বেক্সিমকো-সামিটসহ ৫ শীর্ষ শিল্পগ্রুপের ব্যাংক হিসাব তলব

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের পাঁচ শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ ও তাদের পরিবারের সদস্যদের লেনদেনের তথ্য চেয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) এনবিআরের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) বেক্সিমকো, ওরিয়ন, সামিট, নাসা ও বসুন্ধরা গ্রুপের মালিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের লেনদেনের তথ্য চেয়ে এ চিঠি দিয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্র জানায়, কর ফাঁকি তদন্তে বিশেষ অনুসন্ধান কার্যক্রম চলছে। অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন বা এমন সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির বিশেষ অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি)।

পর্যায়ক্রমে এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আয়কর আইন, ২০০৩ ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর অধীনে কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে ফাঁকি দেওয়া কর উদ্ধারের পাশাপাশি শাস্তিমূলক কার্যক্রম নেওয়া হবে। এরই ধারাবাহিকতায় বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমান, নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার, সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান, ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিম, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান এবং তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আয়কর ফাঁকির তথ্য অনুসন্ধান বা উদঘাটনে এনবিআরের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) এরই মধ্যে কাজ গুরু করেছে।
এদিকে ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা ও নানাভাবে হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড পরিলক্ষিত হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে উদ্বেগ জানিয়েছে দেশের ব্যবসায়ী সমাজ।

হয়রানিমূলক এসব কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দেশের বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা দেশের অর্থনীতির জন্য অশনিসংকেত।
তারা বলেন, ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা দেশের অর্থনীতির জন্য অশনিসংকেত। তাদের ওপর দমন-পীড়ন করা হলে দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি কখনো ধরে রাখা যাবে না, দেশে বিনিয়োগ বাড়বে না।

বিনিয়োগ না বাড়লে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে না। তাই সরকারের এখন জরুরি ভিত্তিতে দেশের আইন-শৃঙ্খলা উন্নত করা এবং ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা দেওয়া দরকার।
ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের (আইসিসিবি) চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘১৫ বছরের ভঙ্গুর অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে যখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে সব ব্যবসায়ী এক হয়ে কাজ করছেন, এ সময় দেশের অর্থনীতি এবং কর্মসংস্থানে ভূমিকা রাখে, এমন ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হামলা ও মামলা করা হলে পুরো ব্যবসায়ী সমাজে অস্থিরতা তৈরি করবে। এর ফলে দেশের অর্থনীতি স্থবির হবে। তদন্ত ছাড়া এ রকম মামলা ও হয়রানি দেশের কল্যাণে কোনো ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে না।

একই সঙ্গে ছাত্র-জনতার অনেক ত্যাগের বিনিময়ে যে আন্দোলন তার সুফল থেকে বঞ্চিত হবে দেশের সাধারণ মানুষ।’

স্টকমার্কেটবিডি.কম////

  1. জিপি
  2. ব্র্যাক ব্যাংক
  3. অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ
  4. জেএমআই হসপিটাল
  5. রবি আজিয়াটা
  6. বিএটিবিসি
  7. ইউসিবি
  8. ইউনিলিভার কনজিউমার
  9. আইএফআইসি ব্যাংক
  10. সিটি ব্যাংক।

গণশুনানি ছাড়া বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম নির্ধারণ করবে না সরকার

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেই অধ্যাদেশ অনুযায়ী, গণশুনানি ছাড়া সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম নির্ধারণ করবে না।

আজ বৃহস্পতিবার জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিদ্যুৎ উৎপাদন, গ্যাস ও পেট্রোলিয়ামজাত পদার্থের ব্যবস্থাপনা, ট্যারিফ নির্ধারণ, ভোক্তার স্বার্থ সংরক্ষণ ও প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০৩ সালে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন (২০০৩ সালের ১৩ নম্বর আইন) প্রণীত হয়। পরবর্তী সময়ে ২০০৫, ২০১০, ২০২০ ও ২০২৩ সালে আইনটি সংশোধন করা হয়। ইতোপূর্বে আইনটি সংশোধন করে এর ৩৪ ধারার সঙ্গে ৩৪ক ধারা সংযোজন করা হয়।

সেটি হলো, ‘৩৪ক। ট্যারিফ নির্ধারণ, পুনঃনির্ধারণ বা সমন্বয়ে সরকারের ক্ষমতা। এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিশেষ ক্ষেত্রে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ভর্তুকি সমন্বয়ের লক্ষ্যে, জনস্বার্থে, কৃষি, শিল্প, সার, ব্যবসা-বাণিজ্য ও গৃহস্থালি কাজের চাহিদা অনুযায়ী এনার্জির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যে উহাদের উৎপাদন বৃদ্ধি, সঞ্চালন, পরিবহণ ও বিপণনের নিমিত্ত দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের সুবিধার্থে বিদ্যুৎ উৎপাদন, এনার্জি সঞ্চালন, মজুদকরণ, বিপণন, সরবরাহ, বিতরণ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ট্যারিফ নির্ধারণ, পুনঃনির্ধারণ বা সমন্বয় করিতে পারিবে।’

বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং গ্যাস সম্পদ ও পেট্রোলিয়ামজাত পদার্থের ট্যারিফ বা মূল্য নির্ধারণে গণশুনানির মাধ্যমে জনগণের অধিক সম্পৃক্ততা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সুশাসন, জনপ্রত্যাশা ও ভোক্তার স্বার্থ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩ এর উপরোক্ত ৩৪ক ধারা বিলুপ্ত করার লক্ষ্যে অধ্যাদেশ জারির বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদ-বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম////

ইসলামী ব্যাংকে ৫ স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

এস আলমের মালিকানা ছাড়াতে ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। নতুন করে পাঁচজন পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

তারা হলেন রূপালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক খুরশীদ ওহাব, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল জলিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং বিভাগের অধ্যাপক এম মাসুদ রহমান এবং চার্টার্ড একাউন্টেন্ট আব্দুস সালাম।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভনর্র ড. আহসান এইচ মনসুর বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) নিয়োগ অনুমোদন দিয়েছেন বলে জানা গেছে। গতকাল বুধবার সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী ব্যাংক পিলসির পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দেন গভর্নর।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্র বলছে, নামে বেনামে ইসলামী ব্যাংকের প্রায় ৮২ শতাংশ শেয়ারই এস আলম গ্রুপের দখলে। এমন পরিস্থিতিতে নতুন পর্ষদে বেশিরভাগ স্বতন্ত্র পরিচালক হতে পারে।

ইসলামী ব্যাংকে এস আলম গ্রুপ কেবল ঋণ জালিয়াতি বা নিয়োগ পদোন্নতিতে অনিয়ম করেছে তেমন না। ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী কোনো একটি ব্যাংকে একক ব্যক্তি, পরিবার বা গোষ্ঠী সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা নিতে পারে। ইসলামী ব্যাংক দখলের পর নামে-বেনামে ২৪ প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১৩১ কোটি ৮৯ লাখ ১২ হাজার ১৬৫টি শেয়ারের মালিকানা নিয়েছে এস আলম গ্রুপ, যা ব্যাংকটির মোট শেয়ারের ৮১ দশমিক ৯২ শতাংশ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসবি

লেনদেনের শীর্ষে জিপি; ২য় স্থানে ব্র্যাক ব্যাংক

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার দিনশেষে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে জিপি। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, এদিন কোম্পানিটির ৮৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের ২৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- জেএমআই হসপিটালের ২৬ কোটি ৪০ লাখ, রবি আজিয়াটার ২৫ কোটি ৭৩ লাখ, বিএটিবিসির ২২ কোটি ৭১ লাখ, ইউসিবির ২১ কোটি ৬৫ লাখ, ইউনিলিভার কনজিউমারের ২০ কোটি ২৮ লাখ, আইএফআইসি ব্যাংকের ১৯ কোটি ৯৩ লাখ ও সিটি ব্যাংকের ১৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসবি

দিনশেষে লেনদেনের সাথে সূচকও বেড়েছে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সবগুলো সূচক বেড়েছে। এদিন সেখানে লেনদেনও আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে। এদিন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন ও সূচক বেড়েছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার দিনশেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯২.৯৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৬৯৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ১৭.৬৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১২১৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪২.৯৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২২৯০ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৭৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। গতকাল বুধবার সেখানে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৫৩৬ কোটি ৮৩ লাথ টাকা।

ডিএসইতে দিনভর ৩৯৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১৫১টি শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ২১০টির আর অপরিবর্তিত আছে ৩৩টির দর।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো – জিপি, ব্র্যাক ব্যাংক, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, জেএমআই হসপিটাল,রবি আজিয়াটা, বিএটিবিসি, ইউসিবি, ইউনিলিভার কনজিউমার, আইএফআইসি ব্যাংক ও সিটি ব্যাংক।

অন্যদিকে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক সিএএসপিআই সূচক ১৭৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৬ হাজার ৩৭৮ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ১৯৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৭০টির, কমেছে ১১৩টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১২টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ২২ লাখ টাকা। গতকাল বুধবার সেখানে লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা।

দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে বেক্স ফার্মা ও রবি আজিয়াটা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসবি

ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ হারাল এস আলম গ্রুপ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল বুধবার ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ড ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ফলে সাত বছর পর দেশের সবচেয়ে বড় বেসরকারি ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে এস আলম গ্রুপ। এই সাত বছরে ইসলামী ব্যাংকে একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যবসায়ী গ্রুপটির।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর গতকাল এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, লুটপাট যা করার তারা তা করে ফেলেছে। এখন আমাদের কাজ হলো এই বিধ্বস্ত অবস্থা থেকে ব্যাংকটিকে উদ্ধার করা।

ব্যাংকটির বিদ্যমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম গত বছরের জুন থেকে এই পদে আছেন। তিনি এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমের বড় ছেলে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ দু-একদিনের মধ্যে ভেঙে দেবে। এরপর স্বতন্ত্র পরিচালকদের নিয়ে একটি নতুন বোর্ড গঠন করবে ব্যাংকিং নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

আইন অনুযায়ী এস আলমের দায়ের বিপরীতে সব শেয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়ে নেবে জানিয়ে আহসান এইচ মনসুর বলেন, শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকটির পাওনা টাকা পরিশোধ করলে চট্টগ্রামভিত্তিক এই ব্যবসায়ী গ্রুপ তাদের শেয়ার ফেরত পেতে পারে। আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘কিন্তু আমার মনে হয় না তারা তা করতে চায়।’

ইসলামী ব্যাংকে নামে-বেনামে এস আলম গ্রুপের ৮২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। তবে আর্থিক প্রতিবেদনে ব্যবসায়ী গ্রুপটি ৩২ শতাংশ শেয়ার দেখিয়েছে। ইসলামী ব্যাংকের একদল কর্মকর্তা, পরিচালনা পর্ষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও একদল গ্রাহক বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে অনুরোধ জানানোর পর বোর্ড ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

ইসলামী ব্যাংক এক সময়ের সুপরিচালিত ও লাভজনক ব্যাংক ছিল। কিন্তু মালিকানা পরিবর্তনের পরে এস আলম ব্যাংকটির ওপর প্রভাব খাটাতে শুরু করে। ফলে ধীরে ধীরে বেসরকারি ব্যাংকটির আর্থিক অবস্থা ভেঙে পড়ে।

২০১৭ সাল থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত এস আলম গ্রুপ ও এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাংকটি থেকে ৭৪ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে, যা এ বছরের মার্চ পর্যন্ত ইসলামীর ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের ৪৭ শতাংশ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসবি

ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের বোর্ড সভা আহবান

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি ঢাকা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের বোর্ড সভা আগামী ২৮ আগষ্ট আহবান করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিন বেলা ৩টায় রাজধানীর কাকরাইলে বিমাটির নিজেদের প্রধান ভবনে এ বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং) আইন-২০১৫ এর ১৬/১ অনুযায়ী, এ বোর্ড সভায় ২০২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করবে বিমাটির পরিচালনা বোর্ড।

সভাশেষে বিমাটির উক্ত প্রান্তিকের আর্থিক তথ্য শেয়ারহোল্ডারদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসবি

অর্থনৈতিক অবস্থার ‘শ্বেতপত্র’ প্রকাশ করবে সরকার

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

বাংলাদেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গত প্রায় দেড় দশক বাংলাদেশের অর্থনীতি বহুমাত্রিক যেসব চ্যালেঞ্জে নিপতিত হয়েছে তা তুলে ধরা হবে এই শ্বেতপত্রে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

প্রেস উইং জানিয়েছে, বিগত সরকারের চরম অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি, অর্থ-পাচার এবং অপরিণামদর্শী প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে দেশি- বিদেশি ঋণ গ্রহণ ইত্যাদি কার্যক্রমের কারণে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক হয়ে পড়ে।

অর্থ বিভাগের সূত্রে পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, পতনকালে শেখ হাসিনা সরকার ১৮ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকার ঋণ রেখে গেছে। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত যে স্থিতি ছিল, তা বাংলাদেশের তিনটি বাজেটের মোট অর্থ বরাদ্দের সমান। অন্যদিকে বাজেট ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে কর আদায়ের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির চেষ্টা না করে দেশি ও বিদেশি দুই ধরনের ঋণের প্রতি বিগত সরকার ঝুঁকেছিল।

সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় জিডিপির তুলনায় কর সংগ্রহকে ১৪ শতাংশে নামিয়ে লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও গত ছয় বছরে এ অনুপাত ১১ শতাংশ থেকে উল্টো ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার এটি একটি দিক মাত্র। সামগ্রিকভাবে দুর্নীতি, অর্থ-পাচারের অবাধ সুযোগ বাজার সিন্ডিকেট ইত্যাদির ফলে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা অসহনীয় হয়ে পড়ে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যমতে, গত জুলাই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল প্রায় ১২ শতাংশ। খাদ্য মূল্যস্ফীতি আরও বেশি, তা ১৪ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। বলা যেতে পারে যে, বিগত সরকারের শেষ সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেকটাই মুখ থুবরে পড়ে।

