স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :
বাংলাদেশে ব্যাংক দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা বললেও মূলত তার পরিমাণ ৫ লাখ হাজার কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আব্দুল কাদের আজাদ। এই ঋণখেলাপিদের নাম সংসদে প্রকাশ করার দাবি জানান তিনি।
রবিবার(২৩ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে আব্দুল কাদের আজাদ এ সব কথা বলেন। এ সময় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
একে আজাদ বলেন, এখানে একজন অত্যন্ত দায়িত্বশীল প্রাক্তন মন্ত্রী বসে আছেন তিনি গতকাল বলেছেন এই প্রশাসনের একটা বিরাট অংশ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। তাদের বিচার হওয়া উচিত। আমি প্রস্তাব করছি এই মহান সংসদে প্রধানমন্ত্রী যেখানে স্মার্ট বাংলাদেশ ঘোষণা করেছেন সেখানে এনালক রাষ্ট্র চলতে পারে না। তাই এতোগুলো মন্ত্রণালয়, এতোগুলো অধিদপ্তর আদৌ আমাদের দরকার আছে কিনা এর জন্য একটা প্রশাসনিক অডিট কমিটি গঠন করা হোক।
তিনি বলেন, দেশের বিনিয়োগ পরিবেশ দিন দিন কঠিন হচ্ছে, ঋণের সুদ হার, বিদ্যুৎ জ্বালানির অপর্যাপ্ততা, পরিবহন ব্যয় নানা সমস্যায় জর্জরিত। তাই বিনিয়োগ টানতে পাশের দেশ ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে নানা মুখি প্রস্তাবনা দিচ্ছে এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। প্রণোদনা দিয়ে আমাদের এখানে যারা বিদেশি বিনিয়োগকারী ছিল তাদের আকৃষ্ট করছে। আমাদের জন্য সামনের দিনগুলো কিন্তু ভালো হবে না যদি না আমরা নিজেদের মধ্যে পরিবর্তন আনি।
আজকে যদি তাদের ১৫ শতাংশে (কর দিয়ে) টাকা আনতে দেই এটা হবে যারা ৩০ শতাংশ ট্যাক্স দেবে তাদের প্রতি অন্যায়, অবিচার। যেখানে আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা করেছে দুর্নীতিকে জিরো টলারেন্স; তাহলে কিভাবে এই সার্বভৌম সংসদ এই ১৫ ভাগ কালো টাকা যে টাকার উৎস প্রশ্ন করা যাবে না সেইভাবে বৈধতা দিতে পারে সেটা আমার কাছে বোধগোম্য নয়। আমার যদি ২৫ ভাগ থেকে ৩০ ভাগ (কর দিতে হয়) করা হয় তাহলে সে ৩০ ভাগ ট্যাক্স কেন দেবে না। কেন তার বৈধতার প্রশ্ন করা যাবে না, অবশ্যই তার বৈধতার প্রশ্ন করতে হবে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম//