লেনদেনের শীর্ষে জিপি; ২য় স্থানে ব্র্যাক ব্যাংক

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার দিনশেষে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে জিপি। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, এদিন কোম্পানিটির ৮৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬৭ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।

হাইডেলবার্গ সিমেন্টের ৪২ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইউনিলিভার কনজিউমারের ৩৯ কোটি ৫৪ লাখ, স্কয়ার ফার্মার ২৬কোটি ৫০ লাখ, ডিবিএইচের ২২ কোটি ১৬ লাখ, ম্যারিকো বিডির ২১ কোটি ১৩ লাখ, বিএটিবিসির ২০ কোটি ৬১ লাখ, সিটি ব্যাংকের ১৯ কোটি ৯২ লাখ ও টেকনো ড্রাগসের ১৮ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসবি

  1. জিপি
  2. ব্র্যাক ব্যাংক
  3. হাইডেলবার্গ সিমেন্ট
  4. ইউনিলিভার কনজিউমার
  5. স্কয়ার ফার্মা
  6. ডিবিএইচ
  7. ম্যারিকো বিডি
  8. বিএটিবিসি
  9. সিটি ব্যাংক
  10. টেকনো ড্রাগস।

ডিএসই ও সিএসইতে সূচকের সাথে কমেছে লেনদেন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে। এদিন সেখানে লেনদেনও আগের দিনের চেয়ে কমেছে। এদিন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন ও সূচক কমেছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার দিনশেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৮.৯৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৯০৩ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ৫.৬২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১২৬৪ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৭.৬৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২১৭৯ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯৯৯ কোটি ১ লাখ টাকা। গতকাল বুধবার সেখানে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১২৪৩ কোটি ৯৮ লাথ টাকা।

ডিএসইতে দিনভর ৩৯৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ৯১টি শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ২৭৫টির আর অপরিবর্তিত আছে ৩২টির দর।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো – জিপি, ব্র্যাক ব্যাংক, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, ইউনিলিভার কনজিউমার, স্কয়ার ফার্মা, ডিবিএইচ, ম্যারিকো বিডি, বিএটিবিসি, সিটি ব্যাংক ও টেকনো ড্রাগস।

অন্যদিকে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক সিএএসপিআই সূচক ১১০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৭ হাজার ৩১ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ২৪৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫টির, কমেছে ১৮০টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১২টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। গতকাল বুধবার সেখানে লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা।

দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে জিপি ও রবি আজিয়াটা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসবি

রিনসাইন টেক্সটাইলের বোর্ড সভা আহবান

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি রিনসাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের চলতি বছরের প্রান্তিক বোর্ড সভা আগামী ১৯ আগষ্ট আহবান করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং) রেজুলেশন ২০১৫ এর ১৬(১) ধারা অনুযায়ী, এই বোর্ড সভায় কোম্পানিটির ৩১ মার্চ ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত এই আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

এদিন বেলা ৪টায় রাজধানীতে কোম্পানির নিজস্ব অফিসে অনুষ্ঠিত এ সভায় কোম্পানিটির ৩য় প্রান্তিকের ইপিএস ও ন্যাভসহ অন্যান্য আর্থিক তথ্য শেয়ারহোল্ডারদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসবি

বার্জার পেইন্টসের ১ম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রসায়ন ও ঔষুধ খাতের কোম্পানি বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ডিএসই সূত্রে তথ্য জানা গেছে।

আর্থিক প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, এই প্রান্তিকে (এপিল-জুন, ২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২০.৭৪ টাকা। গত বছরের এ সময়ের কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ২০.৫৬ টাকা।

এ সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদের মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৩০ টাকা। যা ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ ছিল ৩০৯ টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসবি

ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের লভ্যাংশ ঘোষণা

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত জীবন বিমা খাতের কোম্পানি ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ সালের জন্য এ লভ্যাংশ ঘোষণা করে বিমাটির পরিচালনা বোর্ড।

আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর বিমাটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসবি

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সালমান এফ রহমানের অন্ধকার জগৎ

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক:

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অন্যতম বিশ্বস্ত উপদেষ্টা ছিলেন সালমান এফ রহমান, যিনি মন্ত্রী পদমর্যাদার ছিলেন। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে থাকা আসামি।

নানা রকমের আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার বিষয়ে আলোচিত হলেও তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে একটি দোকানের কর্মচারীকে হত্যার মামলায়।

শেয়ার বাজার ও ব্যাংকিং খাতে কেলেঙ্কারির মূলহোতাদের একজন হিসেবে সালমান এফ রহমানের নাম গত ১৫ বছর ধরে বরাবরই আলোচনায় ছিল। বর্তমানে দেশের এই দুই খাতই বিপর্যস্ত।

অনেকেই সালমান এফ রহমানকে বাংলাদেশের ‘ঋণখেলাপির জনক’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে থাকেন।

সালমান দোহারের সংসদ সদস্য এবং বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি আইএফআইসি ব্যাংকেরও চেয়ারম্যান। এ ছাড়াও অনেক ব্যবসায়ী সমিতির গুরুত্বপূর্ণ পদেও তিনি অধিষ্ঠিত।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব।

সালমানের বেক্সিমকো গ্রুপ জনতা ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়ে ব্যাংকটিকে ঝুঁকিতে ফেলেছিল। সেই ঋণের পরিমাণ ছিল রাষ্ট্রায়ত্ত এই ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধনের চেয়ে নয় গুণ বেশি। এটা তার বহু কাজের একটা উদাহরণ মাত্র।

১৯৭২ সালে কমোডিটি ট্রেডিং কোম্পানি হিসেবে সালমান ও তার বড় ভাইয়ের প্রতিষ্ঠিত বেক্সিমকো বিভিন্ন সময় খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করার জন্য নতুন নিয়ম তৈরি বা সংশোধন করতে নিয়ন্ত্রকদের বাধ্য করেছেন। এর মাধ্যমে আদালতের আদেশের বিপরীতে নিজেকে সুরক্ষিত করেছিলেন তিনি।

২০১৪ সালের আগস্টে তারল্য সংকটের কারণ দেখিয়ে সোনালী ব্যাংক থেকে নেওয়া বেক্সিমকোর ঋণ পুনঃতফসিল করেন সালমান এফ রহমান।

এর পেছনে কোম্পানিটি ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ঋণ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিধিনিষেধ, পূর্ববর্তী তিন বছরে ৮০০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং ২০১৩-১৪ সালে দীর্ঘ অবরোধ ও শাটডাউনের কারণে ঘটা অর্থনৈতিক বিপর্যয়কে দায়ী করেন।

ওই সময় সাতটি ব্যাংক থেকে পাঁচ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে দেওয়া এক চিঠিতে বেক্সিমকো টিকে থাকতে জরুরি ভিত্তিতে ঋণ পুনঃতফসিলের আহ্বান জানিয়েছিল।

২০১৫ সালের ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন বড় ঋণ পুনঃতফসিল নীতিমালা জারি করে, যার আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৫০০ কোটি টাকা বা তার বেশি ঋণগ্রহীতাদের আবেদন গ্রহণ করে।

প্রায় ১১টি ব্যবসায়ী গ্রুপ ওই সুযোগ গ্রহণ করে তাদের খেলাপি ঋণের প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা পুনঃতফসিল করেছে। সেই সময় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, এই অর্থের এক-তৃতীয়াংশই পুনর্গঠন করেছে বেক্সিমকো।

ঋণগ্রহীতাদের স্বাভাবিক ১০ শতাংশের পরিবর্তে মাত্র ১-২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট এবং সর্বোচ্চ ১২ বছরের ঋণ পরিশোধের মেয়াদ দেওয়া হয়। নীতিমালায় কোনো ঋণগ্রহীতা পরপর দুই কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হলে ব্যাংকগুলোকে এ সুবিধা প্রত্যাহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে ঋণদাতারা ঋণগ্রহীতাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এতে যে বেক্সিমকো বিচলিত হয়নি, সেটা তাদের পরবর্তী কর্মকাণ্ড থেকে বোঝা যায়।

নীতিমালার আওতায় রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক ১২ বছর মেয়াদে ১০ শতাংশ সুদে ২০২৭ সাল পর্যন্ত বেক্সিমকোর এক হাজার ৭০ কোটি টাকা ঋণ পুনঃতফসিল করেছে, যা তখনকার ১৩-১৪ শতাংশ সুদের হারের চেয়ে অনেক কম।

এক বছরের গ্রেস পিরিয়ড শেষে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ঋণগ্রহীতার প্রতি প্রান্তিকে সোনালী ব্যাংককে ৫৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ঋণগ্রহীতার ছয় কিস্তি পরিশোধের বাধ্যবাধকতা থাকলেও বেক্সিমকো দিয়েছে মাত্র দুটি কিস্তি। আর ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের শেষের দিকে তা খেলাপিতে পরিণত হয়।

এরপরেও সোনালী ব্যাংক প্রদত্ত সুবিধা প্রত্যাহার করেনি এবং বেক্সিমকোর বিরুদ্ধে মামলাও করেনি।

এর পরিবর্তে ২০১৮ সালের মার্চে আবারও বেক্সিমকোকে দেওয়া ঋণ পুনঃতফসিল করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী ঋণ পুনঃতফসিলের জন্য খেলাপি ঋণের ন্যূনতম ১০ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট বাধ্যতামূলক হলেও তা করতে বেক্সিমকোকে কোনো ডাউন পেমেন্ট করতে হবে না।

আরেকটি উদাহরণ হলো জিএমজি এয়ারলাইনসের ঋণ পরিশোধে ব্যর্থতার জন্য ২০১৬ সালের আগস্টে সালমান ও তার ভাই সোহেলের সম্পত্তি নিলামে তোলার জন্য সোনালী ব্যাংকের উদ্যোগ বন্ধ করা। ২০০৯ সালে দেশের প্রথম বেসরকারি বিমান সংস্থা জিএমজির অর্ধেক শেয়ার কিনে নেয় বেক্সিমকো।

গত জুলাইয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণের বিপরীতে বন্ধকী সম্পত্তি নিলামে তোলার নোটিশ দিলে জিএমজি হাইকোর্টে গিয়ে স্থগিতাদেশ নেয়। বছরের পর বছর ধরে গ্রাউন্ডেড থাকা বিমান সংস্থাটিও আদালতের আদেশের কারণে তার অ্যাকাউন্টগুলো নিয়মিত রাখতে সক্ষম হয়।

বিধ্বস্ত ডিবেঞ্চার মার্কেট
নব্বইয়ের দশকে সংগৃহীত প্রায় ১০০ কোটি টাকা ঋণ পরিশোধে বিলম্ব করায় বাংলাদেশের ঋণপত্র বাজার ধ্বংস করার অভিযোগ এখনো রয়েছে সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে।

ডিবেঞ্চার এক ধরনের ঋণ বিন্যাস, যা বৃহৎ কোম্পানিগুলো অর্থ ধার করার জন্য ব্যবহার করে।

বেক্সিমকো ১৯৯৪-৯৫ সালে ১০ বছর মেয়াদে চারটি ডিবেঞ্চার ইস্যু করে। ২০০৪ ও ২০০৫ সালে তাদের মেয়াদ শেষ হলেও ২০২১ সাল পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের অর্থ পরিশোধ করা হয়নি।

ওই বছর তিন হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের জন্য সুকুক ইস্যু করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল বেক্সিমকো। এ অবস্থায় বেক্সিমকোর ঋণখেলাপি ইস্যু সমালোচনার মুখে পড়ে এবং কোম্পানিটিকে পাওনা পরিশোধের নির্দেশ দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন।

নির্ধারিত সময়ের ১৫ বছর পর ওই টাকা পরিশোধ করেছে সংস্থাটি।

বন্ড বাজার
সালমানের বেক্সিমকো ২০২১ সালে দেশের সবচেয়ে বড় সুকুক ইস্যু করে, যার মাধ্যমে তিন হাজার কোটি টাকা আয় করে।

তবে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর তৎকালীন বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা বন্ড বিক্রির জন্য তার রাজনৈতিক সুবিধা ব্যবহার করেছিলেন। কোনো ব্যাংক ও নন-ব্যাংক এই বন্ডে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী ছিল না।

সালমান তার সুকুকে বিনিয়োগের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের চাপ দেন। তা সত্ত্বেও অনেক ব্যাংক স্বল্প পরিমাণ তহবিল বিনিয়োগ করেছে। তাই বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে অন্তত দুইবার বিনিয়োগের সময় বাড়াতে হয়েছে।

ব্যাংকগুলো যাতে তার সুকুকে বিনিয়োগ করতে পারে, সেজন্য তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা পরিবর্তন করেছেন।

পুঁজিবাজারকে চাঙ্গা করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি তহবিল গঠন করে এবং ব্যাংকগুলোকে শুধু শেয়ারবাজারের জন্য পরিকল্পিত তহবিল থেকে ২০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।

সালমান এফ রহমান ব্যাংকগুলোকে সুকুকে বিনিয়োগের অনুমতি দিয়ে সার্কুলার জারি করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বাধ্য করেন। এরপর সালমান কয়েকটি ব্যাংককে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তার কোম্পানির সুকুকে বিনিয়োগ করতে বলেন।

সূত্র : ডেইলিস্টার