দ্বিতীয়ত বিগত সরকারের সার্বিক অব্যবস্থাপনার ফলে সৃষ্ট বাংলাদেশের অর্থনীতির নজিরবিহীন নাজুক পরিস্থিতিতে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করতে হয়েছে। দেশের অর্থনীতিকে সুসংহতকরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তার মধ্যে প্রধানতম হলো-

অর্থনীতি পুনরায় সচল করার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো নিরসনে কাঠামোগত সংস্কার সাধন:

ক. নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি;

খ. দুর্নীতি দূরীকরণ

গ. ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা

ঘ. কর ও শুল্ক নীতির সংস্কার

ঙ. বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ ইত্যাদি।

বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণকালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার একটি সামগ্রিক চিত্র এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রারম্ভেই সরকারের হাতে থাকা প্রয়োজন।

এ লক্ষে ‘প্রিপারেশন অব এ হোয়াইট পেপার অন দ্য স্টেট অব দ্য ইকোনোমি’ শিরোনামে একটি ধারণাপত্র (সিমোয়েপ্ট নোয়াস) নমিতে সংরক্ষিত রয়েছে। ধারণাপত্রে বাংলাদেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার তথ্য-চিত্র সমৃদ্ধ একটি ‘শ্বেপত্র’ প্রস্তুতের ধারণা দেওয়া হয়েছে।

ধারণাপত্রে বলা হয়েছ, প্রস্তাবিত শ্বেতপত্রে দেশের বিদ্যমান অর্থনীতির সামগ্রিক চিত্র থাকার পাশাপাশি অর্থনৈতিক বিষয়ে সরকারের কৌশলপত পদক্ষেপ গ্রহণ, এসডিজি বাস্তবায়ন এবং এলডিসি হতে উত্তরণে করণীয় বিষয়ে প্রতিফলন থাকবে। শ্বেতপত্রটি প্রণয়নের সময় বিভিন্ন অংশীজনের (স্টেকহোল্ডার) সঙ্গে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও মতবিনিময় করা হবে মর্মে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত শ্বেতপত্রে প্রধানত নিম্নোক্ত বিষয়াদি নিয়ে আলোকপাত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

১. পাবলিক ফিন্যান্স ম্যানেজমেন্ট ডোমেস্টিক রিসোর্স- সরকারি ব্যয় (পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট, এডিআইপি সাবসিডিস অ্যান্ড ডেবিট), ফাইন্যান্সিং অব বুলগেট ডিফিসিট।

২। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড পাবলিক ফুড ডিস্ট্রিবিউশন- মুদ্রাস্ফীতি এবং খাদ্য ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন।

৩। ফরেন ফাইন্যান্স ফ্লো অ্যান্ড ডেবিট – এক্সটার্নাল ব্যালেন্স এক্সপোর্ট, ইমপোর্ট, রেমিট্যান্স, এফডিআই, ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ।

৪। জ্বালানি ও বিদ্যুতের চাহিদা- সরবরাহ, মূল্য নির্ধারণ, খরচ ও ক্রয় চুক্তি।

৫। বেসরকারি বিনিয়োগের সুযোগ- ঋণ, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ও লজিস্টিকস।

৬। যুব কর্মসংস্থান- দেশে ও বিদেশে কর্মসংস্থান, আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক মজুরি।

প্রস্তাবিত শ্বেতপত্রটি প্রস্তুতের জন্য দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তি ও অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা যেতে পারে। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পরামর্শক্রমে তিনি কমিটির প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্যকে মনোনীত করতে পারেন। কমিটির কাঠামো নিম্নরূপ হতে পারে।

ক) কমিটির সদস্যগণ অবৈতনিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।

খ) পরিকল্পনা কমিশন কমপ্লেক্সের যথোপযুক্ত কোন ভবনকে কমিটির দপ্তর হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে।

গ) পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করতে পারে,

ঘ) সরকারের সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর বা সংস্থা প্রস্তাবিত কমিটির চাহিদানুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সরবরাহসহ সকল ধরণের সহযোগিতা দেবে।

বাংলাদেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি’ নামে প্রস্তাবিত কমিটি আগামী ২০ (বিশ) দিনের মধ্যে সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নিকট হস্তান্তর করবেন।

সূত্র: প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের আয় কমেছে

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের প্রতিষ্ঠান দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা বোর্ড দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বুধবার (২১ আগষ্ট) অনুষ্ঠিত বীমাটির পরিচালনা বোর্ডের সভায় ওই প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।

কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বীমাটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৩০ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ০.৩৪ টাকা।

অপরদিকে, এবছর ৬ মাসে (জানুয়ারি-জুন) বীমাটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৫৪ টাকা। যা গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ছিল ০.৭০ টাকা।

একই সময়ে বীমাটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১২.৪৪ টাকা। যা গত বছর একই সময় ছিল ১১.৯০ টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসবি