স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :
সরকারের ভুলনীতির কারণে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) লোকসান ২০২৫ সাল নাগাদ ১৯৬ শতাংশ বেড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়াবে। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি এবং সরকারের ভর্তুকি দেওয়ার পরও এই লোকসান হবে।
রবিবার (২৩ জুন) রাজধানীর মহাখালীতে ব্রাক ইন সেন্টারে এক আলোচনা সভায় এমনটি জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)।
এসময় সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম জানান, প্রস্তাবিত বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বরাদ্দ টেকসই জ্বালানি এবং জ্বালানি রূপান্তরের চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হয়েছে।
মূল প্রবন্ধে উপস্থাপন করে তিনি বলেন, জ্বালানি খাতের রূপান্তর ও টেকসই জ্বালানি খাত নিশ্চিতে গ্যাস এবং বিদ্যুতের উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণে যৌক্তিক প্রাধিকার পুনঃনির্ধারণ করে বাজেটের বরাদ্দে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা উচিত। সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে পরিকল্পনা নিয়েছে এটা উচ্চাভিলাসী।
ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম আরও বলেন, লোডশেডিং কমানো, বিদ্যুতের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা, এ খাতে ভর্তুকি কমানো ও জ্বালানির জন্য আমদানি নির্ভরতা কমাতে অভ্যন্তরীণ গ্যাস আহরণের বিকল্প না থাকলেও জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের উন্নয়ন ব্যয় প্রস্তাবিত বাজেটে কমানো হয়েছে। এ বরাদ্দ দিয়ে ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৬ গ্যাস কূপ অনুসন্ধানের প্রতিশ্রুতি পূরণ সম্ভব না। আমরা মনে করেছিলাম সরকার জ্বালানি আমদানি কমিয়ে দিয়েছে। তা নয়, ব্যয়বহুল হলেও সরকার জ্বালানি আমদানি করছে।
গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়িয়ে বিদ্যুতের ভর্তুকি কমানোর উদ্যোগকে অযৌক্তিক আখ্যা দিয়েছেন সিপিডির এই গবেষণা পরিচালক। তিনি বলেন, বিদ্যুতে ভর্তুকি কমাতে হবে। তবে দাম বাড়িয়ে নয়, বরং উৎপাদনে দক্ষতা নিশ্চিতের মাধ্যমে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/////