী পার্লসের ১৫ কোটি ৭৬ লাখ, বিএটিবিসির ১৩ কোটি ৭৫ লাখ, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ১২ কোটি ৮৬ লাখ, বিচ হ্যাচারির ১২ কোটি ২৬ লাখ টাকা, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ১২ কোটি ১৩ লাখ ও স্কয়ার ফার্মার ১১ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসবি

৫ দিনে ডিএসইতে মূলধন বেড়েছে ১৮ হাজার টাকা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সর্বশেষ সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন ১৮ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে। এই সপ্তাহে সেখানে মোট লেনদেন আগের সপ্তাহের চেয়ে বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৮০২ কোটি টাকার। আগের সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে সেখানে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৮৮২ কোটি টাকার উপরে।

ডিএসইতে সর্বশেষ সপ্তাহে দিনের গড় লেনদেন ৫৬০ কোটি ৪২ লাখ টাকার হয়েছে। আগের সপ্তাহে এই লেনদেন হয়েছিল ২৭৬কোটি ৪৫ লাখ টাকার উপরে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে প্রতিদিনের গড় লেনদেন ৪৮.৮৭ শতাংশ বেড়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১১.২৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৩৫৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ৪৭.০৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯২২ পয়েন্টে। আর শরিয়াহ সূচক ২৭.৪৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৮৩ পয়েন্টে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৪১৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৩০০টির, কমেছে ৩২৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৪টির শেয়ার ও ইউনিটের দর। আর ১৬টি শেয়ারের কোনো লেনদেন হয়নি।

আগের সপ্তাহে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৪৩ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা। গত সপ্তাহের শেষ দিনে এই মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬১ হাজার ৫০৮ কোটি টাকা। এই হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে বাজার মূলধন ১৭ হাজার ৮৫৯ কোটি কোটি টাকা অর্থ্যাৎ ২.৭৭ শতাংশ বেড়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসবি